স্পোর্টস ডেস্ক :এ যেনো টিম ডেভিডের কাছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হার, তার বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে ভর করে ২৩ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এক ইনিংসেই রীতিমতো রেকর্ডের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন ডেভিড।
অজিদের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে তার প্রথম তিন অঙ্কের রান এখন অস্ট্রেলিয়ায় দ্রুততম অর্ধশতক ও শতকও বটে। জয়ের পাশাপাশি ৫ ম্যাচের সিরিজ দুই ম্যাচ হাতে রেখেই জিতল মিচেল মার্শের দল।
এদিকে যমুনা নিউজ জানায়, শনিবার (২৬ জুলাই) বাংলাদেশ সময় ভোরে সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে মুখোমুখি হয় দু’দল।
৪২ ম্যাচের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এদিনই প্রথম ছয় নম্বর ব্যাটিং পজিশনের আগে নেমেছিলেন ডেভিড। তার প্রতিদানও দিয়েছেন মাত্র ১৬ বলে ফিফটি হাঁকিয়ে। যা অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্রুততম। এর আগে মার্কাস স্টয়নিস ১৭ বলে ফিফটি করেছিলেন।
অবশ্য বিধ্বংসী রূপ ধারণের আগে ডেভিড প্রথম ৮ বলে মাত্র ৫ রান করেছিলেন। ক্যারিবীয় বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে তার ব্যাটে এসেছে ১১টি ছক্কা। যা অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এক টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০১৩ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫৬ রান করার পথে অ্যারন ফিঞ্চ ১৪টি ছয় হাঁকান।
ডেভিড পরের ফিফটি তুলেছেন ২১ বলে। তবু অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্রুততম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি এখন তার। ১৭তম ওভারের প্রথম বলে রোমারিও শেফার্ডের বলে চার মেরে সেঞ্চুরি তুলে নেন। এই বাউন্ডারিতে নিশ্চিত হয় অস্ট্রেলিয়ার জয়ও। ডেভিডের আগে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম সেঞ্চুরি ছিল জশ ইংলিশের। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৩ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন। ডেভিডের করা ৩৭ বলের সেঞ্চুরিটি টেস্ট খেলুড়ে কোনো দেশের বিপক্ষে তৃতীয় দ্রুততম।
এর আগে, অধিনায়ক শাই হোপের সেঞ্চুরিতে আজ বড় সংগ্রহই তুলেছিল আগে ব্যাটিংয়ে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সংগ্রহটা আরও বড় হতে পারত, তবে শেষ ৫ ওভার ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলেছে মাত্র ৪৯ রান। ৫৭ বলে ১০২ রানে অপরাজিত ছিলেন হোপ।
উল্লেখ্য, ডেভিড ছাড়াও শেষদিকে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আজ ১৬ বলে ৩৬ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন মিচেল ওয়েন। দুজনের জুটিতে এসেছে ১২৮ রান। যা ফরম্যাটটিতে অস্ট্রেলিয়ার পঞ্চম উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ। এমন ঝোড়ো ব্যাটিং জুটিই অজিদের টানা তৃতীয় জয় নিশ্চিত করেছে।