শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৭ মে, ২০২৫, ১২:৩৮ রাত
আপডেট : ০৭ মে, ২০২৫, ০৩:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মোদির কড়া বার্তা সিন্ধুর পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে 

জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত কয়েক দশকের পুরোনো সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে নয়াদিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে মোদি বলেছেন, পাকিস্তানের সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত কোনও পরিবর্তন হবে না।

ভারতের সঙ্গে উত্তেজনায় সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি ছাড়াও স্থল সীমান্ত ও আকাশপথ বন্ধের পাশাপাশি পাকিস্তানিদের জন্য সব ধরনের ভিসা বাতিল করেছে ভারত। প্রতিবেশী দেশের এমন সিদ্ধান্তের পর পাল্টা একই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে পাকিস্তানও।

গত ২২ এপ্রিল কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৫ ভারতীয় ও এক নেপালি নাগরিকের প্রাণহানি ঘটে। পেহেলগামে এই হামলার ঘটনাকে ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর ভারতে সবচেয়ে প্রাণঘাতী বলে দাবি করা হচ্ছে।

ভারতের বিজেপি সরকার বলছে, পেহেলগামে হামলার পেছনে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ও ‘ডিপ স্টেট’র প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে আগেও সীমান্ত পেরিয়ে হামলা সহায়তার অভিযোগ করেছে ভারত। যদিও পাকিস্তান সরকার পেহেলগাম হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার এবং নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি করেছে।

দিল্লিতে মঙ্গলবার সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি বাতিলের বিষয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, পাকিস্তানে পানি সরবরাহ করার সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আসবে না। ভারতের পানি ভারতের স্বার্থেই ব্যবহার করা হবে। 

ভারতের এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আজকাল গণমাধ্যমে পানি নিয়ে প্রচুর আলোচনা হচ্ছে...এমনকি এর আগে ভারতের অধিকারে ছিল এমন পানিও দেশের বাইরে প্রবাহিত হয়েছে। এখন কেবল ভারতের উপকারের জন্যই ভারতের পানি প্রবাহিত হবে। এই পানি ভারতের সুবিধার জন্য সংরক্ষণ এবং ভারতের উন্নতির জন্য ব্যবহার করা হবে।’’

পেহেলগামে হামলার ঘটনার পরপরই ভারতের সরকার পাকিস্তানি নাগরিকদের সব ধরনের ভিসা বাতিল এবং ৬৫ বছর পুরোনো সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দেয়। সিন্ধু ও এর দুটি উপনদীর পানি ব্যবহার করে পাকিস্তানের প্রায় ৮০ শতাংশ কৃষিজমিতে সেচ দেওয়া হয়। চুক্তি অনুযায়ী, সিন্ধুর পানি সরিয়ে নেওয়ার জন্য ভারত অতিরিক্ত জলাধার নির্মাণ করতে পারতো না। কিন্তু চুক্তিটি স্থগিত করায় ভারত নতুন বাঁধ ও জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের কাজ শুরু করেছে।

নয়াদিল্লির এসব পদক্ষেপের জবাবে ভারতের সঙ্গে ভিসা ও ১৯৭২ সালের শিমলা চুক্তি স্থগিত করে পাকিস্তান। একই সঙ্গে সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করা হলে তা ‘যুদ্ধ ঘোষণার শামিল’ হবে বলে জানিয়ে দেয় ইসলামাবাদ। চলমান উত্তেজনায় উভয় দেশই সীমান্ত ও আকাশপথ বন্ধ করে দিয়েছে। সূত্র: এনডিটিভি।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়