শিরোনাম
◈ ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্কের চাপ সামলাবে কে: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন বাণিজ্যনীতিতে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা ◈ ডলারের বিশ্বায়ন: যেভাবে একটি মুদ্রা বিশ্ব অর্থনীতিকে শাসন করছে ◈ ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতি: চার্টার্ড ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত আসছেন আরও ৩০ বাংলাদেশি ◈ যশোরের মনিরামপুরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে যুবদলের চার কর্মী গ্রেফতার ◈ মিয়ানমারের রাজনীতিতে নতুন মোড়, জান্তার ক্ষমতা হস্তান্তর! ◈ ইসরায়েলি নাগরিক সাফাদির সাথে সাক্ষাৎ: স্বীকার করে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন নুর (ভিডিও) ◈ জিম্বাবুয়েকে হা‌রি‌য়ে ত্রিদেশীয় সি‌রি‌জের ফাইনা‌লে বাংলা‌দেশ ◈ মির্জা আব্বাসের প্রশ্ন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কি ‘জাতীয় নাগরিক পার্টির’ (এনসিপি) সরকার? ◈ ফার্মেসির পরামর্শে শিশুর ডায়রিয়ায় অ্যান্টিবায়োটিক, গবেষণায় বিপদের ইঙ্গিত ◈ মার্কিন শুল্ক কমলো, যেসব চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ১৭ মে, ২০২৫, ০৯:৫৬ সকাল
আপডেট : ২৬ জুলাই, ২০২৫, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ধারণার চেয়ে অনেক আগেই বিলীন হবে মহাবিশ্ব: ব্ল্যাকহোল বিশেষজ্ঞ

মহাবিশ্ব চিরস্থায়ী নয়, এ ধারণা নতুন নয় বিজ্ঞানীদের কাছে। তবে সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিজ্ঞানীদের আগের অনুমানের তুলনায় অনেক দ্রুত শেষ হতে চলেছে আমাদের এই মহাবিশ্ব। ডাচ গবেষকদের এক বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, মহাবিশ্ব প্রায় ১০৭৮১০{৭৮}১০৭৮ বছর পর সম্পূর্ণভাবে ‘মরে যাবে’, যা ধারণার চেয়ে অনেক আগেই ঘটবে।

এ গবেষণার ভিত্তি হচ্ছে ‘হকিং রেডিয়েশন’। ১৯৭৪ সালে প্রখ্যাত পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং ধারণা দেন, কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাকহোল থেকেও বিকিরণ নির্গত হতে পারে। এ প্রক্রিয়ায় ব্ল্যাকহোল ধীরে ধীরে ক্ষয় হতে হতে একসময় সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যায়। হকিং রেডিয়েশন অনেক ধীরগতিসম্পন্ন একটি ঘটনা হলেও এর মাধ্যমে মহাবিশ্বের বিভিন্ন বস্তু একসময় ‘বাষ্পীভূত’ হয়ে যাবে। 

নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, শুধু ব্ল্যাকহোলই নয়, বরং অন্যান্য জ্যোতির্বস্তুও এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিলীন হতে পারে। গবেষণাটি মূলত ২০২৩ সালের একটি গবেষণার ধারাবাহিকতা, যেখানে এই বাষ্পীভবনের সম্ভাবনা সম্পর্কে প্রথম ধারণা পাওয়া যায়। এবার গবেষকরা নির্ধারণ করার চেষ্টা করেছেন মহাবিশ্বের এই শেষ ধাপে পৌঁছাতে কত সময় লাগতে পারে।

জানা যায়, সাদা বামন তারা, যা মহাবিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী বস্তু হিসাবে পরিচিত। সম্পূর্ণ বিলীন হতে সময় লাগবে ১০৭৮১০{৭৮}১০৭৮ বছর। আগের গবেষণায় এই সময় ধরা হয়েছিল ১০১১০০১০{১১০০}১০১১০০ বছর, অর্থাৎ আরও বহুগুণ দীর্ঘ। ফলে এটি এক বিপ্লবী পরিবর্তন। গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক ও ব্ল্যাকহোল বিশেষজ্ঞ হেইনো ফাল্কে বলেন, ‘মহাবিশ্বের চূড়ান্ত সমাপ্তি আগের চেয়ে অনেক আগেই ঘটবে বলে মনে হচ্ছে। তবে চিন্তার কিছু নেই, এটি এখনো আমাদের থেকে অসীম দূর ভবিষ্যতের ঘটনা।’

তবে বিভিন্ন বস্তুর ক্ষয়ের হার এক নয়। একটি নিউট্রন তারা বা স্টেলার ব্ল্যাকহোল বিলীন হতে পারে ১০৬৭১০{৬৭}১০৬৭ বছরে, আর একটি মানুষের মতো বস্তু বা এমনকি চাঁদের বিলীন হতে লাগতে পারে ১০৯০১০{৯০}১০৯০ বছর। যদিও এসব বস্তু এর আগেই অন্য কোনো মহাজাগতিক প্রক্রিয়ায় শেষ হয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন গবেষকরা।

গবেষণাটি ‘ইউনিভার্স ডিকেইস ফাস্টার দেন থট, বাট স্টিল টেইকস এ লং টাইম’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল ‘জার্নাল অব কসমোলজি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোপার্টিকেল ফিজিক্স’-এ। এটি মহাবিশ্বের ভবিষ্যৎ এবং আমাদের অস্তিত্ব নিয়ে নতুন করে চিন্তা করতে বিজ্ঞানীদের বাধ্য করেছে, যদিও তা মানবজীবনের জন্য তাৎক্ষণিক কোনো হুমকি নয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়