শিরোনাম
◈ দেশ যেন মৌলবাদের অভয়ারণ্য না হয়: তারেক রহমান ◈ বিদেশে ৪০ হাজার কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান, পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার ◈ ১৫ আগস্ট শ্রদ্ধার আড়ালে ভয়াবহ ষড়যন্ত্র ঘটেছে : জুলকারনাইন সায়ের ◈ ফিলিস্তিনের প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের সমর্থন অব্যাহত থাকবে, রাষ্ট্রদূতকে প্রধান উপদেষ্টা ◈ যিনি সম্মানের যোগ্য, তাকে সেই সম্মান দিতে হবে: জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ◈ হত্যা মামলায় মাই টিভির চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দীন গ্রেপ্তার ◈ আবাসন সংকটে উত্তাল চবি, প্রশাসনিক ভবনে তালা দিল শিক্ষার্থীরা ◈ ১৭ দিনে এলো সাড়ে ১৯ হাজার কোটি টাকার প্রবাসী আয় ◈ মহাখালী পেট্রোল পাম্পে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১০ ইউনিট (ভিডিও) ◈ মেঘনায় জাহাজা থেকে চিনি চুরির চেষ্টা, চক্রের ৮ সদস্য গ্রেপ্তার

প্রকাশিত : ১৭ আগস্ট, ২০২৫, ০৬:৫০ বিকাল
আপডেট : ১৭ আগস্ট, ২০২৫, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পৃথক বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব প্রধান বিচারপতির

দেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতা ও বিচার ব্যবস্থার চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটি পৃথক বাণিজ্যিক আদালত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

আজ রবিবার সিলেটের দ্যা গ্র্যান্ড সিলেট হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এবং ইউএনডিপির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত বাণিজ্যিক আদালত শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ প্রস্তাব দেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে বাণিজ্যিক বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য কোনো পৃথক বিচারিক ফোরাম নেই। এখন কোটি কোটি টাকার বাণিজ্যিক বিরোধগুলোকে ছোটখাটো দেওয়ানি মামলার সঙ্গে একই সারিতে নিষ্পত্তি করতে হওয়ায় দ্রুত, কার্যকর বিচার প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। এটি আমাদের বিচারকদের প্রতি কোনো সমালোচনা নয়। তাদের নিষ্ঠা প্রশ্নাতীত। বরং এটি একটি কাঠামোগত অসংগতি। এর ফলে মামলার জট যেমন বাড়ছে, তেমনি ব্যবসায়িক সম্পর্ক ও বিনিয়োগ পরিবেশও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

তিনি একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, ২০২৫ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত শুধু অর্থ ঋণ আদালতে প্রায় পঁচিশ হাজারের বেশি মামলা অমীমাংসিত রয়ে গেছে।

পৃথক বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, এটি কারো একক কোনো দাবি নয় বরং বাণিজ্যিক মামলাগুলো বিশেষায়িত আদালতে নির্দিষ্ট সময়সীমা ও কার্যকর রায়ের মধ্যমে নিষ্পত্তি হওয়ার জন্য বৃহৎ বিনিয়োগকারী থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী সবাই দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন সভা-সেমিনারে এই দাবি জানিয়ে আসছেন।

তিনি বৈশ্বিক উদাহরণ তুলে ধরে বলেন রুয়ান্ডা, ভারত ও পাকিস্তানের মতো দেশগুলো বাণিজ্যিক আদালত গড়ে তুলে একটি দক্ষ, স্বচ্ছ ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করেছে।

তিনি বলেন, এ সকল দেশের অভিজ্ঞতাগুলো বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা বহন করে।

প্রধান বিচারপতি প্রস্তাবিত বাণিজ্যিক আদালত ব্যবস্থার সাতটি মূল স্তম্ভের কথা উল্লেখ করেন। সেগুলো হলো- স্পষ্ট ও একীভূত এখতিয়ার নির্ধারণ, আর্থিক সীমারেখা ও স্তরভিত্তিক কাঠামো, বাধ্যতামূলক কেস ম্যানেজমেন্ট ও কঠোর সময়সীমা, সমন্বিত মধ্যস্থতা ব্যবস্থা, প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার (যেমন, ই-ফাইলিং, ডিজিটাল ট্র্যাকিং, হাইব্রিড শুনানি), সবার জন্য ন্যায়সঙ্গত প্রবেশাধিকার, এবং জবাবদিহি ও কর্মক্ষমতা পর্যবেক্ষণ।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, বাণিজ্যিক আদালতের কার্যক্রম হবে পূর্ণাঙ্গভাবে কার্যকর, জবাবদিহিমূলক এবং বাণিজ্যের পরিবর্তনশীল চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

সেমিনারে সূচনা বক্তব্য দেন সিলেটের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান। হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জাফর আহমেদের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফান লিলার। উৎস: বিডি প্রতিদিন
 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়