ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কঠোর মন্তব্য করে বলেছেন, ইরান ‘আমেরিকার মুখে এক কঠিন থাপ্পড়’ দিয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, এই অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নয়, বরং দেশটিকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে খামেনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক সংঘাতে সরাসরি প্রবেশ করেছে, কারণ তারা আশঙ্কা করেছিল যে তারা হস্তক্ষেপ না করলে "ইহুদিবাদী শাসন সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যাবে"। তিনি দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র "এই যুদ্ধ থেকে কোনো সাফল্য অর্জন করতে পারেনি," বরং ইরান এই সংঘাতে "বিজয়ী" হয়েছে। তার এই বক্তব্যটি পরে ইংরেজি ভাষাতেও প্রকাশ করা হয়, যেখানে তিনি পুনরায় বলেন, "ইসলামী প্রজাতন্ত্র আমেরিকার মুখে এক কঠিন থাপ্পড় দিয়েছে"।
আয়াতুল্লাহ খামেনি যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের উদ্দেশ্য নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, আমেরিকা বিভিন্ন সময়ে মানবাধিকার, নারী অধিকার, পারমাণবিক কর্মসূচি বা ক্ষেপণাস্ত্র ইস্যুকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করলেও তাদের মূল লক্ষ্য একটিই। তার কথায়, “আসলে এর মূলে সর্বদা একটা জিনিস ছিল, তারা চায় ইরান আত্মসমর্পণ করুক।"
পূর্বের একটি মার্কিন হামলার প্রসঙ্গ টেনে খামেনি বলেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে আক্রমণ করে আমেরিকা "উল্লেখযোগ্য কিছু অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে"। তিনি তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ঘটনাটিকে "অস্বাভাবিকভাবে অতিরঞ্জিত" করার অভিযোগ এনে বলেন, যে কেউ শুনলেই বুঝবে আমেরিকা সত্যকে বিকৃত করছে।
খামেনি আরও যোগ করেন, “আমরা এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিতে আক্রমণ করেছি এবং তারা বিষয়টিকে ছোট করে দেখানোর চেষ্টা করছে।" তার মতে, এই সমস্ত চাপ ও সংঘাতের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে নতজানু করতে চায়, কিন্তু ইরান নিজেদের অবস্থানে দৃঢ় রয়েছে। খবর: বিবিসি বাংলা।