রাশিদুল ইসলাম: মার্কিন নৌবাহিনী তার সবচেয়ে উন্নত যুদ্ধজাহাজকে পূর্ব এশিয়ায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে ওই অঞ্চলে মার্কিন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের চূড়ান্ত স্থাপনার মঞ্চ তৈরি করতে পারে। দিন কয়েক আগে দেশটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনে রেথিয়ন কোম্পানির সঙ্গে ১ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর করে। সিএনএন
যে যুদ্ধজাহাজটিকে পাঠানো হচ্ছে সেইট ইউএসএস জুমওয়াল্ট যা তিনটি মাল্টিমিশন গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ারের একটি। মার্কিন নৌবাহিনী বলেছে ‘সম্ভাব্য প্রতিপক্ষের জন্য যুদ্ধক্ষেত্রের জটিলতার একটি নতুন স্তর তৈরি করবে এ যুদ্ধজাহাজ। প্রশান্ত মহাসাগরে, এই সম্ভাব্য প্রতিপক্ষগুলির মধ্যে একটি স্পষ্টতই চীন, এবং জুমওয়াল্ট অবশ্যই বেইজিংয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।
মার্কিন নৌবাহিনীর সাবেক অধিনায়ক ও বিশ্লেষক কার্ল শুস্টার বলেছেন, একটি স্টিলথ যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতি অনেক আগ্রহের সৃষ্টি করবে। বিশেষ করে যদি জুমওয়াল্ট হাইপারসনিক অস্ত্রের সাথে সজ্জিত হয়। আর সেই সময়টা হয়তো বেশি দূরে নয়।
ইউএস নেভাল ইনস্টিটিউটের গত আগস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে জুমওয়াল্টকে পেন্টাগনের কমন হাইপারসনিক গ্লাইড বডি (সি-এইচজিবি) মিটমাট করার জন্য পরের বছর আপগ্রেড করা হবে, একটি অস্ত্র সিস্টেম যা হাইপারসনিক গতিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে একটি বুস্টার রকেট মোটর ব্যবহার করে এ সংস্কার করা হবে।
চলতি বছরের কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিসের রিপোর্ট অনুসারে, ‘সি-এইচজিবি কৌশলী হতে হবে, যুদ্ধজাহাজটি সনাক্ত করা এবং আটকানো আরও কঠিন করে তুলবে এবং ম্যাক ৫ বা উচ্চতর গতিতে ভ্রমণ করতে পারে যা শব্দের গতির চেয়ে কমপক্ষে পাঁচ গুণ দ্রুত বা সর্বোচ্চ ঘন্টায় ১৩ হাজার মাইল গতিতে ছুটবে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘সি-এইচজিবি শুধুমাত্র তার বেগের কারণে লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে সক্ষম হবে। ড়ত সপ্তাহে গুয়ামে একটি পোর্ট কল করার পরে, জুমওয়াল্ট সোমবার জাপানে পৌঁছেছে, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলি এর ছবি দেখিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :