ইরান নিয়ে ব্যাপকভাবে ভুয়া তথ্য প্রচারের জন্য এবার ইসরায়েলের চ্যানেল-১৪ টার্গেট লিস্টে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে চ্যানেল-১৪ অফিস খালি করে দিতে বলেছেন ইরানের সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করে হিব্রু ভাষার সংবাদমাধ্যম ইসরায়েল হায়োম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসরায়েলের চ্যানেল-১৪ এর অফিস খালি করতে বলেছে ইরান। এটিতে যে কোনো সময় হামলা চালানো হতে পারে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাম্প্রতিক অবস্থান নিয়ে কড়া সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স এক বিবৃতিতে স্পষ্ট ভাষায় বলেন, নেতানিয়াহু ২০০২ সালে যেমন ভুল ছিলেন, এখনও তিনি তেমনই ভুল করছেন।
ওই বিবৃতিতে বার্নি স্যান্ডার্স উল্লেখ করে বলেন, ২০০২ সালে কংগ্রেসে যুক্তরাষ্ট্রকে ইরাকে যুদ্ধের জন্য উৎসাহিত করে নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ‘সাদ্দাম পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই। যদি আপনি সাদ্দামের শাসন উৎখাত করেন, আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি, এর বিশাল ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এ বক্তব্যকে ভিত্তি করে ইরাক যুদ্ধ শুরু হয়, যার ফলে ভয়াবহ মানবিক ও অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটে।
স্যান্ডার্স আরও বলেন, নেতানিয়াহু তখন ভুল ছিলেন, মারাত্মক ভুল। ওই যুদ্ধে ৪ হাজার ৪৯২ জন মার্কিন সেনা প্রাণ হারান, আহত হন ৩২ হাজারেরও বেশি। তাছাড়া প্রায় তিন ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছিল সেই যুদ্ধে। সবচেয়ে মর্মান্তিক বিষয় হলো, লাখ লাখ নিরীহ ইরাকি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, আজও নেতানিয়াহু একই ধরনের যুদ্ধোন্মাদ অবস্থান নিচ্ছেন, এবার লক্ষ্য ইরান। কিন্তু আমেরিকার উচিত নয় সেই ভুল পথ আবার অনুসরণ করা। আমরা ইরানের বিরুদ্ধে নেতানিয়াহুর যুদ্ধে জড়াব না।
বার্নি স্যান্ডার্সের এই বক্তব্যের পর যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েল ইস্যুতে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছে। বিশেষ করে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে ডেমোক্রেটিক দলের প্রভাবশালী অংশ শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে। তাই মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ নয়, কূটনীতিই হতে হবে ভবিষ্যতের পথ হবে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।