শিরোনাম
◈ ‘বাংলাদেশি আন্টিদের’ ধন্যবাদ দিয়ে ভোট বিপ্লবের বার্তা নিউইয়র্কের মেয়র জোহরান মামদানির (ভিডিও) ◈ ৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ ঘোষণা প্রত্যাখ্যান হাসনাত-সারজিসের ◈ ১১৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ: ধামাকা শপিংয়ের এমডির ৬২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, তদন্তে অর্থপাচারের প্রমাণ ◈ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ ◈ শেখ পরিবারের নামে থাকা সহস্রাধিক অবকাঠামোর নাম পরিবর্তন ◈ কল‌ম্বো টে‌স্টে চা‌পে বাংলা‌দেশ,  দিক পা‌চ্ছে না টাইগার বোলাররা ◈ রাইস কুকারে রান্নার সময় কোলের শিশুসহ মায়ের মৃত্যু! ◈ যুক্তরাষ্ট্রকে কঠিন থাপ্পড় দিয়েছে ইরান, আসল লক্ষ্য ছিল আমাদের আত্মসমর্পণ করানো”—খামেনি ◈ ‌লিও‌নেল মে‌সি আবারও মেজর লিগের সবচেয়ে পারিশ্রমিক পাওয়া ফুটবলার ◈ ডলার দরপতনে রেকর্ড, ট্রাম্পের নীতিতে অস্থির মুদ্রাবাজার

প্রকাশিত : ২৬ জুন, ২০২৫, ০৩:৪৩ দুপুর
আপডেট : ২৬ জুন, ২০২৫, ০৭:১৬ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পাকিস্তানকে পারমাণবিক শক্তিধর হওয়া থেকে রুখতে ইসরায়েলের গোপন বোমা হামলার পরিকল্পনা: চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস

ইসরায়েলি দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা সংস্থার তৎপরতা আর যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বব্যাপী আধিপত্য থাকা সত্ত্বেও আবদুল কাদির খানের নেতৃত্বে ১৯৭০-৮০-এর দশকে ইসলামাবাদে পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য একটি সাহসী অভিযান শুরু হয়। বহু হুমকি আর প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত সফলভাবে পারমাণবিক বোমা তৈরি করে ফেলে পাকিস্তান। খবর: মিডল ইস্ট আই

তবে, পাকিস্তানের পারমাণবিক বোমা তৈরির কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য ছিল ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের কাছে। পাকিস্তানকে পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ হিসেবে ব্যর্থ করতে যোগ দিয়েছিল ভারতও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাদির খান কিংবা পাকিস্তানকে ব্যর্থ করতে পারেনি তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-এর সাবেক পরিচালক জর্জ টেনেট আবদুল কাদির খানকে "ওসামা বিন লাদেনের মতো বিপজ্জনক" বলে মনে করেছিলেন এবং প্রাক্তন মোসাদ প্রধান শাবতাই শাবিত তাকে হত্যা না করার জন্য অনুতপ্ত ছিলেন।

কিন্তু প্রায় ২৫ কোটি পাকিস্তানির কাছে, দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচির নায়ক আবদুল কাদির খান একজন কিংবদন্তি এবং জাতীয় বীর হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। ১৯৩৬ সালে জন্মগ্রহণকারী এবং ২০২১ সালে ৮৫ বছর বয়সে মারা যাওয়া এই পারমাণবিক বিজ্ঞানী দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য অন্য যে কারোর চেয়ে বেশি অবদান রেখেছিলেন।

তিনি ইরান, লিবিয়া এবং উত্তর কোরিয়াকে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচিতে সহায়তা করে একটি অত্যাধুনিক এবং গোপন আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কও পরিচালনা করতেন। এই দেশগুলোর মধ্যে উত্তর কোরিয়া শেষ পর্যন্ত লোভনীয় সামরিক মর্যাদার প্রতীক অর্জন করতে পেরেছে।

পাকিস্তানের এই অর্জন কোনোভাবেই সহ্য করতে পারেনি ইসরায়েল। অভিযোগ রয়েছে, পাকিস্তানকে পারমাণবিক শক্তি অর্জন থেকে বিরত রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের হত্যার চেষ্টা করেছিল দখলদার দেশটি।

