শিরোনাম
◈ অগ্রণী ব‌্যাং‌কের ভ‌ল্টে শেখ হাসিনার ৮৩২ ভরি স্বর্ণালংকার  ◈ ভারতে মুসলিম ছাত্রদের মূর্তির পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে আর মাথা নোয়াতে বাধ্য করলো হিন্দু চরমপন্থীরা  ◈ ২০ ইউনিটের প্রচেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে কড়াইল বস্তির ভয়াবহ আগুন ◈ দেড় দশক ঘরছাড়া, তবুও দেশ ছাড়িনি: জামায়াত আমির ◈ বাংলাদেশ ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে—ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে ড. ইউনূস ◈ গণভোট অধ্যাদেশ ২০২৫ প্রকাশ: জাতীয় সনদের সংস্কার প্রশ্নে ভোট দেবেন জনগণ ◈ কড়াইল বস্তিতে দাউদাউ আগুন: পাইপ কাটা ও পানির সংকটে ফায়ার সার্ভিসের চ্যালেঞ্জ ◈ বাংলা‌দে‌শের বিরু‌দ্ধে ‌টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ৩০ ন‌ভেম্বর আসছে পাকিস্তান নারী দল  ◈ চুপ থাকুন, আপনাকেও আসামি করা হতে পারে, ট্রাইব্যুনালের শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবীকে চিফ প্রসিকিউটর ◈ শাহজালালে কার্গো ভিলেজে আগুনের ঘটনা নাশকতা নয়: প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ২৬ নভেম্বর, ২০২৫, ০৯:৩৫ সকাল
আপডেট : ২৬ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:০৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পশ্চিম তীরে বাড়ছে ইসরায়েলি দমন-পীড়ন, এক বছরে উচ্ছেদ ৩২ হাজার ফিলিস্তিনি

গাজার মতোই ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে ঘারছাড়া করছে দখলদার ইসরাইলি। শুধুমাত্র এ বছরই পশ্চিম তীরের তিনটি শরণার্থী শিবির থেকে ৩২ হাজার ফিলিস্তিনিকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করা হয়েছে।

গত সপ্তাহে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) এর  প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে। এতে আরও বলা হয়, জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া জেনিন, নুর শামস ও তুলকারেম শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি অভিযানের ফলে ১৯৬৭ সালের পর পশ্চিমতীরে এটি সবচেয়ে বড় গণউচ্ছেদ।

ইসরাইলি সহিংসতা পশ্চিম তীরে দ্রুত বেড়েই চলেছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত সেখানে ইসরাইলিদের হাতে এক হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অবৈধ ইসরাইলি বসতি থেকে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলাও ক্রমশ বেড়েছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরের সি অঞ্চলে নভেম্বরের শুরুর দিকে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ বাড়িঘর ভেঙে দেওয়ায় আরও এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমেও পাঁচ শতাধিক মানুষ গৃহহীন হয়েছেন। 

ইসরাইল অনুমতি না থাকার অজুহাতে এসব ঘরবাড়ি ভেঙে দিয়েছে, যদিও এসব এলাকায় ফিলিস্তিনিদের জন্য নির্মাণের অনুমতি পাওয়া অত্যন্ত কঠিন।

এসব ঘটনার পরও অধিকৃত পশ্চিম তীরে নিজেদের কার্যকলাপের জন্য ইসরাইল এখনো উল্লেখযোগ্য কোনো পরিণতির মুখোমুখি হয়নি। মানবাধিকার সংগঠনগুলো ইতোমধ্যে পশ্চিম তীরের শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি বাহিনীর কর্মকাণ্ড এবং সাধারণ মানুষকে জোরপূর্বক উচ্ছেদের ঘটনাগুলোর জন্য ইসরাইলি সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।

তথ্যসূত্র: আল জাজিরা, যুগান্তর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়