এবিসির রিপোর্ট: যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করেছে তারা বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য অংশীদার দেশগুলোর কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি আদায় করেছে। তবে সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র সহায়তা কমিয়ে দেয়ার ফলে এই নির্যাতিত জনগোষ্ঠীর সংকট আরও বেড়েছে। এ তথ্য মিলেছে এবিসি নিউজের হাতে পাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নথি থেকে। সে অনুযায়ী, শুধু সেপ্টেম্বর মাসেই অংশীদার দেশগুলো থেকে ৬৪.৬ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে।
একে ট্রাম্প প্রশাসনের ‘বিশ্বজুড়ে মানবিক সংকটে অন্য দেশগুলোর সঙ্গে দায়িত্ব ভাগ করে নেয়ার গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি’ বলা হচ্ছে। ১১টি দেশ- ব্রিটেন, বাংলাদেশ, জাপান, কাতার, অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া ও নেদারল্যান্ডস- ২০২৫ সালে ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তা বাইডেন প্রশাসনের শেষ বছরের তুলনায় ১০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি করেছে।
তবে এই দেশগুলোর সহায়তা বৃদ্ধিতে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রভাব কতটা ছিল তা স্পষ্ট নয়। ট্রাম্প প্রশাসন নিজেও সেপ্টেম্বরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য নতুন তহবিলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। মার্চে ঘোষিত ৭৩ মিলিয়ন ডলার সহায়তার পাশাপাশি আরও ৬০ মিলিয়ন ডলার যোগ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। তুলনামূলকভাবে, বাইডেন প্রশাসনের শেষ বছর ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের জন্য ৩০০ মিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি অর্থ সহায়তা দেয়।
যা সেই বছরের মোট আন্তর্জাতিক সহায়তার ৫০ শতাংশেরও বেশি। মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্বের অন্য দেশগুলোকে বারবার আহ্বান জানিয়েছে যাতে তারা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ায়। মিডিয়ায় যে বর্ণনা দেয়া হচ্ছে- যেন এই দায়িত্ব কেবল ট্রাম্প প্রশাসনের- তা পুরনো ও বিভ্রান্তিকর। বাস্তবতা হলো, অনেক দেশ, বিশেষত আঞ্চলিক অংশীদাররা, বারবার দায়িত্ব এড়িয়ে গেছে।
বার্তা সংস্থা এপি এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে যে মিয়ানমারের একটি রোহিঙ্গা শিবিরে মার্কিন সহায়তা কমানোর ফলে শিশুদের মৃত্যু হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র টমি পিগট এক বিবৃতিতে বলেন, এপি’র এই দাবি সম্পূর্ণ ভুল, বিভ্রান্তিকর ও দায়িত্বজ্ঞানহীন। তিনি বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্বব্যাপী দেশগুলিকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মতো দুর্বল জনগোষ্ঠীকে মানবিক সহায়তা প্রদানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যোগদানের জন্য ক্রমাগত আহ্বান জানিয়েছে।