১৯৮০-এর দশকে ইসরায়েল ভারতের সহায়তায় পাকিস্তানের পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলার পরিকল্পনাও করেছিল, যে পরিকল্পনা থেকে ভারত সরকার পরে সরে আসে।

গুপ্তহত্যার প্রচেষ্টা এবং হুমকি
১৯৭৯ সালের জুন মাসে, ৮ ডেজ ম্যাগাজিন এই অভিযানের কথা প্রকাশ করে। বিভিন্ন দেশে শুরু হয় তোলপাড়। নিজের কর্মস্থল নেডারল্যান্ডের পরমাণু গবেষণা কোম্পানি ইউরেনকো থেকে কাদির খান পরমাণু অস্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ মেশিন সেন্ট্রিফিউজের নকশা চুরি করে পাকিস্তানে চলে এসেছিলেন বলে অভিযোগ ছিল। সেই নকশা ব্যবহার করেই তিনি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

এ কারণে, ইসরায়েল ডাচদের কাছে প্রতিবাদ জানায় এবং তদন্তের নির্দেশ দেয়। ১৯৮৩ সালে একটি ডাচ আদালত গুপ্তচরবৃত্তির চেষ্টার জন্য খানকে দোষী সাব্যস্ত করে। কিন্তু পারমাণবিক কর্মসূচির কাজ অব্যাহত ছিল। ১৯৮৬ সাল নাগাদ, খান আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির ক্ষমতা রয়েছে।

তার প্রেরণা মূলত আদর্শিক ছিল। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি আমেরিকান এবং ব্রিটিশদের পবিত্র-অপরাধী মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চাই। এই “জারজরা” কি ঈশ্বর-নিযুক্ত বিশ্বের অভিভাবক?’

এই কর্মসূচিকে ধ্বংস করার জন্য গুরুতর প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল, যার মধ্যে ছিল ধারাবাহিক গুপ্ত হত্যার চেষ্টা। ধারণা করা হয়, এই পরিকল্পনা করেছিল ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ।

পাকিস্তানের কাছে পরমাণু অস্ত্র বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় উপকরণ না থাকায় বিদেশের বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে নিজের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে উপকরণ আমদানি করতেন খান। তাই খানের সাথে ব্যবসা করা ইউরোপীয় কোম্পানির নির্বাহীরা মোসাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। পশ্চিম জার্মানির একজনের কাছে একটি পার্সেল পাঠানো হয়। সেটিতে থাকা বোমার আঘাতে তিনি বেঁচে গেলেও তার কুকুরটি নিহত হয়।

আরেকটি বোমা হামলায় পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে কাজ করা সুইস কোম্পানি কোরা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের একজন সিনিয়র এক্সিকিউটিভকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়।

অ্যাড্রিয়ান লেভি, ক্যাথেরিন স্কট-ক্লার্ক এবং অ্যাড্রিয়ান হ্যানিসহ ঐতিহাসিকরা যুক্তি দিয়েছেন, পাকিস্তানকে বোমা তৈরি থেকে বিরত রাখার জন্য মোসাদ হুমকি এবং হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল।

একটি কোম্পানির মালিক সিগফ্রাইড শেরটলার সুইস ফেডারেল পুলিশকে জানান, মোসাদের এজেন্টরা তাকে এবং তার বিক্রয়কর্মীদের বারবার ফোন করেছিলেন।

তিনি বলেছিলেন, জার্মানিতে ইসরায়েলি দূতাবাসের ডেভিড নামে একজন কর্মচারী তার সাথে যোগাযোগ করেছিলেন, যিনি তাকে পারমাণবিক অস্ত্র সম্পর্কিত "এই ব্যবসা" বন্ধ করতে বলেছিলেন।

পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির প্রাক্তন কর্মকর্তা ফিরোজ খানের মতে, ‘ইসরায়েলিরা চায়নি যে কোনো মুসলিম দেশ তাদের বহরে বোমা রাখুক।’

