দীপক চৌধুরী: স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও দেশের মুক্তিযোদ্ধারা প্রকৃত কল্যাণ থেকে বঞ্চিত—এমন মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক। তিনি বলেন, “মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে নানা রাষ্ট্রীয় শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নিযুক্ত থাকলেও বাস্তবে তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটেনি।”
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর নিউ ইস্কাটন রোডে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের নবনিযুক্ত আহ্বায়ক কমিটির শপথগ্রহণ উপলক্ষে আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
ফারুক ই আজম বলেন, “দেশে একটি পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রণালয়, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট, জামুকা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ থাকার পরও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য উল্লেখযোগ্য কিছু হয়নি। যারা দায়িত্বে ছিলেন, তারা দায়সারা মনোভাব নিয়ে কাজ করেছেন। কোনো স্বচ্ছতা ও নজরদারি ছিল না, যার ফলে বহু সম্পদ বেহাত হয়েছে।”
তিনি জানান, বর্তমান সরকার এসব বিষয়ে নতুনভাবে উদ্যোগ নিয়েছে। “আমরা সকল সম্পদের অডিট করছি। অচিরেই একটি পরিষ্কার চিত্র পাওয়া যাবে। তারপর দেখা হবে, কীভাবে এসব সম্পদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রকৃত কল্যাণে ব্যবহার করা যায়।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের নবনিযুক্ত আহ্বায়ক নঈম জাহাঙ্গীর এবং শপথ পাঠ করান কমিটির অন্যান্য সদস্যদের। সঞ্চালনায় ছিলেন সদস্য সচিব সাদেক আহমেদ খান।
গত ২৪ জুন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ১১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেয়। জামুকার মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব শাহিনা খাতুন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে মনোনীত হন নঈম জাহাঙ্গীর এবং সদস্য সচিব হন সাদেক আহমেদ খান।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন: মেজর (অব.) সৈয়দ মুনিবুর রহমান, সৈয়দ আবুল বাশার, সিরাজুল হক, অনিল বরণ রায়, জাহাঙ্গীর কবির, আলহাজ নুরুল ইসলাম, আব্দুল্লাহিল সাফি, আলহাজ মনসুর আলী সরকার এবং প্রকৌশলী জাকারিয়া আহমেদ।