শিরোনাম
◈ বাংলাদেশসহ ৩ দেশের সীমান্তে উচ্চ সতর্কতা জারি করল ভারত ◈ নতুন নির্দেশনা: সরকারি কর্মচারীদের বেতন থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাটবে কর ◈ সৎ ও স্বপ্নবাজ মানুষরাই হবে নতুন রাজনীতির চালিকাশক্তি”— নাহিদ ইসলাম ◈ এনসিপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, ‘নিক্ষেপকারীরা’ আটক (ভিডিও) ◈ মহাসড়কে আগুন জ্বালাতে গিয়ে ছাত্রদল নেতা দগ্ধ ◈ নতুন নির্বাচনী আচরণবিধি জারি: পরিবেশ রক্ষা ও ব্যয় নিয়ন্ত্রণে কঠোর শর্ত ◈ প্রবাসীকে বাদ দিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন কীভাবে হয়, প্রশ্ন ইসি সানাউল্লাহর ◈ দেশে আবারও বাড়ল সোনার দাম, ভরি কত? ◈ হঠাৎ যেভাবে ধানমন্ডির ভোটার হলেন আসিফ মাহমুদ ◈ নভেম্বরের ৯ দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহে ৪৮.৭ শতাংশ বৃদ্ধি

প্রকাশিত : ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৪:৪৫ দুপুর
আপডেট : ০৯ নভেম্বর, ২০২৫, ০৪:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

১৪ বছর ব্যাংকে চাকরির পর এখন ফুটপাতে করছেন ভিক্ষা

ভারতের তথ্যপ্রযুক্তির রাজধানী খ্যাত বেঙ্গালুরু। ব্যস্ত এক মোড়ে ছুটে চলা মানুষের ভিড়ের মাঝেই দেখা মিলল এক প্রাক্তন ব্যাংক কর্মীর। পাশে রাখা একটি ব্যাকপ্যাক, হাতে একটি চিরকুট। তাতে লেখা- ১৪ বছর ধরে ব্যাংকে চাকরি করার পর এখন বেকার আমি, থাকার জায়গাও নেই। চাই সাহায্য। তার পাশে একটি ছোট কাগজে কিউআর কোড ছিল, সম্ভবত ডিজিটাল অনুদানের জন্য।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।

এই হৃদয়বিদারক দৃশ্যের ছবি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রেডিটে শেয়ার করেন এক ব্যবহারকারী। তিনি লেখেন, বেঙ্গালুরুর এক সিগন্যালে এই মানুষটির সঙ্গে দেখা হলো। বিষয়টি যতই হৃদয়বিদারক হোক, আমি ভাবছি, এটা কি সমাজের ব্যর্থতা, নাকি তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের ফলে পাওয়া দুর্ভাগ্য?

রেডিটের ওই পোস্টটি দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায় এবং ব্যবহারকারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। কেউ সহানুভূতি প্রকাশ করেন, আবার কেউ সমালোচনা করেন। বলেন, এটা কি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের ফল, নাকি গোটা সমাজ ব্যবস্থার ব্যর্থতা?

একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, আমাদের দেশের কঠিন বাস্তবতা হলো, আমরা কলেজ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের ১%-এর জন্যও চাকরি দিতে পারি না।

আরেকজন মন্তব্য করেছেন, তিনি কি শারীরিকভাবে অক্ষম? যদি তাই হয়, তার প্রতি আমার সহানুভূতি। যদি না হন, তবে বেঙ্গালুরুর মতো শহরে একজন তরুণ মানুষের ভিক্ষা চাওয়ার কোনো অজুহাত থাকতে পারে না। এখানে কাজের অভাব নেই, যদি কাজ করার ইচ্ছা থাকে। হয়তো খুব বেশি বেতনের চাকরি নাও হবে, কিন্তু একজন মানুষের বেঁচে থাকার মতো উপার্জন সম্ভব। হ্যাঁ, জীবন কঠিন এবং অনেক সময় অবিচারও করে, কিন্তু দাঁড়িয়ে লড়াই করতে হবে। অন্য কেউ এসে সাহায্য করবে না।

তবে, আরেকজন ভিন্ন মত দিয়েছেন। তার মন্তব্যটি ছিল, তিনি যদি শারীরিকভাবে সক্ষম হন তাহলে ডেলিভারি বা ড্রাইভিংয়ের মতো কাজ করতে পারেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো, দীর্ঘদিন বেকার থাকলে মানুষ মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে, বিষণ্ণতায় ভোগে। সেটিও একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়