শিরোনাম
◈ নিত্যপণ্যের বাজারে অস্বস্তি: বাড়ল ভোজ্য তেল ও ডিমের দাম, সবজির দামও চড়া ◈ ন্যায্যমূল্য না পেয়ে মাঠে পড়ে আছে ৮ লাখ মেট্রিক টন লবণ, এর মধ্যেই আমদানির তোড়জোড় ◈ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চাইলো বিশ্বের খ্যাতিমান ইহুদি ব্যক্তিত্বরা ◈ বাংলাদেশে কোরিয়ান বিনিয়োগ বাড়াতে সিইপিএ চুক্তি চূড়ান্তের পথে ◈ বাংলাদেশের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র: নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন ◈ সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ: অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি-পদোন্নতির ক্ষমতা পাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্ট ◈ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর পদত্যাগের গুঞ্জন, যা জানা গেল ◈ ‘সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে হতে পারে ড্রোন ব্যবহার’ ◈ হাসিনা সরকারের কিছু প্রাথমিক ‘ভুল’ ছিল: সজীব ওয়াজেদ জয় ◈ এনসিপির কার্যালয়ের সামনে মধ্যরাতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

প্রকাশিত : ২৩ অক্টোবর, ২০২৫, ০৯:৪৩ সকাল
আপডেট : ২৪ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতারণা চক্রে স্টারলিংক নতুন অস্ত্র, সাইবার নিরাপত্তায় উদ্বেগ বাংলাদেশে

ইলোন মাস্কের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা ‘স্টারলিংক’ এখন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতারণা চক্রের নতুন অস্ত্র হয়ে উঠছে। মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, লাওস, ফিলিপাইন ও পূর্ব তিমুরে এ স্যাটেলাইট সংযোগ ব্যবহার করে গড়ে উঠেছে ‘স্ক্যাম সিটি’। যেগুলো রোমান্স স্ক্যাম (ভুয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে টাকা হাতানো), বিনিয়োগ প্রতারণা বা পিগ-বাচারিং, অবৈধ অনলাইন জুয়া ও ক্রিপ্টো জালিয়াতি, মানি লন্ডারিং, মানব পাচার ও জোরপূর্বক শ্রম, মাদক পাচার, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়, অবৈধ ব্যাংকিংয়ের মতো অপরাধের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। প্রযুক্তির এ অপব্যবহার এখন বাংলাদেশের জন্যও উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে।  সূত্র: বণিক বার্তা

জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ দপ্তরের (ইউএনওডিসি) গত বছরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ স্ক্যাম নেটওয়ার্কগুলো ১৮ থেকে ৩৭ বিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নিয়েছে। সংস্থাটি গত ১২ সেপ্টেম্বর এক সতর্কবার্তায় জানায়, বাড়তি মিডিয়া নজরদারি ও আইন প্রয়োগের চাপে প্রতারক চক্রগুলো ঘাঁটি গাড়ছে পূর্ব তিমুরসহ অন্যান্য দেশে। যদিও এখন পর্যন্ত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় স্টারলিংক ব্যবহার করে এমন প্রতারণার প্রবণতা দেখা যায়নি।

এদিকে বাংলাদেশে সাইবার নিরাপত্তা বা অনলাইন প্রতারণার শঙ্কা প্রকাশ করে তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বিষয়ে এখনই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। সতর্কতা হিসেবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রযুক্তি সক্ষমতা বাড়ানো ও স্টারলিংকের গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপনের ওপর জোর দিয়েছেন তারা।

বাংলাদেশে সম্প্রতি অনলাইন প্রতারণা বহুমুখী রূপ নিয়েছে। সবচেয়ে বেশি হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিং ও ই-কমার্স প্রতারণা, যেখানে ফিশিং লিংক, ভুয়া কাস্টমার কেয়ার নম্বর ও ম্যালওয়্যার ব্যবহার করে টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়। বেড়েছে সোশ্যাল মিডিয়া হ্যাকিং, রোমান্স স্ক্যাম ও লোন অ্যাপ প্রতারণাও। অনেকে ভুয়া বিনিয়োগ বা অনলাইন চাকরির প্রলোভনে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া টার্গেট করে গেমিং স্কিন বা টপ-আপ প্রতারণাও বাড়ছে। অনলাইন জুয়া ও বেটিং সাইটে প্রলোভন দেখিয়ে টাকা নিয়ে সাইট উধাওয়ের ঘটনাও ঘটছে প্রতিনিয়ত।

এদিকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী থাই-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী কেকে পার্ক এলাকায় গত সোমবার অভিযান চালিয়ে ৩০ সেট স্টারলিংক রিসিভার ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম জব্দ করে। এ সময় দুই হাজারের বেশি লোককে গ্রেফতার করা হয়। কেকে পার্ক এলাকাটি অনলাইন প্রতারণা ও জুয়া সিন্ডিকেটের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। স্টারলিংক মিয়ানমারে আনুষ্ঠানিকভাবে লাইসেন্সপ্রাপ্ত নয়। তার পরও এ বছরের মাঝামাঝি থেকে দেশটিতে ইন্টারনেট সেবাটির উপস্থিতি তীব্রভাবে দৃশ্যমান হয়েছে।

এশিয়া প্যাসিফিক নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টারের (এপনিক) তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারির আগে শীর্ষ ইন্টারনেট উৎসের তালিকায় স্টারলিংক চোখে পড়ার মতো ছিল না মিয়ানমারে। কিন্তু ৩ জুলাই থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই এটি দেশটির শীর্ষ ইন্টারনেট উৎসে পরিণত হয়েছে। কেকে পার্কের ছাদে সারিবদ্ধ ডিশের ছবি উঠে এসেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে।

পূর্ব তিমুরের ওএকুসে অঞ্চলেও গত আগস্টে একটি হোটেলে অভিযান চালিয়ে পুলিশ স্টারলিংক ডিভাইস জব্দ করেছিল। একই ধরনের প্রতারণা কার্যক্রম ধরা পড়েছে কম্বোডিয়ার সিহানুকভিল ও লাওসের গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল অঞ্চলেও।

প্রতারক চক্রগুলোর অন্যতম টার্গেট রোমান্স স্ক্যাম বা ভুয়া পরিচয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলা। পরে ভুক্তভোগীকে জিম্মি করে অর্থ হাতিয়ে নেয়। এছাড়া পিগ-বাচারিং বা বিনিয়োগ প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে প্রতারক চক্রটি, যেখানে শুরুতে ছোট লাভ দেখিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে বিশ্বাস অর্জন করা হয়। পরে এককালীন বিশাল অর্থ হাতিয়ে নেয়া হয়। এ স্ক্যামগুলো প্রায়ই ক্রিপ্টোকারেন্সি বা অনলাইন ট্রেডিংয়ের ছদ্মবেশে চলে। এছাড়া অপরাধীরা অনলাইন বেটিং সাইট, গেমিং প্লাটফর্ম বা ডিজিটাল কয়েনের বিনিয়োগ দেখিয়ে অর্থ সংগ্রহ করে; পরে সুযোগ বুঝে হাওয়া হয়ে যায়। এছাড়া তরুণদের চাকরির প্রলোভনে এনে এসব স্ক্যাম সেন্টারে বন্দি রেখে প্রতারণার কাজে লাগানো হয়। অনেক ক্ষেত্রে তাদের পাসপোর্ট কেড়ে নেয়া হয় এবং প্রতিদিন নির্দিষ্ট টার্গেট পূরণ না হলে করা হয় শারীরিক নির্যাতন। জাতিসংঘ বলছে, এটি এখন ‘ডিজিটাল দাসত্বের’ নতুন রূপ।

