শিরোনাম
◈ জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করার সকল প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক দলগুলো ◈ ওসমান হাদির পরিবারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ, সর্বোত্তম চিকিৎসা নিশ্চিতের আশ্বাস ◈ ওসমান হাদি সংকটাপন্ন, বাবার জন্য অবুঝ শিশুর আকুতি জাতীয় নিরাপত্তা প্রশ্নে নতুন আলোচনার জন্ম দিল ◈ তফসিল ঘোষণার পর বিএন‌পি ও জামায়াতসহ রাজনৈতিক দলগুলো কী অবস্থায় আছে?  ◈ নভেম্বর মাসে বিএনপি নেতার ওপর হামলার বিচার হলে হয়তো এ ঘটনা ঘটতো না: সালাউদ্দিন  ◈ আইসিইউতে হাদি, অপরদিকে নলছিটিতে তার বাড়িতে চুরি, তদন্তে পুলিশ ◈ প্রধান উপদেষ্টার সাথে বিএনপির ২ প্রতিনিধির  বৈঠক চলছে  ◈ বাংলাদেশি নাবিকসহ তেলবাহী জাহাজ আটক করল ইরান ◈ ইউএনওকে গ্রেপ্তারের হুমকি দিয়ে বিপাকে পড়ে ক্ষমা চাইলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা (ভিডিও) ◈ চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব: বাংলাদেশসহ চার দেশে লেভেল–২ ভ্রমণ সতর্কতা জারি সিডিসির

প্রকাশিত : ০১ অক্টোবর, ২০২২, ০১:২৫ দুপুর
আপডেট : ০১ অক্টোবর, ২০২২, ০৭:০২ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইউক্রেনকে দ্রুত ন্যাটোভুক্ত করে নিন: জেলেনস্কি

রাশিদুল ইসলাম: প্রথমে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া, তারপর গণভোটের আয়োজন, সবশেষে রুশ ফেডারেশনে অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা— ইউক্রেনের খেরসন, জাপোরিঝঝিয়া, দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল ঘিরে এই ধারাবাহিকতায় এগিয়ে যাচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুক্রবার ক্রেমলিনে এক অনুষ্ঠানে ওই অঞ্চলগুলোকে রাশিয়ার ‘নতুন অংশ’ হিসেবে ঘোষণার পর পুতিন স্বাক্ষর করেন এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্রে। পুতিন বলেন, যে কোনো উপায়ে অঞ্চলগুলো রক্ষা করা হবে, অঞ্চলগুলোর নিয়ন্ত্রণ কখনোই ছেড়ে দেবে না মস্কো। আরটি 

এদিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ইউক্রেনকে ন্যাটোভুক্ত করে নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন দেশিটির প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। এক টেলিগ্রাম পোস্টে তিনি বলেন, আমরা ইতিমধ্যে মিত্রতার মানদণ্ডের সঙ্গে আমাদের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছি। ন্যাটোতে দ্রুত যোগ দিতে ইউক্রেনের আবেদনে স্বাক্ষর করে আমরা দৃঢ় পদক্ষেপ নিচ্ছি।

২০১৪ সালের মার্চেও একই পথে হেঁটেছিল রাশিয়া। সে বছর ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অঞ্চল দখল করে নেয় মস্কো। পরে গণভোটের মধ্য দিয়ে ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার ঘোষণা দেন পুতিন। তবে ক্রিমিয়া দখলে রক্ত ঝরেছিল খুবই কম। আর রাশিয়া পুরো অঞ্চলটিই দখল করতে পেরেছিল। এবারের চিত্র ভিন্ন। দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের বড় অংশ ২০১৪ সাল থেকে মস্কোপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাতে ছিল। গত সাত মাসের যুদ্ধে দোনেৎস্কের ৬০ শতাংশ অঞ্চল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে এনেছে রুশ বাহিনী। কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ লিমান শহর অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই রুশ বাহিনীর হাতছাড়া হতে পারে। অপরদিকে জাপোরিঝঝিয়ার রাজধানী এখনো ভালোভাবেই ইউক্রেনীয়দের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যদিও রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় রয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করা আরেক অঞ্চল খেরসনের খুব কাছাকাছি রয়েছেন ইউক্রেনের সেনারা। 

চার অঞ্চলকে রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি যাবে রুশ পার্লামেন্টের উভয়কক্ষে। নিম্নকক্ষ ডুমায় এই চার অঞ্চলকে রুশ ফেডারেশনে অন্তর্ভুক্ত করতে সংবিধান সংশোধন বিল পাস করা হবে। সেখান থেকে যাবে পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ ফেডারেশন কাউন্সিলে। সেখানে পাস হলে যাবে পুতিনের কাছে। এরপর তিনি তাতে চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন। আগামী শুক্রবার পুতিনের ৭০তম জন্মদিন। এর আগেই সব প্রক্রিয়া শেষ করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়