শিরোনাম
◈ শ্বশুরের অতিরিক্ত বিচারক হওয়া নিয়ে ব্যাখ্যা দিলেন সারজিস ◈ কনস্যুলেটে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হামলা, ব্যবস্থা নিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে চিঠি ◈ পুলিশ বাহিনী সংস্কারে নানা চ্যালেঞ্জ ◈ ভারতীয় পণ্যে অতিরিক্ত শুল্কের কথা জা‌নি‌য়ে আ‌মে‌রিকা বিজ্ঞপ্তি জারি কর‌লো ◈ চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশ্বিনা আমের ড্রাই ম্যাংগো খুলতে পারে আম চাষীদের ভাগ্য! ◈ শেরপুরে ইয়াবাসহ ছাত্রদল সভাপতি র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার ◈ অটোরিকসা ও ইজিবাইকে শহর এখন শেরপুর! অনিয়ন্ত্রিত ও অদক্ষ চালকের বেপরোয়া চলাচলের কারণেও সৃষ্টি হচ্ছে যানজট ◈ অজিত দোভালের গোপন মিশন:ভিক্ষুকের ছদ্মবেশে পাকিস্তানের গোপন পরমাণু সংক্রান্ত তথ্যের হদিস পেয়েছিলেন ◈ মালয়েশিয়ায় বিদেশি শ্রমবাজারে শীর্ষে বাংলাদেশি কর্মীরা: সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৮ লাখ ◈ ট্রাকচালকদের ঘুমিয়ে পড়ার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট, ঘুম থেকে জাগিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে

প্রকাশিত : ২৬ আগস্ট, ২০২৫, ১১:১৩ দুপুর
আপডেট : ২৬ আগস্ট, ২০২৫, ০২:০৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অজিত দোভালের গোপন মিশন:ভিক্ষুকের ছদ্মবেশে পাকিস্তানের গোপন পরমাণু সংক্রান্ত তথ্যের হদিস পেয়েছিলেন

অজিত দোভালের গোপন মিশন:ভিক্ষুকের ছদ্মবেশে পাকিস্তানের গোপন পরমাণু সংক্রান্ত তথ্যের হদিস পেয়েছিলেন

মানি কন্ট্রোল: ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে এককালে পাকিস্তানের ইসলামাবাদে কর্মরত ছিলেন বর্তমান ভারতীয় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। সেই সময়ই পাকিস্তানের বই থেকে বহু গোপন গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের হদিস পান দোভাল। তারই মধ্যে এক ঘটনার কথা সদ্য প্রকাশিত বই ‘অজিত দোভাল-অন এ মিশন’ প্রকাশিত হয়েছে।

ডি দেবদত্তের লেখা এই বইতে অজিত দোভালকে ঘিরে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার কথা তুলে ধরা হয়। আর তা হল, পাকিস্তানের অন্দর থেকে সে দেশের পরমাণু সম্পর্কিত গোপন তথ্যের হদিস পাওয়ার ঘটনা। বইতে বলা হচ্ছে, ভারত ও পাকিস্তানের পরমাণু শক্তির শুরুর সময়ের ঘটনা। ১৯৭৪ সালে গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়ে ভারত জানান দিয়েছে পরমাণু অস্ত্র শক্তিতে এদেশ কতটা শক্তিধর। পাকিস্তান ততক্ষণে মুখিয়ে রয়েছে পরমাণু অস্ত্রে শক্তিধর হতে। ততক্ষণে পাকিস্তান পাচ্ছে চীন  ও উত্তর কোরিয়ার মদদ। এই সময়ে পাকিস্তানের অন্দরে কী ঘটছে, তার হদিস পেতে দিল্লি ভরসা করেছিল ‘আন্ডার কভার’ এ থাকা অজিত দোভালকে।  

ডি দেবদত্তার লেখা বই বলছে, পাকিস্তানের কাহুতা গ্রামের আশপাশে সেই সময় ভিক্ষুকের ছদ্মবেশে ঘোরাঘুরি শুরু করেন দোভাল। রাস্তা চলতি অনেকেই তাকে টোকা মেরে যেতেন নিরীহ ভিক্ষুক ভেবে। এদিকে, সকলের অলক্ষ্যে দোভালের নজরে ‘খান রিসার্চ সেন্টার’। একদিন দোভালের নজরে আসে এক সেলুন। মূলত তা চুল, দাড়ি কাটার পাতি দোকান ছিল। দোভাল দেখেন সেই দোকানে প্রায়সই বিজ্ঞানীদের যাতায়াত হচ্ছে। আর সেই বিজ্ঞানীরা ‘খান রিসার্চ সেন্টার’-এর। কাল বিলম্ব করেননি ভারতের এই তীক্ষ্ণ বুদ্ধিধর ইন্টেল কর্তা!

বই বলছে, ওই চুল, দাঁড়ি কাটার দোকানের সামনেই ভিক্ষুক হিসাবে দোভাল সেখানে বসতেন। নজরে ছিল, দোকানের ভেতর কাটা ‘চুল’! বইতে বর্ণিত রয়েছে, সেউই কাটা চুল সংগ্রহ করতেন ছদ্মবেশী দোভাল। তা ভারতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। আর সেই চুলই ছিল দোভাল তথা ভারতের হাতে আসা পাকিস্তানের পরমাণু কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার প্রধান অস্ত্র!

বইটিতে প্রকাশিত হয়েছে, বিজ্ঞানীদের চুলে ইউরেনিয়ামের উপস্থিতি মিলেছিল। সেই তথ্য পাকিস্তানের পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর ক্ষমতাকে প্রায় ১৫ বছর বিলম্বিত করেছিল। এই অভিযানকে দোভালের সবচেয়ে সাহসী এবং উদ্ভাবনী গোয়েন্দা অভিযানগুলোর মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বইতে বলা হয়েছে, অজিত দোভালের মিশন ছিল, ইসলামাবাদের কাছে কাহুতা গ্রামের ‘খান রিসার্চ সেন্টার’ কী হচ্ছে তা জানা। সাধারণ গ্রামের ভেতর প্রবল নিরপত্তার ঘেরাটোপে থাকা ওই এলাকা তখন দিল্লির ইন্টেলিজেন্সের পাখির চোখ।

দোভাল বুঝেছিলেন এই মিশন ঘিরে প্রমাণ হাতে পাওয়ার গুরুত্ব কতটা। এই প্রমাণ হাতে আসার পর  ভারত পাকিস্তানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার নীলনকশা উন্মোচন করতে সক্ষম হয়েছিল। দোভাল ছয় বছর ধরে পাকিস্তানে গোপনে বসবাস করেছিলেন, কার্যত মৃত্যুর ঝুঁকির মুখে। তার প্রচেষ্টা ভারতীয় গোয়েন্দাদের পাকিস্তানের পারমাণবিক আকাঙ্ক্ষার পরিধি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করেছিল। সূত্র: মানবজমিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়