স্পোর্টস ডেস্ক : জীবনের দৌড় শেষ হলো। হলেন দৌড়বিদ ফৌজা সিং। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ১১৪ বছর। নিজের গ্রাম বিয়াসে একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় তিনি প্রয়াত হয়েছেন বলে খবর। একাধিকবার ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি।
১৯১১ সালের ১ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন ফৌজা। ছোটবেলা থেকেই তাঁর পা নিয়ে কিছু সমস্যা ছিল। অন্যদের তুলনায় তাঁর পা অনেকটা সরু ছিল বলে জানা যায়। যার কারণে অনেক বন্ধুরা তাঁকে নিয়ে মস্করা করতেন। বন্ধুমহলে ‘ডান্ডা’ বলে ডাকা হতো তাঁকে। -- এই সময়
শখেই ছোটবেলায় দৌড় প্র্যাকটিস করেন ফৌজা। দেশভাগের সময়ে তাঁর পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই থেকে দৌড়ানো ছেড়ে দিতে হয় সংসারের হাল ধরতে।
১৯৯৪ সালে নিজের পঞ্চম পুত্র কুলদীপের মৃত্যুর পর খুবই শোকাহত হয়েছিলেন ফৌজা। দু’বছর আগেই তাঁর স্ত্রী প্রয়াত হয়েছিলেন। পরিজনদের মৃত্যু তাঁর জীবন বদলে দেয়। নিজের মানসিক অবস্থার বদল আনতে ফের দৌড় প্র্যাকটিস শুরু করেন। ৮৯ বছর বয়সে দৌড়ের ট্রেনিং নেওয়া শুরু করেন ফৌজা। ৯৩ বছর বয়সে ৬ ঘণ্টা ৫৭ মিনিটে ম্যারাথন দৌড় শেষ করেন। ১০০ বছর বয়সে ফৌজা সিং ৮ ঘণ্টা ১১ মিনিটে টরন্টো ওয়াটারফ্রন্ট ম্যারাথন সম্পন্ন করেন। তিনিও প্রথম ১০০ বছর বয়সের প্রতিযোগী যিনি ম্যারাথনে এই রেকর্ড করেন বলে দাবি করা হয়।
চণ্ডীগড়ের লেখক খুশবন্ত সিং ফৌজা সিং-এর জীবনের গল্প নিয়ে বই লেখেন। ‘পাগড়িওয়ালা টর্নেডো’ নামে সেই জীবনী প্রকাশ পায়। ফৌজার মৃত্যুর পর শোকপ্রকাশ করে পাঞ্জাবের রাজ্যপাল গুলাব চাঁদ কাটারিয়া বলেন, ‘১১৪ বছর বয়সেও তিনি তার প্রাণশক্তি দিয়ে নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছেন। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে জলন্ধর জেলার তাঁর গ্রাম বিয়াস থেকে দুই দিনের ‘নেশা মুক্তি’ পদযাত্রায় ওঁর সঙ্গে আমার হাঁটার সৌভাগ্য হয়েছিল।