শিরোনাম
◈ খেলাফত মজ‌লি‌সের মামুনুল হক হঠাৎ আফগানিস্তান সফরে কেন? ◈ শ্রীলঙ্কার কা‌ছে আফগা‌নিস্তান হে‌রে যাওয়ায় সুপার ফো‌রে খেলার সু‌যোগ পে‌লো বাংলাদেশ ◈ বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে টিউলিপের মিথ্যাচার, নতুন সংকটে স্টারমার: ডেইলি এক্সপ্রেসের রিপোর্ট ◈ শুধু অতীতের নয়, বর্তমানের দুর্নীতি থামাতেও নজর দিতে হবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশ ও চীন সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে একসাথে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা  ◈ সাফ চ‌্যা‌ম্পিয়নশী‌পে নেপালকে ৪-০ গো‌লে হারা‌লো বাংলাদেশ ◈ শ্রীলঙ্কার প্রতি বাংলা‌দে‌শের সমর্থন, চোখ এড়ায়নি লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের ◈ আফগানিস্তান-শ্রীলংকা ম্যাচের ফল যেমন হলে লাভ বাংলাদেশের ◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার

প্রকাশিত : ০৮ অক্টোবর, ২০২৪, ১০:৫২ দুপুর
আপডেট : ০৭ মে, ২০২৫, ০৮:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে ইসরাইলি বীমা কোম্পানিগুলো

 ইহুদিবাদী ইসরাইলের রাষ্ট্রীয় বীমা কোম্পানি বলেছে, গাজা যুদ্ধের কারণে তাদের ৬০ কোটি ডলারের বেশি আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

ওই প্রতিষ্ঠান এক প্রতিবেদনে বলেছে: গত এক বছরে গাজা যুদ্ধের কারণে তাদেরকে হতাহত লোকদের ক্ষতিপূরণ বাবদ ২৪০ কোটি শেকেল (প্রায় ৬৪ কোটি ডলার) পরিশোধ করতে হয়েছে। পার্সটুডের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসরাইলি বীমা কোম্পানিটি আরো বলেছে, বিগত এক বছরে ৭০ হাজার ইসরাইলি এই কোম্পানির দপ্তরগুলোতে এসে দাবি করেছে যে, তারা এই যুদ্ধে আহত হয়েছে।

ইহুদিবাদী ইসরাইলের রাষ্ট্রীয় বীমা কোম্পানির প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, গত এক বছরে ১২ হাজার ৫০০ ইহুদিবাদী এই কোম্পানির দপ্তরগুলোতে এসে দাবি করেছে, তারা স্থায়ী পঙ্গুত্ব বরণ করেছে এবং এজন্য তাদের আজীবন ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।  এসব ব্যক্তির মধ্যে ১১ হাজার ৭৬০ জন মানসিক পঙ্গুত্ব, ৫২৭ জন শারিরীক পঙ্গুত্ব এবং ৪৪১ জন শারিরীক ও মানসিক উভয় প্রকার পঙ্গুত্ব বরণ করেছে।

ইহুদিবাদী ইসরাইলের রাষ্ট্রীয় বীমা কোম্পানির প্রতিবেদনে ধারনা করা হয়েছে যে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে শারিরীক ও মানসিক পঙ্গুত্ব বরণ করে আজীবন ক্ষতিপূরণের দাবিদার এরকম মানুষের সংখ্যা আরো কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।

ইহুদিবাদী ইসরাইল গত বছরের সাত অক্টোবর থেকে পশ্চিমা দেশগুলোর সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরের নিরপরাধ ও নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ভয়াবহ গণহত্যা শুরু করে।

গাজার স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ইসরাইলি গণহত্যার শিকার হয়ে এ পর্যন্ত ৪১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ ও ৯৬ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। হতাহতের উল্লেখযোগ্য অংশই হচ্ছে নারী ও শিশু।

১৯১৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের পরিকল্পনা এবং বিভিন্ন দেশ থেকে ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইহুদিদের অভিবাসনের মাধ্যমে ইসরাইল প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শুরু হয় এবং ১৯৪৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এই অবৈধ রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকে ফিলিস্তিনি জনগণকে হত্যা এবং তাদের গোটা ভূখণ্ড দখল করার জন্য বিভিন্ন সময়ে অসংখ্য গণহত্যা চালিয়েছে ইসরাইল।

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বিশ্বের বহু দেশ ইহুদিবাদী ইসরাইলের পতন কামনা করে। এসব দেশ মনে করে, ইসরাইলে উড়ে এসে জুড়ে বসা ইহুদিবাদীদের উচিত এই অবৈধ ঔপনিবেশিক শাসন ত্যাগ করে নিজ নিজ দেশে ফিরে যাওয়া। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়