শিরোনাম
◈ কলম্বাস ওহাইওতে ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ভ্রাম্যমান দূতাবাস সেবা প্রদান করবে বাংলাদেশ দূতাবাস ◈ ফেরারি আসামিকে অযোগ্য ঘোষণা সহ একাধিক সংস্কার প্রস্তাব ◈ গণধর্ষণের হুমকি দেওয়া আলী হুসেন ঢাবি থেকে বহিষ্কার ◈ বিনামূল্যে ২ লাখ টাকার আইটি কোর্স, যেভাবে করবেন আবেদন ◈ ২৯ বছর বয়‌সে মহানার্যমান সিন্ধিয়া রাজ্য ক্রিকেটের সভাপতি! থাকেন ৪ হাজার কোটি টাকার প্রাসাদে ◈ জাবিতে ছাত্রীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ, ২৮ বাস আটক ◈ সরকারি কর্মচারীদের পে-স্কেল ঘোষণা নিয়ে নতুন তথ্য ◈ বাবাকে নজরবন্দি, ভাইদের আটক: সৌদি রাজতন্ত্রে যেভাবে ক্ষমতাধর হয়ে ওঠেন মোহাম্মদ বিন সালমান! ◈ পাকিস্তানে সমাবেশে বিস্ফোরণ, নিহত অন্তত ১৩ ◈ বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন

প্রকাশিত : ৩১ আগস্ট, ২০২৫, ০৮:০৮ রাত
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৫:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মালয়েশিয়ায় জাল ই-ভিসা সিন্ডিকেটে জড়িত অভিযোগে বাংলাদেশি নারী আটক

মালয়েশিয়ায় বিদেশিদের জন্য জাল ইলেকট্রনিক ভিসা (ই-ভিসা) সেবা প্রদানকারী একটি ভুয়া ওয়েবসাইটের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে এক বাংলাদেশি নারীকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ।

রবিবার (৩১ আগস্ট) এক বিবৃতিতে ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাহাবান জানান, "কি মালয়েশিয়া" নামে পরিচালিত ওই ওয়েবসাইট সিন্ডিকেট ২০২২ সাল থেকে কার্যক্রম শুরু করে এবং ইতোমধ্যে ৫২,৬৭২টি আবেদন প্রক্রিয়া করেছে। এ সময় তারা কোটি কোটি রিঙ্গিত হাতিয়ে নেয়।

অভিযানকালে ৩২ বছর বয়সী বাংলাদেশি নারীকে আটক করা হয়, যিনি সামাজিক ভিজিট পাসে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছিলেন। রেকর্ডে দেখা গেছে, তিনি গত তিন বছরে একাধিকবার মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করেছেন। তার মালয়েশিয়ান স্বামীকেও তদন্তে সহযোগিতার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

তদন্তে জানা গেছে, ভুয়া ওয়েবসাইটটি সরকারি ই-ভিসা পোর্টালের আদলে তৈরি করা হয়েছিল। আবেদনকারীদের দুই ধরনের ভিসার প্রস্তাব দেওয়া হতো—সাধারণ ভিসা, যা তিন থেকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পন্ন করা হতো, এবং জরুরি ভিসা, যার অনুমোদন দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। তবে অর্থ পরিশোধের পর বেশিরভাগ আবেদন বাতিল দেখানো হতো এবং ব্যাখ্যা চাইলে লাইভ চ্যাটে ভয়ভীতি ও হুমকি দেওয়া হতো।

আটক বাংলাদেশি নারীকে ১৯৬৩ সালের ইমিগ্রেশন রেগুলেশনসের ৩৯(বি) ধারায় তদন্ত করা হচ্ছে এবং বর্তমানে তাকে পুত্রজায়ার ইমিগ্রেশন সদর দপ্তরে আটকে রাখা হয়েছে।

ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক আরও বলেন, এ ধরনের প্রতারণা শুধু জনগণের আস্থা নষ্ট করছে না, বরং বিভাগটির ভাবমূর্তিকেও ক্ষুণ্ণ করছে। তিনি সতর্ক করে জানান, জাতীয় নিরাপত্তা ও অখণ্ডতা রক্ষায় ইমিগ্রেশন বিভাগ ভবিষ্যতেও কঠোর আইন প্রয়োগ অব্যাহত রাখবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়