শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৩ মে, ২০২৫, ১১:৫৬ রাত
আপডেট : ০৪ মে, ২০২৫, ১২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দেশে জঙ্গি ঢুকিয়ে দিয়ে যুদ্ধের নাটক করছে বিজেপি: কীর্তি আজাদ

 হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন: পহেলগাঁও হামলার ঘটনার পর ভারত প্রতিশোধ নেবে সেটাই ধরে নিয়েছেন দেশের মানুষজন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিরোধী দলগুলির সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠক করার পরই মনে করা হয়েছিল এবার অ্যাকশন নেবে ভারত। তারপর পাঁচটি পদক্ষেপ ভারত সরকার করার পর চাপে পড়ে পাকিস্তান। তবে তারা হুঙ্কার দিতে ছাড়েনি। সুতরাং বিরাট কোনও সমস্যা দেখা দেয়নি। এরপর কাশ্মীর সীমান্তে গুলির লড়াইয়ে খতম করা হয় লস্কর কমান্ডারকে। এমনকী আকাশপথ বন্ধ করে দেয় ভারত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যে কথা দেশবাসীকে দিয়েছিলেন তা বাস্তবায়িত হয়নি। তিনি বলেছিলেন, কল্পনার বাইরে শাস্তি পাবে পাকিস্তান। আর বেশ কদিন কেটে গেলেও কাজ না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে আজ তুলোধনা করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কীর্তি আজাদ।

আজ, শনিবার পাকিস্তান আবার হুমকি দিয়েছে ভারতের উদ্দেশে। সিন্ধুর উপর বাঁধ নির্মাণ করলেই তা গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। এই হুমকি দেওয়া হলে ভারত কোনও পাল্টা জবাব দেয়নি। এই গোটা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কীর্তি আজাদ বলেন, ‘‌দেশের ইন্টিলিজেন্স বিভাগ ব্যর্থ। বিজেপি বাংলায় বাংলাদেশের অনুপ্রবেশের সমালোচনা করে, আর দেশে জঙ্গি ঢুকিয়ে দিয়ে যুদ্ধ যুদ্ধ নাটক করছে। জঙ্গি আর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ যুদ্ধ নাটক করছে বিজেপি। আসলে সবটাই ‘‌টাই টাই ফিস ফিস, ঠনঠন গোপাল’‌।

বাংলার বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউ এখন পাকিস্তানে বন্দি। ভারত তাঁকে এখন পর্যন্ত ছাড়িয়ে আনতে পারেনি। বারবার ফ্ল্যাগ মিটিং করেও কোনও সুরাহা হয়নি। তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী পাঠানকোটে গেলেও কোনও ভাল খবর না নিয়েই রিষড়ার বাড়িতে ফিরে এসেছেন। এই পরিস্থিতিতে কীর্তি আজাদের বক্তব্য, ‘‌প্রধানমন্ত্রী পহেলগাঁওতে যেতে পারলেন না?‌ কাশ্মীর ইস্যুতে সর্বদলীয় বৈঠকে থাকতে পারলেন না?‌ অথচ বিহার সফর করছেন বিধানসভা ভোটের জন্য!‌ এর চেয়ে আর লজ্জার কি হতে পারে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে এতো দেরি কিসের? কেন ব্যর্থ গোয়ান্দা বিভাগ?’‌

এমন একটা পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী সমরসজ্জায় সেজে উঠেছে। কিন্তু তেমন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। আজ, শনিবার দুর্গাপুরে নিজ বাসভবনে এক সাংবাদিক বৈঠক করে নিজের গত এক বছরের কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন বর্ধমান দুর্গাপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। কীর্তি আজাদের কথায়, ‘একুশের বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকে বিজেপি বাংলায় সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজে অন্তরায় তৈরি করছে। ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করছে। আর তাই বন্ধ রাষ্ট্রয়ত্ত সংস্থাগুলি খোলার ব্যাপারে লোকসভায় প্রশ্ন করার পরও কোনও সদুত্তর মেলেনি।’‌

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়