শিরোনাম
◈ টেকনাফে বাংলাদেশি ১২ জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি ◈ রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ, ১৪টি শহর বিদ্রোহীদের দখলে, নজর রাখছে চীন ও ভারত ◈ বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মৃত্যু ঘটেছে: সালাহ উদ্দিন আহমদ ◈ খালেদা জিয়ার সঙ্গে রোববার সন্ধ্যায় বৈঠক করবেন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ◈ যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর শুল্ক প্রত্যাহারের ঘোষণা কার্নির ◈ আমাদের উপদেষ্টা যারা দায়িত্ব পালন করছেন, এখন অনেক ক্ষেত্রেই তারা অসহায়: মির্জা ফখরুল ◈ পরাজ‌য়ে শুরু, পরাজয় দি‌য়ে শেষ বাংলা‌দেশ দ‌লের টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ◈ আমাকেও বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হতে পারে: অমর্ত্য সেন ◈ ঢাকায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ‘ঐতিহাসিক’ বলছে ইসলামাবাদ ◈ ২০২৬ সালের এইচএসসি পরীক্ষার সময় জানাল এনসিটিবি

প্রকাশিত : ২৬ জুন, ২০২৫, ০৭:২৮ বিকাল
আপডেট : ২২ আগস্ট, ২০২৫, ০৪:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

১১৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ: ধামাকা শপিংয়ের এমডির ৬২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, তদন্তে অর্থপাচারের প্রমাণ

বাজেয়াপ্ত করা সম্পদের মধ্যে রয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এস. এম. ডি. জসীম উদ্দিন চিশতীর নামে রাজধানীর বনানী মডেল টাউনে অবস্থিত একটি বহুতল ভবন, যার বাজারমূল্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা। এ ছাড়া মাইক্রো ট্রেড ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড-এর নামে গাজীপুরের কাশিমপুর পূর্ব বাগাবাড়ী এলাকায় ৪১ শতাংশ জমি, যার আনুমানিক মূল্য ১২ কোটি টাকা। 

গ্রাহকের প্রায় ১১৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং অর্থ পাচারের অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান 'ধামাকা শপিং'-এর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে প্রায় ৬২ কোটি টাকার সম্পত্তি (ক্রোক) বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের সহকারী পুলিশ সুপার জনাব আল মামুন–এর আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১৬ জুন ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ, মহানগর দায়রা জজ আদালত এই সম্পত্তিগুলো ক্রোক করার নির্দেশ দেন।

তদন্তে জানা যায়, ধামাকা শপিং নামের অনলাইন প্ল্যাটফর্মটি যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর এবং সিটি কর্পোরেশন থেকে কোনো বৈধ নিবন্ধন না নিয়েই অবৈধভাবে ইনভেরিয়েন্ট টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেড–এর ছত্রছায়ায় পরিচালিত হচ্ছিল। 

প্রতিষ্ঠানটি স্বল্প মূল্যে পণ্য সরবরাহের প্রলোভন দেখিয়ে, হাজার হাজার গ্রাহক ও বিক্রেতাদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। ধামাকা শপিং-এর নিজস্ব কোনো ব্যাংক হিসাব না থাকলেও তারা ইনভেরিয়েন্ট টেলিকম–এর সাউথইস্ট ব্যাংক, সিটি ব্যাংক ও ডাচ-বাংলা ব্যাংকের হিসাব ব্যবহার করে লেনদেন পরিচালনা করত। 

তদন্তে সাউথইস্ট ব্যাংকের একটি হিসাব বিশ্লেষণে দেখা যায়, সেখানে ধামাকা শপিং–এর ব্যবসা সংক্রান্ত প্রায় ৫৮৮ কোটি ৯১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে; অথচ ২০২১ সালের ২৭ জুন হিসাবটিতে মাত্র ৯৩ হাজার ৭৩১ টাকা স্থিতি ছিল—যা অত্যন্ত অস্বাভাবিক এবং আর্থিক জালিয়াতির প্রমাণ বহন করে বলে জানিয়েছে সিআইডি। 

সিআইডির তদন্তে আরও উঠে এসেছে, ধামাকা শপিং-এর মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে আত্মসাৎকৃত অর্থ প্রতিষ্ঠানের এমডি চিশতীর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের একাউন্টে স্থানান্তর করা হয়। এমনকি মিকো ট্রেড ফুড অ্যান্ড বেভারেজ–এর একাউন্টেও এসব অর্থ অবৈধভাবে হস্তান্তর করা হয়, যা মানি লন্ডারিংয়ের শামিল। 

এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২–এর ৪(২)/৪(৪) ধারায় রাজধানীর বনানী মডেল থানায় ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর একটি মামলা দায়ের করা হয়। আসামিরা বর্তমানে সবাই দেশের বাইরে অবস্থান করছে। তারা আত্মসাতকৃত অর্থের একটি বড় অংশ বিদেশে পাচার করেছে বলে তদন্তে জানা গেছে। 

বিদেশে পাচার হওয়া অর্থের উৎস, গন্তব্য ও ব্যবহার সম্পর্কেও বিস্তারিত অনুসন্ধান করছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের বিশেষ দল, যার নেতৃত্বে রয়েছেন বিশেষ পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ। সূত্র: টিবিএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়