২০২৫ সাল পাকিস্তানের মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে এক যুগান্তকারী বছর হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। এই অর্জনকে সামনে রেখে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে দেশটি চাঁদে পা রাখার উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা করছে। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের স্পেস অ্যান্ড আপার অ্যাটমোস্ফিয়ার রিসার্চ কমিশন (সুপারকো) এর পরিচালক শাফাত আলী গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ‘সরকারের অব্যাহত সমর্থন এবং চীনের সঙ্গে শক্তিশালী সহযোগিতার কারণে আমরা আত্মবিশ্বাসী যে ২০২৬ সালে পাকিস্তান চাঁদে পা রাখবে।’
যদিও চন্দ্র অভিযানের বিস্তারিত পরিকল্পনা এখনো প্রকাশ করা হয়নি, পাকিস্তানি বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীরা মিশন পরিকল্পনা, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং পে-লোড উন্নয়নের ক্ষেত্রে চীনাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনের সহায়তায় পাকিস্তান অত্যাধুনিক মহাকাশ প্রযুক্তি অর্জন করছে, যা দেশটির মহাকাশ অনুসন্ধান সক্ষমতা ও গবেষণায় ব্যাপক অগ্রগতি আনবে। একই সঙ্গে, দেশের মধ্যে মহাকাশ প্রযুক্তির উদ্ভাবন এবং উন্নয়নে এই সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সুপারকো ইতোমধ্যেই যোগাযোগ, পৃথিবী পর্যবেক্ষণ ও আবহাওয়া পর্যবেক্ষণের জন্য একাধিক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করেছে। এই সাফল্যগুলো পাকিস্তানের মহাকাশ গবেষণায় উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণে তাদেরকে উৎসাহিত করেছে।
সুপারকোর পরিচালক শাফাত আলী বলেন, চাঁদের মিশনটি শুধু একটি প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ নয়, এটি আমাদের জাতীয় গর্ব, বৈজ্ঞানিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং বৈশ্বিক মহাকাশ সম্প্রদায়ে পাকিস্তানের অবস্থান সুদৃঢ় করার প্রতীক।
তিনি আরও যোগ করেন, এই মিশন দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে এবং তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মহাকাশ বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিষয়ে উৎসাহ বৃদ্ধি করবে। সূত্র: আরটিভি