শিরোনাম
◈ তরুণদের রাজনীতিতে আরও সক্রিয় হতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ ওরিয়ন গ্রুপের ৬৩৫ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের দাবি ◈ শতাধিক কারখানা বন্ধ, বিপাকে ৬০ হাজার শ্রমিক ◈ ডেনিম এক্সপোর ১৮তম আসর শুরু সোমবার ◈ টেকসই উন্নয়নে সকল খাতে ন্যায্য রূপান্তরের আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার ◈ এডিবির কাছে যে চার খাতে সহযোগিতা চাইলেন অর্থ উপদেষ্টা ◈ পাইপলাইনে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসছে জ্বালানি তেল, সাশ্রয় হবে ২৩৬ কোটি টাকা ◈ ভারতীয় ক্রিকেটার মোহাম্মদ শা‌মি‌কে প্রাণনাশের হুমকি ◈ ব্রা‌জিল আগামী সপ্তাহে নতুন কোচের নাম ঘোষণা করবে  ◈ বিএনপি চেয়ারপারসন এখনও আগের মতোই দেশের মানুষের পাশে থাকতে চান  জানালেন  ডা. জাহিদ 

প্রকাশিত : ০৬ মে, ২০২৫, ০৭:৪৪ বিকাল
আপডেট : ০৬ মে, ২০২৫, ১০:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভিসা কঠিন করছে যুক্তরাজ্য, নজরে পাকিস্তানসহ বেশ কয়েকটি দেশ

যুক্তরাজ্যে যারা কাজ কিংবা পড়াশোনার জন্য যান, অথচ পরে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে বসেন, এমন অভিবাসীদের দমনে নতুন কড়াকড়ি আরোপের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাজ্য সরকার। এর ফলে পাকিস্তান, নাইজেরিয়া ও শ্রীলঙ্কার মতো কয়েকটি দেশের নাগরিকদের জন্য যুক্তরাজ্যে কাজ ও পড়াশোনার ভিসা পাওয়া কঠিন হতে পারে। মঙ্গলবার যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক দ্য টাইমসের বরাত দিয়ে এই খবর প্রকাশ করেছে বিবিসি।

ব্রিটিশ হোম অফিসের মতে, অনেকেই বৈধভাবে ভিসা নিয়ে যুক্তরাজ্যে গিয়ে পরে আশ্রয়ের আবেদন করেন। এই আবেদন মঞ্জুর হলে তাঁরা স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পান। এই প্রক্রিয়াকে ‘ব্যবস্থার অপব্যবহার’ হিসেবে দেখছে সরকার।

হোম অফিসে একজন মুখপাত্র বলেন, ‘আমাদের সামনে আসা ইমিগ্রেশন হোয়াইট পেপারে একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা থাকবে। এটি ভঙ্গুর অভিবাসন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবে।’

তবে কোন দেশের নাগরিকেরা সবচেয়ে বেশি ভিসার সময়সীমা অতিক্রম করেন—সেই সম্পর্কে ২০২০ সালের পর থেকে হোম অফিস কোনো নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি।

২০২৩ সালে যুক্তরাজ্যে ১ লাখ ৮ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয়ের আবেদন করেছেন, যা ১৯৭৯ সালের পর সর্বোচ্চ। এর মধ্যে পাকিস্তানি নাগরিক ছিলেন ১০ হাজার ৫৪২ জন, শ্রীলঙ্কার ২ হাজার ৮৬২ এবং নাইজেরিয়ার ২ হাজার ৮৪১ জন।

২০২৩-২৪ সালে যুক্তরাজ্যে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৭ লাখ ৩০ হাজার। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১ লাখ ৭ হাজার ৪৮০ জন ছিলেন ভারতীয় শিক্ষার্থী এবং ৯৮ হাজার ৪০০ শিক্ষার্থী ছিলেন চীনের।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার জানিয়েছেন, তিনি বৈধ ও অবৈধ উভয় ধরনের অভিবাসন হ্রাস করতে চান। তবে নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যার লক্ষ্যমাত্রা উল্লেখ করেননি দেননি।

স্টারমারের পরিকল্পনায় রয়েছে—সমুদ্রপথে বিপজ্জনক যাত্রাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা, বিদেশি শ্রমিকের ওপর নির্ভরশীল খাতগুলোতে স্থানীয়দের প্রশিক্ষণ জোরদার করা এবং অভিবাসনের সংখ্যা হ্রাস করা।

তবে আশ্রয়ের আবেদনকারীদের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে রিফিউজি কাউন্সিলের প্রধান এনভার সলোমন বলেছেন, ‘কিছু শিক্ষার্থী বা কর্মী হয়তো দেশে ফেরার মতো নিরাপদ অবস্থায় নেই। সে জন্য তাদের আশ্রয়ের আবেদন সঠিকভাবে বিবেচনা করাই উচিত।’

সম্পূর্ণ পরিকল্পনাটি এই মে মাসেই একটি নতুন ইমিগ্রেশন হোয়াইট পেপারের মাধ্যমে প্রকাশিত হবে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়