বলিউড ও মারাঠি সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা অচ্যুত পোতদার প্রয়াত। আমির খানের ব্লকবাস্টার ফিল্ম ‘থ্রি ইডিয়টস’-এ তাঁকে রাগী অধ্যাপকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল। তাঁর অভিনীত সেই চরিত্র আজও দর্শকদের মনে বিশেষ জায়গা করে রয়েছে। অভিনেতা ১৮ আগস্ট থানের জুপিটার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।
১৯৮০ সালের শেষের দিকে অভিনয় জগতে পা রাখেন অচ্যুত। তবে তার আগে দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন তিনি। ভারতীয় সেনাবাহিনিতে কর্মরত ছিলেন অচ্যুৎ।
তার পর ইন্ডিয়ান অয়েল সংস্থাতেও কাজ করেন। পরবর্তী সময় টেলিভিশনের দৌলতে অভিনয়জগতে পা রাখা। তার পর থেকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। ফিল্মি ক্যারিয়ারে ১২৫টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
তার মধ্যে যেমন হিন্দি ছবি রয়েছে, তেমনই মারাঠি ভাষার সিনেমাও রয়েছে। তবে বলিউডে তিনি চেনামুখ হয়ে ওঠেন পরিচালক বিধু বিনোদ চোপড়ার হাত ধরে। কারণ তাঁর সিনেমাতেই সবথেকে বেশি দেখা গিয়েছে অচ্যুৎ পোতদারকে।
অচ্যুতের মুখে ‘থ্রি ইডিয়টস’ সিনেমার সেই সংলাপ আজও জনপ্রিয়। যেখানে কলেজের শ্রেণীকক্ষে আমিরের উদ্দেশে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল- ‘কেহেনা ক্যায়া চাহাতে হো? (কি বলতে চাও?)’ এছাড়াও ‘আক্রোশ’, ‘অ্যালবার্ট পিন্টো কো গুসসা কিউঁ আতা হ্যায়’, ‘অর্ধ সত্য’, ‘তেজাব’, ‘পারিন্দা’, ‘রাজু বান গ্যায়া জেন্টলম্যান’, ‘দিলওয়ালে’, ‘রঙ্গিলা’, ‘বাস্তব’, ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’, ‘পরিণীতা’, ‘লাগে রাহো মুন্না ভাই’, ‘দাবাং ২’ থেকে ‘ভেন্টিলেটর’-এর মতো একগুচ্ছ বলিউড কমার্শিয়াল হিট সিনেমায় দেখা গিয়েছে অচ্যুৎ পোতদারকে।
মঙ্গলবার তাঁর প্রয়াণের খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে ভারতের বিনোদন অঙ্গনে। তারকা সহকর্মী থেকে শুরু করে ভক্ত অনুরাগীরা একের পর এক শোকবার্তা জানাচ্ছেন।