শিরোনাম
◈ আ. লীগ নেতার ভাগ্নের ব্যবসা নিয়ে এনসিপি নেত্রীর দরকষাকষির অডিও ফাঁস ◈ আগামী নির্বাচনে যাদের জয়ী হবার কোনো সম্ভবনা নেই তারাই নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে : মির্জা আব্বাস ◈ পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন ছাড়া বিকল্প নেই: সুপ্রদীপ চাকমা ◈ শাহবাগে আর্থিক লেনদেন বিরোধে এনসিপি'র দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১ ◈ তারেক রহমান ফিরবেন নভেম্বরে, চলতি মাসেই ২০০ আসনে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করবে বিএনপি: সালাহউদ্দিন আহমদ ◈ ‘ভোটকেন্দ্রে থাকবে বডি ক্যামেরা ও সিসিটিভি, উড়বে ড্রোন’ ◈ সাবেক স্ত্রীকে ‘মোটা’ বলায় আদালতে জরিমানা, স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ◈ ভারতের পর আফগা‌নিস্তানও পাকিস্তানকে পা‌নি দেবে না, বাঁধ দিচ্ছে নদীতে ◈ ভারতের বিরুদ্ধে টি-‌টো‌য়ে‌ন্টি সিরিজে শক্তি বাড়ালো অস্ট্রেলিয়া, ফিরছেন ম‌্যাক্সও‌য়েল ◈ বাংলা‌দে‌শের বিরু‌দ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে স্পিন শক্তি বাড়ালো ওয়েস্ট ইন্ডিজ

প্রকাশিত : ২৪ অক্টোবর, ২০২৫, ০৭:২৩ বিকাল
আপডেট : ২৪ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যানজটমুক্ত নগর গড়তে চট্টগ্রামে ৬৫ কিলোমিটার মনোরেল প্রস্তাব

চট্টগ্রাম নগরে চার রুটে মনোরেল বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে। ৬৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে ব্যয় হবে ৩০ হাজার কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নগরবাসী যানজটমুক্ত, নিরাপদ ও আধুনিক গণপরিবহন সুবিধা পাবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। শুক্রবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন রেস্টহা উস প্রাঙ্গণে মনোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্ভাব্যতা যাচাই সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব তথ্য জানানো হয়।

সভায় জানানো হয়, মনোরেল প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রাথমিকভাবে চারটি রুট প্রস্তাব করা হয়েছে-কালুরঘাট থেকে বিমানবন্দর (বহদ্দারহাট, চকবাজার, লালখানবাজার, দেওয়ানহাট, পতেঙ্গা হয়ে) ২৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার, সিটি গেট থেকে শহীদ বশিরুজ্জামান চত্বর (এ কে খান, নিমতলী, সদরঘাট, ফিরিঙ্গি বাজার হয়ে) ১৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার, অক্সিজেন থেকে ফিরিঙ্গি বাজার (মুরাদপুর, পাঁচলাইশ, আন্দরকিল্লা, কোতোয়ালি হয়ে) ১৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার, সিটি গেট থেকে পোর্ট কানেক্টিং রোড হয়ে নিমতলা পর্যন্ত ১০ দশমিক ৯ কিলোমিটার।

প্রকল্পের প্রতিনিধিরা জানান, ওরাসকম কনস্ট্রাকশন  সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি (পিপিপি) প্রকল্পের আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। প্রাথমিকভাবে ২০ থেকে ২৫ বছর প্রতিষ্ঠানটি নিজে পরিচালনার পর সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করবে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে আনুমানিক ৩০ হাজার কোটি টাকা। প্রতিদিন মনোরেল পরিচালনায় ৩০ থেকে ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হবে, এবং কেন্দ্রীয় স্টেশন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রায় ৫০ একর জমি লাগবে। প্রতিটি যাত্রীর জন্য সিটি করপোরেশনকে ৫ টাকা করে মুনাফা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ওরাসকম। সভায় জানানো হয়, ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন করতে ৭–৮ মাস সময় লাগবে এবং নির্মাণকাজ শেষ করতে ৩ থেকে ৪ বছর সময় প্রয়োজন হবে।

চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন,‘চট্টগ্রামের জনসংখ্যা, যানবাহনের চাপ ও কর্মঘণ্টার ক্ষতি বিবেচনায় গণপরিবহনে আধুনিক সমাধান অত্যন্ত জরুরি। মনোরেল প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সময়, জ্বালানি ও অর্থ সাশ্রয় হবে, শহরও হবে আরও গতিশীল।’

সিটি মেয়র বলেন, ‘মনোরেল শুধু যানজটের সমাধান নয়, এটি নগরীর ভবিষ্যৎ উন্নয়নের মাইলফলক হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নগরের পরিবেশ ও অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। চট্টগ্রামকে একটি স্মার্ট ও পরিবেশবান্ধব শহর হিসেবে গড়ে তুলতে সিটি করপোরেশন সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।’

সভায় উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর চট্টগ্রাম ইকোনমিক ফোরামের প্রেসিডেন্ট আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী, মনোরেল প্রকল্পের চিফ কো-অর্ডিনেটর ফয়সাল রহমান, আরব কন্ট্রাক্টরস ও ওরাসকম কনস্ট্রাকশন কোম্পানির কান্ট্রি ডিরেক্টর কাউসার আহমেদ চৌধুরী, প্রকল্প পরামর্শক কামরান আনোয়ার নাগিভ এবং তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও চসিকের প্রকল্প সমন্বয়ক আবু সাদাত মো. তৈয়ব। সূত্র: সমকাল 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়