স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ দেশের পট পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হয়েছিলেন। কিন্তু বেশিদিন থাকা হয়নি তার। সভাপতি হিসেবে নয় মাস থাকতে পেরেছিলেন ফারুক। এরপর তাকে সরিয়ে সভাপতি করা হয় আরেক সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে।
ফারুক বিসিবি সভাপতি থাকার সময়ে তার বিরুদ্ধে অর্থ নয়ছয় করার অভিযোগ ওঠে। যা নিয়ে তদন্তে নেমেছিল দুদক। তবে এই অভিযোগ থেকে ফারুককে অব্যাহতি দিয়েছে দুদক।
দেশের ইংরেজি গণমাধ্যম 'ডেইলি সান' প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল, সভাপতি থাকাকালীন পরিচালনা পর্ষদের পূর্বানুমোদন ছাড়াই বিসিবির স্থায়ী আমানত থেকে ২৫০ কোটি টাকা ‘তহবিল অপব্যবহারের উদ্দেশ্যে’ অন্যান্য ব্যাংকে স্থানান্তর করেছিলেন! এমন অভিযোগের পর বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছিলেন ফারুক। যদিও শুরু থেকে অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন তিনি।
বিষয়টি তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম গঠন করে। যার নেতৃত্বে ছিলেন দুদক সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদ। গত ১৭ মে দলটি বিসিবিতে গিয়ে নথিপত্র সংগ্রহের পাশাপাশি তদন্ত করে। এরপর গত ১৩ জুলাই তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়ে। এতে বলা হয় যে, ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি এবং তাকে সমস্ত অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।