ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, তার দেশের প্রকৃত শত্রু কোনো বিদেশি রাষ্ট্র নয়, বরং বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভরশীলতা।
গুজরাটে এক অনুষ্ঠানে ৪০ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের সামুদ্রিক প্রকল্প উদ্বোধনকালে মোদি বলেন, ভারত এখন “বিশ্বের বন্ধু হওয়ার মানসিকতা নিয়ে এগোচ্ছে” এবং বড় কোনো বৈরী রাষ্ট্র নেই।
তিনি বলেন,, “আসল অর্থে যদি আমাদের কোনো শত্রু থাকে, তবে তা হলো অন্য দেশের ওপর নির্ভরশীলতা।”
মোদি জোর দিয়ে বলেন, সমৃদ্ধি অর্জন এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হলে ভারতকে অবশ্যই স্বনির্ভর হতে হবে। এ জন্য দেশীয় উৎপাদন বাড়ানো এবং বাইরের শক্তির ওপর নির্ভরতা কমানোর আহ্বান জানান তিনি।
মোদির ভাষায়, “যদি আমরা অন্যদের দয়ার ওপর নির্ভর করি, তবে আমাদের আত্মমর্যাদাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অন্যদের ওপর নির্ভরতার ঝুঁকিতে ফেলতে পারি না।”
সামুদ্রিক খাতকে গুরুত্ব দিয়ে মোদি দেশীয় জাহাজ নির্মাণ শিল্প ও উচ্চপ্রযুক্তি খাত পুনরুজ্জীবনের আহ্বান জানান। তিনি উল্লেখ করেন, পাঁচ দশক আগে ভারতের জাহাজগুলো দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের ৪০ শতাংশ বহন করতো, যেখানে বর্তমানে তা মাত্র ৫ শতাংশে নেমে এসেছে।
বিদেশি শিপিং কোম্পানিগুলোকে প্রতিবছর যে বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়, তা এখন ভারতের প্রতিরক্ষা বাজেটের সমপর্যায়ে পৌঁছেছে বলেও তিনি জানান। মোদির মতে, এই নির্ভরশীলতা ইতোমধ্যেই বড় ক্ষতির কারণ হয়েছে।
তিনি বলেন, “চিপস হোক বা শিপস—আমাদের তা ভারতে তৈরি করতে হবে।”
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এমন মন্তব্য করলেন মোদি। গত মাসে ওয়াশিংটন রাশিয়া থেকে ভারতের তেল কেনার কারণে অধিকাংশ ভারতীয় আমদানির ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে।
এছাড়া হোয়াইট হাউস ঘোষণা দিয়েছে, এইচ-১বি ভিসার জন্য বছরে ১ লাখ ডলারের নতুন ফি দিতে হবে। আইটি ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন ন্যাসকম জানিয়েছে, এই পদক্ষেপ মূলত ভারতীয় দক্ষ শ্রমিকদের লক্ষ্য করে নেওয়া হয়েছে।