আবদুল ওহাব, শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় পৃথক দুটি ঘটনায় এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা এবং এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) এ দুই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
ছুরিকাঘাতে হত্যা:
ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের পাশে ফটকি ব্রিজ এলাকায় ছুরিকাঘাতে নিহত হন আনোয়ার হোসেন (৩৫)। তিনি নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার বাসিন্দা এবং শাজাহানপুর উপজেলার বেতগারিতে অবস্থিত রেনেটা ওষুধ কোম্পানির কার্যালয়ে মার্কেট অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আনোয়ার তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে মাঝিড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে অফিস শেষে বাসায় ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। তার শরীরে একাধিক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে—বুকের ডান পাশে, নিচে ও ডান হাতের কুনুই থেকে কবজির মাঝামাঝি স্থানে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার:
একইদিন উপজেলার রহিমাবাদ গ্রামে একটি ভাড়া বাসা থেকে সুমাইয়া আক্তার (৩১) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি আশেকপুর ইউনিয়নের পারতেখুর গ্রামের মৃত জাকারিয়া ইসলামের মেয়ে এবং মাঝিড়া ইউনিয়নের ডোমনপুকুর এলাকার আমিনুল ইসলাম বাপ্পির স্ত্রী।
স্থানীয় বাসিন্দা ওয়াহেদ আলী জানান, চার মাস আগে সুমাইয়া তার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ভাড়া নেওয়ার সময় রাজু নামের এক ব্যক্তি স্বামী এবং রাকিব নামের এক যুবককে ভাতিজা পরিচয়ে পরিচয় দেন। এরপর তারা নিয়মিত ওই বাসায় যাতায়াত করতেন।
বৃহস্পতিবার সারাদিন ও রাত পর্যন্ত সুমাইয়ার কোনো সাড়া না পেয়ে এবং ঘরের দরজা-জানালা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পেয়ে বাড়িওয়ালা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, দুইটি ঘটনারই তদন্ত চলছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।