প্রতারক চক্রগুলো মূলত এসব প্রতারণার জন্য স্টারলিংককে বেছে নিচ্ছে তিনটি কারণে। প্রথমত, এটি একটি স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা, যা স্থানীয় টেলিকম বা ফাইবার নেটওয়ার্কের ওপর নির্ভরশীল নয়। ফলে কোনো দেশের সরকার ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দিলেও স্টারলিংক সহজে কার্যকর থাকে। দ্বিতীয়ত, আইন-শৃঙ্খলা ও গোয়েন্দা নজরদারি এড়াতে এটি বড় সুবিধা দেয়। কারণ স্টারলিংকের ডেটা ট্রাফিক আন্তর্জাতিক স্যাটেলাইটের মাধ্যমে যায়, স্থানীয় নেটওয়ার্কের লগ বা ট্র্যাকিং সিস্টেমে তা ধরা পড়ে না। এতে স্ক্যাম সেন্টারগুলো সহজে তাদের অবস্থান গোপন রাখতে পারে। তৃতীয়ত, দ্রুত স্থাপন ও মোবাইল অপারেশনের জন্য স্টারলিংক সবচেয়ে সুবিধাজনক। যন্ত্রপাতি ছোট, পোর্টেবল হওয়ায় যেখানে বিদ্যুৎ আছে, সেখানে সহজেই সংযোগ স্থাপন করা যায়। এজন্য অভিযান বা অভিযান-পরবর্তী সময়েও প্রতারণা চক্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নতুন কোনো স্থান থেকে আবার সক্রিয় হতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদ্যমান আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতার কারণে স্যাটেলাইটভিত্তিক এ প্রযুক্তি এখন প্রতারণা চক্রের জন্য নিরাপদ আশ্রয় তৈরি করছে।

আন্তর্জাতিক গবেষণা ও নীতি বিশ্লেষণমূলক সংস্থা গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভের সাম্প্রতিক বিশ্লেষণ বলছে, এ চক্রগুলো শুধু এক জায়গায় আটকে থাকে না। নির্দিষ্ট কোনো অঞ্চলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চাপ বাড়লেই অবকাঠামো দ্রুত সরিয়ে এ সিন্ডিকেট নতুন ভৌগোলিক এলাকা বেছে নেয়। তথ্য বলছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পুরনো হটস্পটগুলোয় নজরদারি বাড়ায় চক্রগুলো এখন নতুন স্থান খুঁজছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এসব অপরাধ নেটওয়ার্ক এখন অনলাইনে ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র ও আফ্রিকার নাগরিকদেরও টার্গেট করছে। তবে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে স্টারলিংক ব্যবহার করে এমন অপরাধের প্রবণতা দেখা যায়নি। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট বাইপাসের জন্য স্টারলিংক ব্যবহারের খবর পাওয়া গেলেও স্ক্যাম সম্পর্কিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। যেহেতু বাংলাদেশ প্রযুক্তিগতভাবে একই স্যাটেলাইট কভারেজ অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত, তাই এখানকার প্রতারক চক্রও ভবিষ্যতে এমন সিস্টেম ব্যবহার করতে পারে—এমন উদ্বেগ করেছেন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।

সাইবার নিরাপত্তা, ইন্টারনেট গভর্ন্যান্সসহ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে প্রায় তিন দশক ধরে কাজ করছেন সুমন আহমেদ সাবির। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘ইন্টারনেট ব্যবহার করে বাংলাদেশের বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার ঘটনা ঘটে আসছে। সম্প্রতি দক্ষিণ এশিয়ায় অনলাইন স্ক্যাম ব্যাপকভাবে বেড়েছে। স্টারলিংক যেহেতু যেকোনো জায়গায় বসানো যায়, তাই যেকোনো স্থান থেকেই এটি ব্যবহার করে প্রতারণা করা সম্ভব। এজন্য তো আর স্টারলিংক ব্যবহার বন্ধ করা যাবে না, বরং উৎস শনাক্ত করতে হবে। সবচেয়ে বড় বিষয় সরকারকে বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়ে দেখতে হবে। বিভিন্ন অনলাইন প্রতারণার বিষয়ে দ্রুত তদন্ত করে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে প্রতারণার ঘটনা ঘটলে পারস্পরিক সহায়তা বাড়াতে হবে। স্টারলিংকের ডিভাইস থেকে যেন এমন ঘটনা না ঘটে সেজন্য আগে থেকে তাদের সঙ্গেও কোলাবোরেশন বাড়ানো প্রয়োজন।’

তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে যদি স্টারলিংকের গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপন করা থাকে, তাহলে প্রতারণা শনাক্ত করা তুলনামূলক সহজ হবে। কারণ স্থানীয় গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে টার্মিনাল ব্যবহারের সময়, অবস্থান ও ডাটা ট্রাফিকের মেটাডাটা দেখা সম্ভব হয়। এতে কোন অঞ্চল থেকে অস্বাভাবিক ট্রাফিক বা সন্দেহজনক কার্যক্রম হচ্ছে তা শনাক্ত করা যায়। পাশাপাশি সরকার বা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চাইলে অপারেটরের সঙ্গে যৌথভাবে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারে। যে কারণে গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপনের গুরুত্ব দেয়ার কথা বলছেন তারা।

এ বিষয়ে এথিক্যাল হ্যাকারদের দেশীয় সংগঠন ‘সাইবার ৭১’-এর পরিচালক আব্দুল্লাহ আল জাবের বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আমাদের দেশে যদি কোনো চক্র স্টারলিংক ব্যবহার করে সাইবার অপরাধ চালায়, সেটি শনাক্ত করার মতো সক্ষমতা এখনো সীমিত। এমনিতেই কিছুদিন পরপর বিভিন্ন প্রতারক চক্র সক্রিয় হয়; তারা স্যাটেলাইটভিত্তিক সংযোগ নিলে ট্রেস করা আরো কঠিন হয়। ভবিষ্যতে বাংলাদেশে স্টারলিংকের গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপনের পরিকল্পনা আছে, সেটা হলে টার্মিনাল শনাক্তকরণ, মেটাডাটা বিশ্লেষণ ও দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া তুলনামূলক সহজ হবে। বাংলাদেশের উচিত দ্রুত গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপনের বিষয়ে জোর দেয়া এবং স্টারলিংকের সঙ্গে কোলাবোরেশন বাড়ানো।’

দেশে সাইবার অপরাধ তদন্ত করে থাকে মূলত পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সাইবার অপরাধ মোকাবেলার জন্য বিশেষায়িত এ সংস্থার রয়েছে সাইবার ক্রাইম সেন্টার। এর মাধ্যমে তারা বিভিন্ন ডিজিটাল অপরাধ, যেমন অর্থ পাচার, ব্ল্যাকমেইলিং, পর্নোগ্রাফি, অনলাইন জালিয়াতি ইত্যাদি তদন্ত, বিশ্লেষণ ও সমাধান করে থাকে।

জানতে চাইলে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘সাইবার স্পেস সীমান্তহীন, তাই ঝুঁকিও বৈশ্বিক। ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ায় সাইবার অপরাধের ঘটনার ঝুঁকি শুধু বাংলাদেশে নয় পৃথিবীর যেকোনো দেশেই থাকে। যেকোনো ধরনের অপতৎপরতা রোধে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। কোনো অভিযোগ পেলে প্রটোকল অনুযায়ী তা যাচাই করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়। এক্ষেত্রে নাগরিকদের সচেতনতাও জরুরি। সন্দেহভাজন লিংক বা কল এড়িয়ে চলতে হবে। এমন কিছু ঘটলে দ্রুত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানাতে হবে।’   

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়