শিরোনাম
◈ মানবিক করিডর আসলে কী, বিশ্বের কোথায় কতটা কার্যকর? ◈ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ কি আসন্ন, হুঙ্কার-পাল্টা হুঙ্কার ◈ ব্রাজিলের কোচ হওয়ার স্বপ্ন সফল হ‌লো না আনচেলত্তির, রিয়াল মা‌দ্রিদেই থাক‌তে হ‌চ্ছে ◈ বাংলাদেশে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আগ্রহী চীন ◈ উপদেষ্টা আসিফের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ, ব্যানার কেড়ে নেয়ায় ওসির গায়ে হাত তুলতে তেড়ে আসেন বিক্ষোভকারীরা (ভিডিও) ◈ আজ মহান মে দিবস ◈  নতুন আইন হচ্ছে  র‍্যাবকে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার ঠেকাতে ◈ চলতি মাসে ২৯ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২৬০ কোটি ৭৬ লাখ ডলার ◈ মন্ত্রিপরিষদকে নির্বাচন কমিশনের ১২ প্রস্তাব ◈ বগুড়ায় সারজিসের উপস্থিতিতে এনসিপি-বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দফায় দফায় সংঘর্ষ

প্রকাশিত : ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:০১ রাত
আপডেট : ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ০৫:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু আলোচনা নিয়ে এবার যা বললেন খামেনি

ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে আমেরিকা। শোনা যাচ্ছে, শিগগিরি হয়তো এই বিষয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবে দুই দেশ। কিন্তু তার আগেই তেহরানকে ফের হুঁশিয়ারি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, যদি ইরান তাদের কথা না শোনে, ইরানের পরমাণু ঘাঁটিতে হামলা করবে মার্কিন সেনা।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তেহরানের আলোচনা নিয়ে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান এ আলোচনা নিয়ে তেহরান অতিরিক্ত আশাবাদী বা হতাশ নয়। আয়াতুল্লাহ খামেনি মঙ্গলবার ইরানের নির্বাহী, বিচার বিভাগ এবং আইনসভা শাখার প্রধানদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেন।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, অবশ্যই আমরা তাদের নিয়ে বেশ সংশয়ে আছি। আমরা তাদের বিশ্বাস করি না। আমরা তাদের ব্যাপারে জানি। কিন্তু নিজেদের সক্ষমতার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। আমরা জানি, আমরা অনেক কিছু করতে পারি। আমরা অনেক পদ্ধতি জানি।

এই আলোচনার প্রথম পদক্ষেপ ভালোভাবেই বাস্তবায়ন করা গেছে বলেও মন্তব্য করেন খামেনি। তিনি জোর দিয়ে বলেন, দুপক্ষই লাল রেখা কী হবে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে। এখন সেগুলো সতর্কভাবে অনুসরণ করতে হবে। কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে না পারলেও এই আলোচনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

২০১৫ সালে পরমাণু চুক্তি নিয়ে যে ভুল হয়েছিল, এবার যেন সেই ভুল না হয়, তা নিয়েও খামেনি সতর্ক করে দিয়েছেন। তখন আলোচনার ওপরই সবকিছুকে নির্ভরশীল করে ফেলা হয়েছিল। আমরা আমাদের দেশকে শর্তাধীন বানিয়ে ফেলেছিলাম। এমন পরিস্থিতি বিরাজ করলে কেউ সময় বিনিয়োগ করতে চায় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত শনিবার ওমানের রাজধানীতে ইরান ও আমেরিকার মধ্যে পরমাণু ইস্যু নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। ওই আলোচনায় ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছেন।

ইরান বলেছে, আলোচনার লক্ষ্য কেবলমাত্র দেশটির বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবৈধ একতরফা নিষেধাজ্ঞা এবং ইরানের পারমাণবিক শক্তি কর্মসূচির বিভিন্ন দিক মোকাবিলা করা। এর সাথে অন্যান্য বিষয় যুক্ত থাকার জল্পনাকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।

২০১৫ সালে ইরান ও বিশ্বশক্তির মধ্যে স্বাক্ষরিত ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তি জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন অনুসারে যুক্তরাষ্ট্র কিছু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে। তবে চুক্তিটি সম্পন্ন হওয়ার তিন বছর পর ওয়াশিংটন নিষেধাজ্ঞাগুলি ফিরিয়ে আনে এবং ইরানের উপর আরও নিষেধাজ্ঞা দেয়। এরপর ইরান আবারও তাদের পরমাণু কর্মসূচিতে জোর দেয়।

ইরান বারবার বলছে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বাস করে না। ওয়াশিংটন এই প্রতিকূল মনোভাবকে সর্বোচ্চ চাপ হিসাবে অভিহিত করেছে। যার ফলে আমেরিকান কর্মকর্তারা বারবার ইরানের মাটিতে সামরিক শক্তি প্রয়োগের হুমকি দিচ্ছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়