লেবাননের প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর উপ-মহাসচিব শেখ নাঈম কাসেম সতর্ক করে বলেছেন, ইসরাইলের যে নিরাপত্তা বলয় গত কয়েক মাসে গড়ে তোলা হয়েছে, তা এক ঘণ্টার ক্ষেপণাস্ত্র হামলাতেই ধসে যেতে পারে।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) এক বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন। ইরানি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রয়াত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাঈদ ইজাদির স্মরণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
নাঈম কাসেম বলেন, লেবাননে প্রতিরোধ শক্তি এখন আগের চেয়ে বেশি সুসংগঠিত এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পূর্ণ প্রস্তুত। এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে আসা অস্ত্র হস্তান্তরের আহ্বানও প্রত্যাখ্যান করেন।
তিনি বলেন, শহীদ জেনারেল ইজাদি ছিলেন ফিলিস্তিনি মুক্তি সংগ্রামের একনিষ্ঠ সমর্থক এবং হিজবুল্লাহসহ প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর পাশে দাঁড়াতেন সবসময়। আল-আকসা অভিযানে তার ভূমিকাকে ‘অলৌকিক’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বৈরুত বন্দরের বিস্ফোরণ ইস্যুতে নাঈম কাসেম বলেন, হিজবুল্লাহ চায় সত্য উদঘাটন হোক এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।
মার্কিন প্রতিনিধি টম ব্যারাকের প্রস্তাব সম্পর্কে তিনি বলেন, এ ধরনের প্রস্তাব কেবলমাত্র ইসরাইলের স্বার্থ সংরক্ষণে কাজ করে, লেবাননের নিরাপত্তার চাহিদা এতে উপেক্ষিত থাকে।
তিনি অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্র চায় না লেবাননের সেনাবাহিনী এমন অস্ত্র অর্জন করুক যা ইসরাইলের জন্য হুমকি হতে পারে। আর এ কারণেই হিজবুল্লাহকে অস্ত্র ছাড়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।
তার প্রশ্ন, “যদি প্রতিরোধ শক্তি নিরস্ত্র হয়, তাহলে কে লেবাননকে রক্ষা করবে?” তিনি জানান, ইসরাইলি নেতারা নিজেরাই বলেছে—যতক্ষণ হিজবুল্লাহ অস্ত্র ছাড়বে না, ততক্ষণ তাদের অভিযান থামবে না।
বক্তব্যের শেষ দিকে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “ইসরাইলের নিরাপত্তা স্থায়ী নয়, মুহূর্তের মধ্যেই তা চুরমার হয়ে যেতে পারে।”
সূত্র: মেহের নিউজ