নিজস্ব প্রতিবেদক : মেহেদী হাসান দলে ফিরে রীতিমত ভেল্কি দেখালেন, তিনি প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে বল হাতে ৪ উইকেট নিয়ে জয়ের ভিতটা গড়ে দিয়েছিলেন। রান তাড়ায় বোলারদের ওপর ঝড় তুললেন তানজিদ হাসান তামিম।
বাঁহাতি এই ওপেনারের ছক্কার বৃষ্টিতে ৮ উইকেটের জয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ।
বুধবার কলম্বোয় সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১৩২ রানের সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা। জবাবে তানজিদের ৪৭ বলে ৬ ছক্কায় গড়া ৭৩ রানের অপরাজিত ইনিংসে ২১ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছায় বাংলাদেশ।
মেহেদী হাসান মিরাজের বদলে চার ম্যাচ পর একাদশে ফিরে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ১১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন মাহেদী। অন্যদিকে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেন তানজিদও। ১১৪ রান করে সিরিজ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন অধিনায়ক লিটন দাস।
রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। প্রথম বলেই পারভেজ হোসেন ইমনের উইকেট হারায় তারা। তবে দ্বিতীয় উইকেটে তানজিদ ও লিটনের জুটিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় সফরকারীরা।
বোলারদের কোনো সুযোগ না দিয়ে সিঙ্গেলস-ডাবলসে রানের চাকা সচল রাখেন তারা। পাওয়ারপ্লেতে যোগ করেন ৪৭ রান। নবম ওভারে ৩২ রান করা লিটনকে ফিরিয়ে ৭৪ রানের এই জুটি ভাঙেন কামিন্দু মেন্ডিস। এরপর তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে বাকি কাজটা সারেন তানজিদ। বাঁহাতি এই ওপেনার ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি তুলে নেন ২৭ বলে। হৃদয় অপরাজিত থাকেন ২৭ রানে।
এর আগে প্রথম ওভারের শেষ বলে কুশল মেন্ডিসকে (৬) ফিরিয়ে ১৪ রানেই উদ্বোধনী জুটি থামান শরিফুল ইসলাম। দ্বিতীয় ওভারে বল হাতে নিয়ে রানের খাতা খোলার আগেই কুশল মেন্ডিসকে সাজঘরের পথ দেখান মাহেদী। নিজের দ্বিতীয় ওভারে দিনেশ চান্দিমালকে (৪) তুলে নেন তিনি। পরের ওভারে দারুণ এক ডেলিভারিতে অধিনায়ক চারিত আসালাঙ্কার (৩) স্টাম্প ভাঙেন এই অফস্পিনার। ফিফটির পথে এগুতে থাকা পাতুম নিসাঙ্কাকে (৪৬) ফিরতি ক্যাচে সাজঘরের পথ দেখিয়ে নিজের চতুর্থ শিকারটি ধরেন তিনি।
৬৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়া দলকে বড় সংগ্রহের পথে নেওয়ার চেষ্টার চালান কামিন্দু ও দাসুন শানাকা জুটি। কিন্তু কামিন্দুকে (২১) ফিরিয়ে ২২ রানের এই জুটি ভেঙে তা আর হতে দেননি শামীম হোসেন পাটোয়ারী।
সফরকারীদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে একটা সময় মনে হচ্ছিল ১২০ রানও হয়তো তুলতে পারবে না শ্রীলঙ্কা। কিন্তু শরিফুলের করা শেষ ওভারে সব ওলটপালট করে দেন শানাকা। দুটি করে চার ও ছক্কায় ২২ রান নিয়ে দলকে লড়াই করার মতো সংগ্রহ এনে দেন তিনি। ডানহাতি এই ব্যাটার অপরাজিত থাকেন ৩৫ রানে।