ডিপসিক নতুন একটি এআই টুল নিয়ে এসেছে, যার নাম ডিপসিক ওসিআর। এটি যে কোনো ধরনের নথির ছবি থেকে লেখা দ্রুত এবং সঠিকভাবে শনাক্ত করতে পারে। হোক সেটা বই, পত্রিকা, প্রতিবেদন বা স্লাইড— ডিপসিক ওসিআর সব ধরনের নথি বিশ্লেষণ করতে সক্ষম।
টোকেন ব্যবহারে স্মার্ট পদ্ধতি
ডিপসিক ওসিআর নথির জটিলতার ওপর ভিত্তি করে টোকেন ব্যবহার করে, যাতে গতি এবং নির্ভুলতা দুই-ই বজায় থাকে :
• সহজ নথি যেমন সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন বা স্লাইড প্রক্রিয়াজাত করতে মাত্র ৬৪ টোকেন লাগে।
• জটিল নথি যেমন বই বা গবেষণাপত্র প্রক্রিয়াজাত করতে প্রায় ১০০ টোকেন লাগে।
পত্রিকার জন্য বিশেষ কৌশল: গানডাম মোড ও টাইলিং
পত্রিকার মতো ঘন বিন্যাসের নথি বিশ্লেষণের জন্য ডিপসিক ওসিআর ব্যবহার করে ‘গানডাম মোড’। এতে হয় :
• সর্বোচ্চ ৮০০ টোকেন ব্যবহার।
• ‘টাইলিং’ কৌশল দিয়ে ছবির প্রতিটি অংশ আলাদাভাবে বিশ্লেষণ।
ফলে প্রতিটি কলাম, অনুচ্ছেদ ও উপাদান সহজে শনাক্ত হয়।
মান যাচাই : অমনিডকবেঞ্চ
ডিপসিক ওসিআর পরীক্ষিত হয়েছে অমনিডকবেঞ্চ নামক মানদণ্ডে। পরীক্ষায় দেখা গেছে :
যেখানে অন্যান্য ওসিআর সিস্টেম হাজার টোকেন ব্যবহার করেছে, ডিপসিক ওসিআর মাত্র ১০০ টোকেন ব্যবহার করেই সফল। ইংরেজি ও চীনা ভাষায় লেখা শনাক্তের ক্ষেত্রে এর ভুলের হার কম। এটি প্রমাণ করে ডিপসিক ওসিআর দ্রুততার সঙ্গে সঙ্গে অত্যন্ত নির্ভুলও।
ডিপসিক ওসিআরের বৈশিষ্ট্য
টোকেন ব্যবহারে দক্ষতা এবং ভারসাম্য।
• জটিল নথির জন্য আলাদা মোড ও কৌশল।
• বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ভাষায় কম ভুলের হার।
• পরীক্ষিত ও স্বীকৃত কার্যকারিতা।
ডিপসিক ওসিআর বাংলাদেশের এআই প্রযুক্তিতে একটি বড় সংযোজন। এটি শুধু লেখা শনাক্ত নয়, বরং নথি বিশ্লেষণে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে। ভবিষ্যতে আরও উন্নত হয়ে বিভিন্ন ভাষা ও বিন্যাসে কাজ করার ক্ষমতা অর্জন করার সম্ভাবনা রয়েছে।