ইসরায়েলের সঙ্গে যেভাবে যুক্ত হয় ভারত
১৯৮০ এর দশকের গোড়ার দিকে ইসরায়েল ভারতকে প্রস্তাব দিয়েছিল যে তারা উভয়েই পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি জেলার কাহুতায় পাকিস্তানের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস করার জন্য বোমা হামলা চালাতে একযোগে কাজ করবে। এই হামলার অনুমোদনও দেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী।

ভারতের গুজরাটের জামনগর বিমানঘাঁটি থেকে ইসরায়েলি এফ-১৬ এবং এফ-১৫ যুদ্ধবিমান উড্ডয়নের এবং স্থাপনায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু গান্ধী পরে পিছু হটলে পরিকল্পনাটি বাতিল হয়ে যায়।

১৯৮৭ সালে, যখন তার ছেলে রাজীব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন ভারতীয় সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল কৃষ্ণস্বামী সুন্দরজী পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করার চেষ্টা করেছিলেন যাতে ভারত কাহুতা পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালাতে পারে। তিনি শত শত ট্যাঙ্ক এবং সাঁজোয়া যানসহ সামরিক মহড়ার জন্য পাকিস্তান সীমান্তে পাঁচ লক্ষ সেনাও পাঠিয়েছিলেন।

কিন্তু সুন্দরজীর পরিকল্পনা সম্পর্কে সঠিকভাবে অবহিত না হওয়া ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা কমিয়ে আনেন এবং শত্রুতা শুরুর এই প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়।

তবে ভারত ও ইসরায়েলি বিরোধিতা সত্ত্বেও, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন উভয়ই গোপনে পাকিস্তানকে সাহায্য করেছিল। চীন পাকিস্তানিদের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম, ট্রিটিয়াম এমনকি বিজ্ঞানীও সরবরাহ করেছিল। আর যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন থাকার কারণ হলো, পাকিস্তান ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ শীতল যুদ্ধের মিত্র।

পাকিস্তানের কর্মসূচি উন্মোচিত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন রাষ্ট্রপতি জিমি কার্টার ১৯৭৯ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানে সাহায্য বন্ধ করে দেন, কিন্তু কয়েক মাস পরে সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তান আক্রমণ করলে সিদ্ধান্তটি পরিবর্তন করেন তিনি।

১৯৮০-এর দশকে, যুক্তরাষ্ট্র গোপনে পাকিস্তানি পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ দেয় এবং তার কর্মসূচি থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নেয়। কিন্তু শীতল যুদ্ধের সমাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে সবকিছু বদলে যায়।

১৯৯০ সালের অক্টোবরে আমেরিকা পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচির প্রতিবাদে অর্থনৈতিক ও সামরিক সাহায্য বন্ধ করে দেয়। পাকিস্তান তখন বলে যে তারা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি বন্ধ করবে। অত্যন্ত সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের উৎপাদন গোপনে অব্যাহত রয়েছে বলে পরে শিকার করেন এ কিউ খান।

সপ্তম পারমাণবিক শক্তি
১৯৯৮ সালের ১১ মে ভারত তার পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করে। এরপর পাকিস্তান সব প্রতিবন্ধকতা আর হুমকিকে পেছনে ফেলে ওই মাসের শেষের দিকে ২৮ মে বেলুচিস্তান মরুভূমিতে সফলভাবে নিজস্ব পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করে। এরপর ভারত ও পাকিস্তান উভয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে প্রতিক্রিয়া জানায় যুক্তরাষ্ট্র।

ভারত জায়গা করে নেয় ষষ্ঠ পারমাণবিক রাষ্ট্র হিসেবে এবং বিশ্বের সপ্তম পারমাণবিক শক্তিতে পরিণত হয় পাকিস্তান। পাকিস্তানের এই অর্জনের পর দেশটির নাগরিকদের কাছে জাতীয় বীর হয়ে ওঠেন কাদির খান।

