শিরোনাম
◈ সুপেয় পানি ও স্যানিটেশনে ৩৪০০ কোটি টাকা দেবে বিশ্বব্যাংক ◈ কমিশন বাড়ানোসহ ২৪ ঘণ্টা সিএনজি ফিলিং স্টেশন খোলা রাখার দাবি মালিকদের ◈ ভর্তুকির পরও এলএনজি আমদানিতে ঘাটতি ১১ হাজার কোটি টাকা! ◈ তুচ্ছ ঘটনায় স্বামীর পুরুষাঙ্গ কাটলেন স্ত্রী! ◈ নাহিদ রানা ও রিশাদ পা‌কিস্তান থে‌কে দে‌শে ফির‌লেন ◈ নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইট ওয়াশ করতে পারলো না বাংলাদেশ ◈ ভারতীয় গণমাধ‌্যমের  সাংবা‌দিকতার মান নি‌য়ে প্রশ্ন তুল‌লেন পা‌কিস্তা‌নের শহীদ আ‌ফ্রিদি ◈ ট্রাম্পের ঘোষণার পর যুদ্ধবিরতির তথ্য নিশ্চিত করে যা বলল ভারত-পাকিস্তান ◈ শেখ হাসিনার সহকারী প্রেস সচিব বিটু ও সাবেক এমপি শামীমা গ্রেফতার ◈ ভারত-পাকিস্তান কি পরমাণু বোমা ব্যবহার করতে পারে? রাষ্ট্রীয় নীতিতে যা আছে: আল জাজিরার বিশ্লেষণ

প্রকাশিত : ০২ অক্টোবর, ২০২৪, ০৪:১১ দুপুর
আপডেট : ০৯ মে, ২০২৫, ১০:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়, আমরা প্রস্তুত: ভারতীয় সেনাপ্রধান

প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে নানা কারণে সম্পর্ক খুব বেশি ভালো যাচ্ছে না ভারতের। অনেক বিশ্লেষকের মতে, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনে অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে নয়াদিল্লি, আছে চাপেও। বিশেষ করে সীমান্তে চীনের সঙ্গে দেশটির উত্তেজনা এখন তুঙ্গে।

মঙ্গলবার ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী ভারত-চীন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের টানাপোড়েন প্রসঙ্গে বলেছেন, পূর্ব লাদাখ সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর সবকিছু ‘স্থিতিশীল রয়েছে, কিন্তু স্বাভাবিক নেই’। 

 ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমি কল্যাণ পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত উপদেষ্টাদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত চাণক্য ডিফেন্স ডায়লগ, ২০২৪ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একথা বলেন সেনাপ্রধান। 
 
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান সম্পর্কের টানাপোড়েনে পারস্পরিক বিশ্বাসই নষ্ট হয়ে গেছে। সেটাই সবচেয়ে বড় ক্ষতি।’ 

কূটনৈতিক স্তর থেকে ইতিবাচক বার্তা আসছে উল্লেখ করে ভারতীয় সেনাপ্রধান বলেন, ‘এর বাস্তবায়ন সেনা কর্মকর্তাদের পক্ষেই করা সম্ভব। যারা বাস্তবে সেই পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন। এবং সেটা দুই তরফের (ভারত-চীন) সেনাবাহিনীর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।’
 
উপেন্দ্র দ্বিবেদীর মতে,  আমাদের এটা বুঝতে হবে যে কূটনৈতিক স্তর থেকে আপনাদের কাছে নানা মতামত পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু যখন সেগুলো কাজে দেখানোর সময় আসছে, তখন সেটা দুই তরফের সেনা কর্মকর্তাদেরই করতে হবে। ফলে, এখনকার পরিস্থিতি হলো- স্থিতিশীল, কিন্তু স্বাভাবিক নয় এবং সংবেদনশীল।

উল্লেখ্য, পূর্ব লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চীনের সেনাবাহিনীর মধ্যে কয়েক বছর ধরে টানাপোড়েন চলছে। শিগগিরই এই সংকট কাটবে বলেও আশা দেখছেন না সংশ্লিষ্টরা। তবে ভারতের আশা, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে যে আলাপ-আলোচনা চলছে, তার মধ্যে দিয়েই সমাধান বেরিয়ে আসবে। 

এই প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন,  আমরা কী চাইছি? আমরা চাইছি, ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের আগ পর্যন্ত পরিস্থিতি ঠিক যেমনটা ছিল, সেই অবস্থা আবার ফিরে আসুক।

সেটি ওই এলাকার সাধারণ পরিস্থিতি হোক, কিংবা বাফার জোনের পরিস্থিতি, অথবা টহলদারির বিষয় হোক। এখনও পর্যন্ত আগের পরিস্থিতি ফিরে আসেনি। আমরা যেকোনো আকস্মিক ঘটনার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছি।
 উল্লেখ্য, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ভারত ও চীনের মধ্যে বহু দফায় আলোচনা হয়েছে।  সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস ও সময়নিউজটিভি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়