শিরোনাম
◈ এই মুহূর্তে বিএনপি ছাড়া অন্য কোনো দল দেশ পরিচালনায় সক্ষম নয়: নুর (ভিডিও) ◈ গাজা উদাহরণ টেনে বাংলাদেশকে ‘সবক শেখানো’র হুমকি, শুভেন্দুকে ঘিরে তীব্র সমালোচনা ◈ ওসমান হাদি হত্যার মূল ২ আসামি ভারতে পালিয়েছে, মেঘালয়ে গ্রেপ্তার ২: ডিএমপি ◈ নির্বাসন শেষে প্রত্যাবর্তন: তারেক রহমানের ফেরা কি রাজনৈতিক মোড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত? ◈ রিটার্ন দাখিলের সময় আরও একমাস বেড়েছে ◈ লটারিতে সাজা‌নো মাঠ প্রশাসন দি‌য়ে সুষ্ঠু নির্বাচন কি সম্ভব?  ◈ ২০২৬ সালে চাঁদে পা রাখবে পাকিস্তান ◈ দুবাই ক্যাপিটালসে মুস্তাফিজের বিকল্প কে এই কলিম সানা? ◈ সংস্কার প্রশ্নে জামায়াত-এনসিপি একমত, নির্বাচনী সমঝোতার ব্যাখ্যা দিলেন আখতার হোসেন ◈ জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতা করলে এনসিপিকে কঠিন মূল্য চুকাতে হবে: সামান্তা শারমিন

প্রকাশিত : ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:৩২ দুপুর
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শ্রমিক ভিসায় সুখবর, সৌদি আরব ও ইউএইতে চাকরির চাহিদা বাড়ছে

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দ্রুত বিস্তার লাভ করলেও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও সৌদি আরবের চাকরির বাজারে মানবশ্রমের চাহিদা কমছে না। বরং ২০৩০ সালের মধ্যে এই দুই দেশে অতিরিক্ত দেড় মিলিয়নেরও বেশি কর্মীর প্রয়োজন হবে, এমন তথ্য উঠে এসেছে ২০২৫ সালে প্রকাশিত একটি বৈশ্বিক কর্মশক্তি গবেষণায়। খবর জিও নিউজের।

গবেষণায় বলা হয়েছে, এআই ব্যবসা পরিচালনার ধরন বদলে দিচ্ছে ঠিকই, তবে উপসাগরীয় অঞ্চলে সামগ্রিক কর্মসংস্থানের চাহিদা এতে কমছে না। শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বড় উন্নয়ন প্রকল্প এবং সরকারি ও বেসরকারি খাতের বিস্তারই নতুন কর্মসংস্থানের প্রধান চালিকাশক্তি হয়ে উঠছে।

সৌদি আরবে কর্মী চাহিদা বাড়ার পেছনে বড় ভূমিকা রাখছে দেশটির ‘ভিশন ২০৩০’ সংস্কার কর্মসূচি। এই পরিকল্পনার আওতায় নির্মাণ, অবকাঠামো, পর্যটন, উৎপাদন, লজিস্টিকস ও নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চলে ব্যাপক বিনিয়োগ হচ্ছে। গবেষণা অনুযায়ী, যদি এআইয়ের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা না বাড়ত, তাহলে সৌদি আরবের উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ অতিরিক্ত কর্মীর প্রয়োজন হতো। স্বয়ংক্রিয়তা বিবেচনায় নেওয়ার পরও আগামী বছরগুলোতে দেশটিতে উল্লেখযোগ্য শ্রমঘাটতির আশঙ্কা রয়েছে।

অন্যদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মশক্তির চাহিদা আরও দ্রুত বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ইউএইর মোট কর্মশক্তি ১২ দশমিক ১ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে, যা গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সৌদি আরবে যেখানে কর্মশক্তি বৃদ্ধির হার ১১ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে, সেখানে যুক্তরাষ্ট্রে এই হার মাত্র ২ দশমিক ১ শতাংশ এবং যুক্তরাজ্যে ২ দশমিক ৮ শতাংশে সীমাবদ্ধ থাকবে।

এই গবেষণা পরিচালনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এন্টারপ্রাইজ সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান সার্ভিসনাও এবং যুক্তরাজ্যভিত্তিক বৈশ্বিক শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন সংস্থা পিয়ারসন।

গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, প্রযুক্তি, এআই এবং ডিজিটাল সেবার ওপর ইউএই’র জোরালো মনোযোগ কর্মসংস্থান কমানোর বদলে নতুন চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করবে। সরকারি দপ্তর ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যক্রম আধুনিকায়নের সঙ্গে সঙ্গে উৎপাদন, শিক্ষা, খুচরা বাণিজ্য, স্বাস্থ্যসেবা, আর্থিক সেবা এবং প্রযুক্তিনির্ভর খাতে দক্ষ কর্মীর চাহিদা বাড়ছে। সূত্র: কালবেলা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়