স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যেন কোনোভাবেই উন্নতি করতে পারছে না। গত ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে তাদের হোয়াইটওয়াশ করে ভালো কিছু করার ইঙ্গিত দিলেও পরের সিরিজেই আবার নিজেদের পুরোনো রূপে ফিরে গেছে তারা। এবার আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের ১৫ নম্বরে থাকা সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে সিরিজ হেরেছে লিটন দাসরা। তবে র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকা দলগুলোর বিপক্ষে এরকম হার এবারই প্রথম নয় তাদের জন্য। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের কাছেও সিরিজ হেরেছিল টাইগাররা। -- অলআউট স্পোর্ট
বুধবার শারজায় সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে আরব আমিরাতের কাছে ৭ উইকেটে হারে বাংলাদেশ।
গত বছর ডিসেম্বরে বর্তমানে র্যাঙ্কিংয়ের ৩১ নম্বরে থাকা সৌদি আরবের কাছে একটি টি-টোয়েন্টি হেরেছিল আরব আমিরাত। এবার তাদের কাছে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারল বাংলাদেশ। আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর বিপক্ষে এটি আরব আমিরাতের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়। ২০২১ সালে আয়ারল্যান্ডকেও একই ব্যবধানে হারিয়েছিল তারা।
এদিন বাংলাদেশের পরাজয়টা যেন শুরুতে লেখা হয়ে গিয়েছিল। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যাটারদের হতশ্রী পারফরম্যান্সে ৮৪ রান তুলতেই ৮ উইকেট হারায় তারা। এরপর জাকের আলী অনিকের (৪১) দৃঢ়তা এবং শেষ দিকে হাসান মাহমুদের ১৫ বলে ২৬ ও শরিফুল ইসলামের ৭ বলে ১৬ রানের ইনিংসে ৯ উইকেটে ১৬২ রানের লড়াই করার মতো সংগ্রহ পায় লিটনের দল।
জবাবে বোলারদের ধারহীন বোলিংয়ে ৫ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছায় আরব আমিরাত। ম্যাচ শেষে দলের ছন্নছাড়া পারফরম্যান্সের চেয়ে শিশিরকেই বেশি দায়ী করে অধিনায়ক লিটন বলেন, আজকে আমি মনে করি, এই ধরনের উইকেটে ও কন্ডিশনে যেরকম ব্যাটিং করার দরকার ছিল সেটা করতে পারিনি। শেষ তিন ম্যাচে আমরা পরে বোলিং করেছি এবং শিশির এখানে বড় একটা সমস্যা ছিল। ব্যাটিংয়ের সময় তারা শিশিরের কারণে কিছু সহায়তা পেয়েছে তবে তাদের কৃতিত্ব দিতেই হবে।
এর আগে দ্বিতীয় ম্যাচে ২০৬ রানের লক্ষ্য দিয়েও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। সেবারও শিশিরের দায় দিয়েছিলেন লিটন। অন্যদিকে এটি ছিল টি-টোয়েন্টিতে আরব আমিরাতের সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড। শুধু তাই নয়, এর আগে এই ফরম্যাটে কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে সহযোগী দেশগুলো এত বেশি রান তাড়া করতে পারেনি। আগের রেকর্ডটি ছিল ১৯১ রানের।
এই নিয়ে তৃতীয়বার কোনো সহযোগী দেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারল বাংলাদেশ। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তিন ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তারও আগে ২০১২ সালে স্কটল্যান্ডের কাছে এক ম্যাচের সিরিজে হেরেছিল টাইগাররা।