শিরোনাম
◈ “জুলাই ছিল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের অমোঘ ডাক”— জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মরণে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য ◈ আমরা ‘ডু অর ডাই’ পরিস্থিতির মধ্যে চলে গিয়েছিলাম: নাহিদ ইসলামের বর্ণনায় জুলাইয়ের দিনগুলো ◈ বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি নাই, বাংলাদেশে আছে ছিনতাইকারী: ঢাকার পুলিশ কমিশনার ◈ বাংলাদেশের সম্মানসূচক নাগরিকত্ব পাওয়া ক্রিকেট কোচ গর্ডন গ্রিনিজকে যেভাবে বিদায় নিতে হয়েছিলো ◈ মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিদের নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য, কেউ কেউ আইএসের সঙ্গে যুক্ত (ভিডিও) ◈ এনসিপির ছায়ায় ফিরছে আওয়ামী লীগ : সাবেক এমপি কায়কোবাদ ◈ জমি অধিগ্রহণের পর সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল: চীনা বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ (ভিডিও) ◈ সার্ক অচল: চীন-পাকিস্তানের বিকল্প জোট গঠনের ভাবনা, বাংলাদেশ জানালো অংশ নেয়ার পরিকল্পনা নেই ◈ দে‌শি আম্পায়ার‌দের দক্ষতা বাড়া‌তে ৩ বছরের জন্য অ‌স্ট্রেলিয়ান সাইমন টাফেলকে নিয়োগ দিচ্ছে বিসিবি ◈ বিপিএল শুরু হ‌বে জানুয়া‌রি‌তে, দল এখ‌নো চূড়ান্ত হয়‌নি 

প্রকাশিত : ০৮ মার্চ, ২০২৫, ০৪:০৪ দুপুর
আপডেট : ১৩ মে, ২০২৫, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রতিবেশী দুই দেশের সঙ্গে যুদ্ধের আশঙ্কা, উদ্বেগ ভারতের সেনাপ্রধানের

পাকিস্তান ও চীনের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের যোগসাজশ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। একই সঙ্গে এই দুই দেশের দিক থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের আশঙ্কা রয়েছে বলে উদ্বেগ জানান তিনি।

ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন দেশটির সেনাপ্রধান।

 চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে জেনারেল উপেন্দ্র বলেন, আমাদের স্বীকার করতেই হবে যে, চীন এবং পাকিস্তানের মধ্যে একটি উচ্চ পর্যায়ের যোগসাজশ রয়েছে। ভার্চুয়াল মাধ্যমে তা প্রায় ১০০ শতাংশ। পাকিস্তানের যাবতীয় সরঞ্জাম চীন থেকে আসে। দু’দিক থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের আশঙ্কা রয়েছে, এটাই বাস্তবতা।
 
জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তান থেকে অনুপ্রবেশ ঘটেই চলেছে বলে দাবি করেন ভারতের সেনাপ্রধান। এর ফলে এর ফলে আগামী দিনে উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
 
 তবে কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা আগের চেয়ে অনেক কমেছে বলে মনে করেন তিনি। পরিসংখ্যান তুলে ধরে উপেন্দ্র জানান, ২০১৮ সালের পর থেকে কাশ্মীরে সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপের পরিমাণ ৮৩ শতাংশ কমে গেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর অক্লান্ত পরিশ্রমকেই এর জন্য কৃতিত্ব দিয়েছেন তিনি।
 
উপেন্দ্র জানিয়েছেন, কাশ্মীরে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ আগের চেয়ে অনেক কমেছে। গত কয়েক বছরে মাত্র ৪৫ জনকে এই ধরনের কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত হতে দেখা গিয়েছে। তবে সন্ত্রাস কমে কাশ্মীরে বেড়েছে পর্যটন।
 
ভারতের সেনাপ্রধান বলেন, অমরনাথ যাত্রায় পাঁচ লাখের বেশি মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে, পর্যটকেরা আরও বেশি করে জম্মু ও কাশ্মীরে যাচ্ছেন। ভারতীয় সেনারা দেশের উত্তর-পশ্চিমের এই উপত্যকায় সন্ত্রাসের পরিবর্তে পর্যটনের দিকে নজর ঘোরাতে পেরেছে।
 
 পাকিস্তান থেকে অনুপ্রবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে উপেন্দ্র বলেন, গত বছরে কাশ্মীরে যত জন জঙ্গিকে হত্যা করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ৬০ শতাংশই পাকিস্তানের নাগরিক। ফলে প্রতিবেশী দেশের কাছ থেকে অনবরত বহিরাগত হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে ভারত।
 
তিনি বলেন, ‘নিজেদের চরমপন্থার কারণেই ভুগছে পাকিস্তান। নিজেদের আরও গভীর সঙ্কটে ডুবিয়ে দিচ্ছে তারা। আমরা পাকিস্তানে স্থিতাবস্থা চাই। পাকিস্তান জঙ্গিদের ঘাঁটিতে পরিণত হোক, সেটা চাই না।’ অনুবাদ: সময়নিউজটিভি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়