স্পোর্টস ডেস্ক : শেন ওয়ার্নের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলে খেলেছেন তিনি। ওয়ার্নের ছায়া থেকে বেরিয়ে নিজের পরিচিতি তৈরি করেছেন। টেস্টে ২০৮ উইকেট নিয়েছেন। সেই স্টুয়ার্ট ম্যাকগিল এখন নিভৃতবাসে দিন কাটাচ্ছেন। কোকেন পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন। তার পর থেকে গোটা জীবনটাই বদলে গিয়েছে তাঁর। -- আনন্দবাজার
চলতি বছর মে মাসে ম্যাকগিলকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। কোকেন পাচার করলেও মাদক মাফিয়াদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল না। সেই কারণে জামিন পেয়েছেন। তবে পরিবারের কাছে ফিরতে পারেননি। নিভৃতবাসে কাটাতে হয় তাঁকে। একটা পডকাস্টে নিজের জীবনের কথা বলেছেন ৫৪ বছরের ম্যাকগিল। তিনি বলেন, “আমি ঘরের জানলার পর্দাও বেশি খুলি না। একা একাই থাকি। সারা ক্ষণ উৎকণ্ঠায় ভুগি। তবে আমার ভাগ্য ভাল যে মানসিক অবসাদ গ্রাস করেনি।
তাঁর ঘটনা সামনে আসার পর থেকে পরিবারকে অনেক কিছু সহ্য করতে হচ্ছে। বিশেষ করে সন্তানদের। সেটাই ম্যাকগিলের প্রধান চিন্তা। তিনি বলেন, “আমার দোষের শাস্তি আমার পরিবারকে পেতে হচ্ছে। আমি তো একা আছি। কিন্তু আমার সন্তানদের জবাবদিহি করতে হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমকে তো আমি আটকাতে পারব না। আমাকে কে কী বলল, তা আমি ভাবি না। কিন্তু আমার সন্তানদের যে কষ্ট হচ্ছে, তা আমি সহ্য করতে পারছি না। আমি জানি, ওরা প্রচণ্ড লড়াই করছে। ওদের সঙ্গে তো দেখাও করতে পারি না।
খেলা ছাড়ার পর কোচিং করাতেন ম্যাকগিল। তাঁর বন্ধুর সংখ্যাও অনেক বেশি ছিল। এখন পাশে কেউ নেই। তিনি একা। ম্যাকগিল বলেন, “আমার অনেক বন্ধু ছিল। সারা ক্ষণ হইহই করতাম। এখন একা থাকছি। আমার ভিতরটা পুরো খালি হয়ে গিয়েছে। পুরনো দিনের কথা ভাবি। নিজেকে সামলাই। তবে মাঝে মাঝে সেটা খুব কঠিন হয়ে যায়।
খেলার সময়ের এক পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে এই খারাপ সময় কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন ম্যাকগিল। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন স্পিনার বলেন, “যদি কোনও কিছু নিয়ে আমার সমস্যা হয়, তা হলে সেই বিষয়ে ভাবা আমি বন্ধ করে দিই। খেলার সময় সেটাই করতাম। এখনও করছি। তবে আমি আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাই। আবার কাজ করতে চাই। এখন তো আমার হাতে কোনও কাজই নেই।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১৯৯৮ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত খেলেছেন ম্যাকগিল। কিন্তু ওয়ার্ন থাকায় নিয়মিত সুযোগ পেতেন না তিনি। কেরিয়ারে ৪৪ টেস্টে ২০৮ উইকেট নিয়েছেন তিনি। তিনটে এক দিনের ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ৬ উইকেট। শেষ ২০১১-১২ মরসুমে বিগ ব্যাশে সিডনি সিক্সার্সের হয়ে খেলেছেন ম্যাকগিল। তার পরে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেন তিনি।