শিরোনাম
◈ ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্কের চাপ সামলাবে কে: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন বাণিজ্যনীতিতে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা ◈ ডলারের বিশ্বায়ন: যেভাবে একটি মুদ্রা বিশ্ব অর্থনীতিকে শাসন করছে ◈ ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতি: চার্টার্ড ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত আসছেন আরও ৩০ বাংলাদেশি ◈ যশোরের মনিরামপুরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে যুবদলের চার কর্মী গ্রেফতার ◈ মিয়ানমারের রাজনীতিতে নতুন মোড়, জান্তার ক্ষমতা হস্তান্তর! ◈ ইসরায়েলি নাগরিক সাফাদির সাথে সাক্ষাৎ: স্বীকার করে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন নুর (ভিডিও) ◈ জিম্বাবুয়েকে হা‌রি‌য়ে ত্রিদেশীয় সি‌রি‌জের ফাইনা‌লে বাংলা‌দেশ ◈ মির্জা আব্বাসের প্রশ্ন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কি ‘জাতীয় নাগরিক পার্টির’ (এনসিপি) সরকার? ◈ ফার্মেসির পরামর্শে শিশুর ডায়রিয়ায় অ্যান্টিবায়োটিক, গবেষণায় বিপদের ইঙ্গিত ◈ মার্কিন শুল্ক কমলো, যেসব চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ২২ মে, ২০২৫, ১১:০২ দুপুর
আপডেট : ০১ আগস্ট, ২০২৫, ০৪:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : এল আর বাদল

এক রাতে সাত হাজার নিরীহ মানুষ নিধন! পাক সেনাপ্রধান টিক্কা খানকে  বাংলাদেশের কসাই নামে ডাকা হ‌তো

এল আর বাদল : ইতিহাসে এমন অনেক শাসক রয়েছেন যাদের নাম শুনলেই যে কারও মেরুদণ্ড বেয়ে শীতল স্রোত নেমে যায়। এর মধ্যে রয়েছেন চেঙ্গিজ খান, হালাকু, তৈমুরলং, হিটলারের মতো অনেক নাম। কিন্তু বিশ্ব ইতিহাসে এমন একজন ব্যক্তি রয়েছেন যিনি এক রাতে সাত হাজার মানুষকে নিধন করেছিলেন। তাঁর কর্মকাণ্ডের কারণে তাঁকে 'বুচার অফ বাংলাদেশ' বলা হত।

তাঁর নাম টিক্কা খান। যিনি পাকিস্তান সেনার জেনারেল এবং প্রথম সেনাপ্রধানও ছিলেন। টিক্কা খানের জন্ম ১৯১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রাওয়ালপিন্ডিতে। টিক্কা ১৯৩৫ সালে ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। দেশভাগের পর পাকিস্তানে চলে যান এবং সে দেশের সেনার মেজর হন। -- ই‌ন্ডিয়াহুড/ নিউজ১৮

১৯৬৯ সালে ইয়াহা খান পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর টিক্কাকে পাঠানো পূর্ব পাকিস্তান (বাংলাদেশ)-এ। সেখানে তাঁর দায়িত্ব ছিল পৃথক দেশের দাবি এবং যে বিদ্রোহের উত্থান হচ্ছিল তা দমন করা। এখানে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গেই টিক্কা সামরিক অভিযান শুরু করেন। যার নাম দেওয়া হয় 'অপারেশন সার্চলাইট'।

বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিদ্রোহ দমনের করতে গিয়ে এক রাতে ঢাকায় সাত হাজার মানুষকে হত্যা করেছিলেন টিক্কা। এর মধ্যে শিশু, বৃদ্ধ এবং মহিলাও ছিল। এই ঘটনার পর টাইম ম্যাগাজিন টিক্কা খানকে 'বুচার অফ বাংলাদেশ' বা 'বাংলাদেশের কসাই' বলে অভিহিত করে।

রবার্ট পাইন বাংলাদেশের গণহত্যা নিয়ে একটি বইও লিখেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে বর্বরতার চরম সীমা অতিক্রম করেছিল। মাত্র নয় মাসে দু'লক্ষ নারী ও মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছিল।

হাজারও অভিযোগ এবং বিশ্বজুড়ে নিন্দা সত্ত্বেও, পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে টিক্কা খানের মর্যাদা বৃদ্ধি পেতে থাকে। বেশ কয়েকবার পদোন্নতি হয় তাঁর। ১৯৭২ সালের ৩ মার্চ তাঁকে পাকিস্তানের প্রথম সেনাপ্রধান করা হয়। ২০০২ সালে ২০ মার্চ মারা যান তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়