ইমা এলিস/বাংলা প্রেস, নিউ ইয়র্ক: স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা বিভাগ (ডিএইচএস) জানিয়েছে, ট্রাম্প যুগ থেকে ফেডারেল কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করেই নিউ ইয়র্কে প্রায় ৭ হাজার দণ্ডপ্রাপ্ত অভিবাসী অপরাধীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। কর্মকর্তাদের মতে, সমন্বয় ও যোগাযোগের এই ঘাটতির ফলে জননিরাপত্তার ঝুঁকি বেড়েছে, কারণ নজরদারি ছাড়াই এসব ব্যক্তি আবার কমিউনিটিতে ফিরে যাচ্ছে। ডিএইচএস সতর্ক করেছে, ট্র্যাকিংবিহীন এসব ব্যক্তি কমিউনিটি নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এ ইস্যুতে নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস–এর বিরুদ্ধে অপরাধীদের আড়াল করার অভিযোগে সমালোচনা উঠেছে।
এদিকে অভিবাসন এবং শুল্ক প্রয়োগ (আইসিই) একাধিক পুনরাবৃত্ত অপরাধীকে পুনরায় গ্রেপ্তার করেছে। আইসিই–এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক টড লিয়ন্স এক বিবৃতিতে বলেন, 'প্রায় সব আমেরিকানই একমত যে নিউইয়র্কের হেফাজত থেকে মুক্তি পাওয়ার পর এ ধরনের ব্যক্তিদের দ্রুত যুক্তরাষ্ট্র থেকে অপসারণ করা উচিত, রাস্তায় ফিরিয়ে দিয়ে আইনমান্য নাগরিকদের ক্ষতি করার সুযোগ দেওয়া নয়।
লাইন্স আরও বলেন, 'এরা কেবল অবৈধভাবে দেশে অবস্থানকারী নন; এদের অনেকেই খুন, ধর্ষণ, শিশু পর্নোগ্রাফি রাখা, সশস্ত্র ডাকাতিসহ নৃশংস অপরাধে জড়িত।'
ডিএইচএস ফেডারেল ডিটেইনার মানা হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে নিউ ইয়র্কের কাছ থেকে স্পষ্টতা চেয়েছে এবং তা উপেক্ষা করলে ঝুঁকি বাড়বে বলে সতর্ক করেছে।
ডিএইচএস–এর সহকারী সচিব ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন অ্যাটর্নি জেনারেল জেমসকে আইসিই–এর ডিটেইনার সম্মান করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, 'অ্যাটর্নি জেনারেল জেমস ও তাঁর সহযোগী নিউ ইয়র্কের ‘স্যান্কচুয়ারি’ রাজনীতিকরা খুনি, সন্ত্রাসী ও যৌন অপরাধীদের আমাদের পাড়ায় ফিরিয়ে দিচ্ছেন, যা আমেরিকানদের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলছে।'
ম্যাকলাফলিন আরও বলেন, আমরা লেটিশিয়া জেমসকে এই বিপজ্জনক অবস্থান থেকে সরে এসে নিউ ইয়র্কের হেফাজতে থাকা ৭ হাজারের বেশি অপরাধী অবৈধ অভিবাসীর বিরুদ্ধে জারি থাকা আইসিই–এর গ্রেপ্তার ডিটেইনার মানার অঙ্গীকার করতে আহ্বান জানাচ্ছি। এটি সাধারণ বুদ্ধির বিষয় অপরাধী অবৈধ অভিবাসীদের আবার আমাদের রাস্তায় ছাড়া দেওয়া উচিত নয়।