বাংলাদেশ সরকারকে দ্রুত বকেয়া পরিশোধের আহ্বান জানিয়েছে ভারতের আদানি পাওয়ার। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস বি খাইলিয়া বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ফারজানা মমতাজের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এই দাবি জানান।
ভারতের ঝাড়খণ্ডে আদানির ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের আদানির এ বিদ্যুৎকেন্দ্র অবস্থিত। বিদ্যুতের বিল সাত মাস ধরে বকেয়া রয়েছে বলে জানান খাইলিয়া। তার দাবি অনুযায়ী, বকেয়া টাকার পরিমাণ প্রায় নয়শ’ মিলিয়ন ডলার। যদিও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) মতে এই অঙ্ক কম, সাতশো মিলিয়নের নিচে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন আদানি পাওয়ারের বাণিজ্য বিভাগের প্রধান এম আর কৃষ্ণা রাও। তারা বিদ্যুৎ বিভাগের সচিবকে বলেন, ব্যাংকঋণের চাপে কোম্পানিটি আর্থিকভাবে বড় ধরনের চাপে রয়েছে। বিল পরিশোধে দেরি হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।
এ সময় খাইলিয়া জানুয়ারিতে জমা দেওয়া একটি প্রস্তাবের উল্লেখ করে বলেন, জুনের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ করলে বিলম্ব মাশুল বাবদ প্রায় পঞ্চাশ মিলিয়ন ডলার ছাড় দেওয়া হবে। এতদিনেও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ওই প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ফারজানা মমতাজ জানান, এটি ছিল কেবল একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ, কোনো সিদ্ধান্তমূলক আলোচনা হয়নি। তিনি বলেন, ‘আমরা নিয়মিত বিল পরিশোধ করছি। তবে পুরো টাকা একবারে পরিশোধ সম্ভব হচ্ছে না অর্থ মন্ত্রণালয়ের কিছু নীতিগত সীমাবদ্ধতার কারণে।’
বিদ্যুৎ বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বকেয়া নিয়ে আবারও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে । শিগগিরই আরেকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে। এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে আদানির প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানরেজাউল করিমের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন।
জানা গেছে, অর্ন্তবর্তী সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আদানির সঙ্গে স্বাক্ষরিত বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি পর্যালোচনা করছে। চুক্তিটি দেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করছে কি না, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সূত্র জানিয়েছে। উৎস: সমকাল।