এরপর থেকে প্রধানমন্ত্রীর মতো বিশাল মোটরকেডে তাকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে নিয়ে যাওয়া হতো তাকে এবং সেনাবাহিনীর কমান্ডোরা পাহারাও দিতো তাকে। রাস্তাঘাট, স্কুল এবং একাধিক ক্রিকেট দলের নামকরণ করা হয়েছিল তার নামে।

খান জাতীয় টেলিভিশনে ঘোষণা করেন,  ‘কে পারমাণবিক বোমা তৈরি করেছে? আমি এটা তৈরি করেছি। কে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে? আমি এগুলো তৈরি করেছি।’

খান আরেকটি সাহসী অভিযানও পরিচালনা করেছিলেন। ১৯৮০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে, তিনি একটি আন্তর্জাতিক পারমাণবিক নেটওয়ার্ক পরিচালনা করতেন যা ইরান, উত্তর কোরিয়া এবং লিবিয়ায় প্রযুক্তি এবং নকশা পাঠাত।

তিনি পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচির দ্বিগুণ যন্ত্রাংশ অর্ডার করতেন এবং তারপর গোপনে অতিরিক্ত যন্ত্রাংশ বিক্রি করতেন। ১৯৮৬ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে, পাকিস্তান ইরানকে বোমা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় মূল উপাদানগুলো সরবরাহ করে।

১৯৮০ এবং ১৯৯০-এর দশকে মধ্যপ্রাচ্যে ভ্রমণের সময় মোসাদ খানকে নজরদারিতে রেখেছিল, কিন্তু এই বিজ্ঞানী কী করছেন তা বের করতে ব্যর্থ হয় ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থাটি।

তৎকালীন মোসাদ প্রধান শাভিত পরে বলেছিলেন, তিনি যদি খানের উদ্দেশ্য বুঝতে পারতেন, তাহলে ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করার জন্য তিনি খানকে হত্যার আদেশ দেয়ার কথা বিবেচনা করতেন।

গাদ্দাফি অভিযানের কথা ফাঁস করে দেন
শেষ পর্যন্ত, ২০০৩ সালে লিবিয়ার স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন আদায়ের চেষ্টায় খানের অভিযান ব্যর্থ করে দেন। গাদ্দাফি সিআইএ এবং এমআই৬-এর কাছে প্রকাশ করেন যে খান তার সরকারের জন্য পারমাণবিক স্থাপনা তৈরি করছেন।

এরই ধারাবাহিকতায় সুয়েজ খাল দিয়ে পাচারের সময় লিবিয়াগামী যন্ত্রপাতি সিআইএ আটক করে। তদন্তকারীরা ইসলামাবাদের একটি ড্রাই ক্লিনার থেকে ব্যাগে করে অস্ত্রের নীলনকশা খুঁজে পান। যখন অভিযানটি উন্মোচিত হয়, তখন আমেরিকানরা ভীত হয়ে পড়ে।

এরপর ২০০৪ সালে খান পারমাণবিক বিস্তার নেটওয়ার্ক পরিচালনার কথা স্বীকার করে বলেন যে তিনি ইরান, লিবিয়া এবং উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক প্রযুক্তি সরবরাহ করেছিলেন। তবে এতে পাকিস্তান সরকারের কোনো সমর্থন ছিল না বলেও জানান তিনি।

অবশ্য তিনি অনেকটা বাধ্য হয়েই এই স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে এ বিষয়ে প্রবল চাপে রেখেছিল। শেষ পর্যন্ত মার্কিন চাপের কারণে তাকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ইসলামাবাদে কার্যকরভাবে গৃহবন্দী করে রাখা হয়।

পরবর্তীতে এ কিউ খান বলেছিলেন, ‘আমি যখন পাকিস্তানকে একটি পারমাণবিক দেশ হিসেবে গড়ে তুলি তখন প্রথমবারের মতো দেশকে রক্ষা করেছিলেন এবং যখন আমি স্বীকার করেছিলাম এবং পুরো দোষ নিজের ওপর নিয়েছিলাম তখন আবারও দেশকে রক্ষা করেছিলেন।’ অনুবাদ: চ্যানেল24

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়