শিরোনাম
◈ চার দশক পর জাতিসংঘের মঞ্চে নেতৃত্বের দৌড়ে বাংলাদেশ ◈ ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলায় গাজায় নিহত ছাড়ালো ২৫০ ◈ এক চাকা খুলে পড়া অবস্থায়ও প্রথম চেষ্টায় অবতরণ: উত্তেজনাপূর্ণ শেষ ৩ মিনিটে কী আলোচনা করেছেন পাইলট ও এটিসি ◈ ফারাক্কা বাঁধ বাংলাদেশের জন্য মরণফাঁদ: মঈন খান (ভিডিও) ◈ ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষের সমান সুযোগ নিশ্চিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা ◈ যে ৮ জেলায় সকালের মধ্যে ঝড় হতে পারে ◈ তিন ধাপে জালনোট তৈরির ভয়ংকর ফাঁদ (ভিডিও) ◈ ‘শয়তানের নিঃশ্বাসে’ সম্মোহিত: আত্মীয় সেজে প্রবাসীর সর্বস্ব লুটে নিলো প্রতারক নারী (ভিডিও) ◈ জবি আন্দোলনে আলোচিত দিপ্তী চৌধুরী (ভিডিও) ◈ সব দলের রাজনীতি এখন আ.লীগের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে: হাসনাত আব্দুল্লাহ (ভিডিও)

প্রকাশিত : ০৪ জানুয়ারী, ২০২৫, ১২:৩২ রাত
আপডেট : ১৬ মে, ২০২৫, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আরব আমিরাত বিয়ের আগে যে পরিক্ষাটি বাধ্যতামূলক করেছে

বিয়ের আগে জিন পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই)। দেশটির স্বাস্থ্য ও প্রতিরোধ মন্ত্রণালয় (এমওএইচএপি) বলেছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে হবু দম্পতির জিন পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হবে।

সম্প্রতি আরব আমিরাতের জিনোম কাউন্সিলের নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারের বার্ষিক বৈঠকে এ বিষয়টি অনুমোদিত হয়।

২০২২ সাল থেকে ৮০০ জনেরও বেশি দম্পতি এই প্রকল্পের পরীক্ষামূলক পর্যায়ে অংশ নিয়েছেন। পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, ৮৬ শতাংশ দম্পতি জিনগতভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিলেন। তবে ১৪ শতাংশের ক্ষেত্রে কিছু ব্যত্যয় দেখা গেছে।

এই প্রকল্পের আওতায়, ২০২৫ সালে নতুন পরীক্ষায় ৫৭০টি আলাদা জিন এবং ৮৪০ টিরও বেশি স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ঝুঁকি মূল্যায়ন করা হবে। এর ফলে দম্পতিরা পরিবার পরিকল্পনার সময় তাঁদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

আমিরাতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই উদ্যোগ আমিরাতের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বাস্থ্য রক্ষা ও টেকসই সুস্থ জীবন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। জিন পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া রোগের ঝুঁকি চিহ্নিত করে প্রাথমিক চিকিৎসার সুযোগ তৈরি হবে। এ ছাড়া এর সাহায্যে আমিরাতের জাতীয় জিনোম স্ট্র্যাটেজি একটি সমন্বিত জেনেটিক ডেটা সিস্টেম গড়ে তুলবে।

বুর্জিল মেডিকেল সিটির জেনেটিকস ক্লিনিক্যাল কনসালট্যান্ট ড. আইমান এল–হাত্তাব জেরুজালেম পোস্টকে বলেছেন, জিন পরীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি জন্মসূত্রে আসা রোগ যেমন–থ্যালাসেমিয়া শনাক্ত করতে সহায়তা করে।

২০২৩ সালের অক্টোবরে আবুধাবিতে এই প্রকল্প চালু হয়। সফলতা বিবেচনায় ২০২৫ সাল থেকে পুরো আরব আমিরাতে প্রকল্পটি চালু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই উদ্যোগ আমিরাতি নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং বংশগত রোগের ঝুঁকি কমাবে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়