এম খান: [২] ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন (ডব্লিউসিকে) প্রতিষ্ঠাতা হোসে আন্দ্রেজ গাজায় তার সাহায্য সংস্থার কর্মীদের ‘প্রতিটি গাড়িকে সুপরিকল্পিতভাবে' লক্ষ্যবস্তু করার জন্য ইসরায়েলি বাহিনীকে অভিযুক্ত করেছেন।
[৩] বিবিসি জানায়, সোমবার হামলা চালিয়ে তার সাতজন কর্মীকে হত্যার ঘটনা সাধারণ কোনো ভুল ছিল না দাবি করে তিনি বলেছেন ইসরায়েলি বাহিনীকে বারবার তাদের গতিপথ সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছিলো।
[৪] ডব্লিউসিকের ফিলিস্তিনি কর্মীদের সাথে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, পোল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মীরাও ইসরায়েলের এ হামলায় নিহত হয়েছে।
[৫] ইসরায়েল অবশ্য বলেছে হামলার ঘটনাটি ছিল ‘মারাত্মক ভুল’ এবং এজন্য দেশটি দুঃখ প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে দেশটি এ ঘটনার একটি স্বাধীন তদন্ত পরিচালনার অঙ্গীকার করেছে।
[৬] সাহায্য সংস্থার দেয়া তথ্য অনুযায়ী ত্রাণবাহী গাড়ির কনভয় যখন দেইর আল বালাহ্ ওয়্যারহাউজ ছাড়ছিলো তখনি হামলার শিকার হয়- “যেখানে সংস্থার টিম সমুদ্রপথে গাজায় মানবিক সহায়তা হিসেবে আনা একশ টনের বেশি খাবার নামাচ্ছিল”।
[৭] সাহায্য সংস্থার বহরে তিনটি গাড়ি ছিল। এর মধ্যে দুটি ছিল সাঁজোয়া যান, যেখানে পরিষ্কারভাবে সাহায্য সংস্থার লোগো লাগানো ছিল। তিনটি গাড়ির উপরই হামলা চালানো হয়।
[৮] ডব্লিউসিকে গাজার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ত্রাণ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। তারা কার্যক্রম স্থগিত করার পর গাজায় মানবিক সহায়তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
[৯] নিরাপত্তা পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য তারা রাত্রিকালীন চলাচল অন্তত ৪৮ ঘণ্টার জন্য স্থগিত করেছে জাতিসংঘ।
আপনার মতামত লিখুন :