ইমরুল কাযেশ, যশোর: যশোরের কেশবপুর থানায় গিয়ে পুলিশ সদস্যদের হুমকি ও হট্টগোলের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নেতা অজিয়ার রহমান। তবে গ্রেপ্তারের মাত্র ৪ ঘণ্টার মধ্যেই তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
বুধবার (৬ আগস্ট) সকালে যশোর শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পেশাজীবী পরিষদের কেশবপুর উপজেলার সভাপতি অজিয়ার রহমান ছাত্রশিবিরের যশোর জেলা পূর্ব শাখার সাবেক সভাপতি এবং যশোর আইনজীবী সমিতির সদস্য। এই ঘটনার পর তাকে জামায়াতের সকল কার্যক্রম থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
থানায় হুমকি ও মামলা:
পুলিশ সূত্র জানায়, গত রবিবার রাতে অজিয়ার রহমানের এক আত্মীয়ের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি থানায় যান এবং পুলিশ সদস্যদের হুমকি দিয়ে হট্টগোল শুরু করেন। এ ঘটনায় থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মকলেসুর রহমান বাদী হয়ে অজিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে অনাধিকার প্রবেশ, সরকারি কাজে বাধা এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।
এসআই মকলেসুর রহমান জানান, তার চাচাতো ভাই শহিদুল ইসলামকে একটি মামলায় আসামি করায় অজিয়ার ক্ষিপ্ত ছিলেন। তাকে হুমকি ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়।
ভাইরাল ভিডিও ও সমালোচনা:
থানায় অজিয়ার রহমানের হুমকি দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি এক পুলিশ কর্মকর্তাকে 'আওয়ামী লীগের দোসর' বলে ধমকাচ্ছেন। এই ঘটনায় নেটিজেনরা তার তীব্র সমালোচনা করছেন। জামায়াত নেতা ও একজন আইনজীবীর এমন আচরণে আইনজীবী ও জামায়াতের নেতা-কর্মীরা বিব্রত।
জামায়াত নেতার সাময়িক বহিষ্কার:
ভিডিওটি দেখার পর যশোর জেলা জামায়াতে ইসলামীর প্রচার সম্পাদক মো. শাহাবুদ্দিন জানান, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অজিয়ার রহমানকে জামায়াতে ইসলামীর সকল পদ থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি আর জামায়াতের কোনো কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না।
এদিকে, যশোর আদালতের কোর্ট ইন্সপেক্টর রোকসানা খাতুন জানিয়েছেন, বুধবার দুপুরে অজিয়ার রহমানকে কেশবপুর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক আঞ্জুমারা খাতুন তাকে জামিন দেন।