শিরোনাম
◈ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ ◈ শেখ পরিবারের নামে থাকা সহস্রাধিক অবকাঠামোর নাম পরিবর্তন ◈ কল‌ম্বো টে‌স্টে চা‌পে বাংলা‌দেশ,  দিক পা‌চ্ছে না টাইগার বোলাররা ◈ রাইস কুকারে রান্নার সময় কোলের শিশুসহ মায়ের মৃত্যু! ◈ যুক্তরাষ্ট্রকে কঠিন থাপ্পড় দিয়েছে ইরান, আসল লক্ষ্য ছিল আমাদের আত্মসমর্পণ করানো”—খামেনি ◈ ‌লিও‌নেল মে‌সি আবারও মেজর লিগের সবচেয়ে পারিশ্রমিক পাওয়া ফুটবলার ◈ ডলার দরপতনে রেকর্ড, ট্রাম্পের নীতিতে অস্থির মুদ্রাবাজার ◈ এনবিআর ভবন ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বাইরে বিক্ষোভ ◈ সরকারি ভবনে সোলার বসিয়ে বিদ্যুৎ বাঁচানোর পরিকল্পনা ◈ ক্ষমতার লোভে শেখ মুজিবও কারচুপি করেছিলেন, আদালতে হাবিবুল আউয়াল

প্রকাশিত : ২৬ জুন, ২০২৫, ০৩:১৬ দুপুর
আপডেট : ২৬ জুন, ২০২৫, ০৭:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ট্রাম্পের প্রতিরক্ষা বাজেট প্রস্তাব: কমছে এফ-৩৫, বাড়ছে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের বহর

আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে ২০২৫ অর্থবছরের জন্য ৮৯৩ বিলিয়ন ডলারের একটি বিশাল প্রতিরক্ষা বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। এই প্রস্তাবে মার্কিন সামরিক কৌশলে বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়ে ব্যয়বহুল এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের সংখ্যা কমানোর কথা বলা হয়েছে। এর পরিবর্তে হাজার হাজার স্বল্প মূল্যের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র এবং অন্যান্য স্বয়ংক্রিয় সামরিক প্রযুক্তির উপর জোর দেওয়া হয়েছে।

ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত উপদেষ্টারা জানিয়েছেন, এই নতুন নীতির মূল লক্ষ্য হলো মার্কিন সামরিক বাহিনীকে আরও আধুনিক, সাশ্রয়ী এবং যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করে তোলা। তাদের মতে, অল্প সংখ্যক অত্যন্ত ব্যয়বহুল যুদ্ধবিমানের চেয়ে হাজার হাজার সস্তা ও স্বয়ংক্রিয় ড্রোনের ঝাঁক প্রতিপক্ষের জন্য অনেক বেশি কার্যকর প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে।
ট্রাম্পের সম্ভাব্য জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং এই নীতির অন্যতম প্রবক্তা এলব্রিজ কোলবি রয়টার্সকে বলেন, "আমরা আরও সস্তা, অধিক সংখ্যক এবং স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার দিকে ঝুঁকছি, যা প্রতিপক্ষের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে।" তিনি আরও বলেন, এই কৌশলের মাধ্যমে মার্কিন সামরিক বাহিনীকে আরও টেকসই এবং প্রভাবশালী করে তোলা সম্ভব।

প্রতিরক্ষা শিল্পে সম্ভাব্য বড় পরিবর্তন
ট্রাম্পের এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে মার্কিন প্রতিরক্ষা শিল্পে বড় ধরনের ওলটপালট হতে পারে। এর সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়বে বিশ্বের সবচেয়ে দামী যুদ্ধবিমান এফ-৩৫ এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিনের উপর। ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় এলে এই কর্মসূচিতে বরাদ্দ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেতে পারে।

অন্যদিকে, এই প্রস্তাবে লাভবান হতে পারে এমন সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাতা আরটিএক্স (RTX) এবং ড্রোন নির্মাতা জেনারেল অ্যাটোমিকসের (General Atomics) মতো প্রতিষ্ঠানগুলো। এছাড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা নতুন সংস্থাগুলোর জন্যও বড় সুযোগ তৈরি হতে পারে।

বাইডেন প্রশাসনের চেয়ে বড় বাজেট
ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ৮৯৩ বিলিয়ন ডলারের এই বাজেট বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রস্তাবিত ৮৫০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা বাজেটের চেয়েও বেশি। এটি ট্রাম্পের 'আমেরিকা ফার্স্ট' নীতির প্রতিফলন, যেখানে তিনি মার্কিন সামরিক শক্তিকে অপ্রচলিত এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে আরও শক্তিশালী করার উপর গুরুত্ব দিচ্ছেন।

উল্লেখ্য, এটি এখনো একটি নির্বাচনী প্রস্তাব। ডোনাল্ড ট্রাম্প নভেম্বরের নির্বাচনে জয়ী হলে এই বাজেট কংগ্রেসে উপস্থাপন করা হবে এবং অনুমোদনের জন্য দীর্ঘ আলোচনার প্রয়োজন হবে। তবে এই প্রস্তাবটি ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ প্রতিরক্ষা নীতি ও সামরিক শিল্প নিয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। উৎস: রয়টার্স

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়