শিরোনাম
◈ ন্যায়বিচার পেয়েছেন তারেক রহমান: ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ◈ জি এম কাদের ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ◈ তারেক রহমান দেশে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন: আযম খান ◈ বিশ্বব‌্যাপী মা‌র্কিন প্রভা‌ব রুখ‌তে ইরান ও চীনের ২৫ বছরের ব্যাপক চুক্তি ◈ ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান শওকত আলী চৌধুরী ও পরিবারের ৮ হাজার কোটি টাকার লেনদেন ◈ সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস কক্সবাজারে, কৌতূহল ◈ আগামী সরকারের মন্ত্রীদের জন্য ৬০ গাড়ি কেনা হচ্ছে ◈ সোহাগ পরিবহনের কাউন্টারে তাণ্ডব, হামলার নেপথ্য কারন যা জানাগেল ◈ এবার জেলেনস্কিকে মস্কোয় আমন্ত্রণ জানালেন পুতিন ◈ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: তারেক রহমান-বাবরের খালাসের রায় আপিল বিভাগেও বহাল

প্রকাশিত : ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:০৩ দুপুর
আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০২:১৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান শওকত আলী চৌধুরী ও পরিবারের ৮ হাজার কোটি টাকার লেনদেন

সহযোগীদের খবর: ব্যবসায়ী শওকত আলী চৌধুরী। ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যানও তিনি। মূলত শিপিং ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। চট্টগ্রামের এই ব্যবসায়ী ও তার পরিবারের সদস্যদের আট হাজার কোটি টাকারও বেশি পরিমাণ টাকা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে লেনদেনের তথ্য পেয়েছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। গত আগস্ট মাসে তৈরি হওয়া সংস্থাটির এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বিএফআইইউ বলছে, শওকত আলী চৌধুরী ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন সন্দেহজনক। সংস্থাটির ধারণা, নানা অনিয়মের মাধ্যমে অর্থপাচার করে বিদেশে সম্পদও গড়েছেন শওকত আলী চৌধুরী। যা বিএফআইউ’র অনুসন্ধানে রয়েছে। এ ছাড়া গত আগস্ট মাসে তৈরি হওয়া প্রতিবেদনটি ইতিমধ্যেই দুর্নীতি দমন কমিশনেও (দুদক) পাঠানো হয়েছে। দুদকও প্রাথমিক অনুসন্ধানের জন্য সংস্থাটির যাচাই-বাছাই কমিটিতে (যাবাক) দিয়েছে।  সূত্র: মানবজমিন

বিএফআইইউ’র খসড়া প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে,  শওকত আলী চৌধুরী, তার স্ত্রী তাসমিয়া আম্বারীন মেয়ে জারা নামরীন ও ছেলে জারান আলী চৌধুরী চারজনের এখন পর্যন্ত ২৮টি ব্যাংকে ১৮৭টি হিসাব পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ইবিএল চেয়ারম্যানের নামে ১৪টি হিসাব, তার স্ত্রীর নামে ১৫টি হিসাব, জারা নামরীন এর নামে ৯টি হিসাব ও মো. জারান আলী চৌধুরীর নামে ০৩টি হিসাব এবং তাদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ১৪৬টি হিসাব পাওয়া গেছে।
চলতি বছরের ১৫ই জুন পর্যন্ত আসা হিসাব অনুযায়ী এসব ব্যাংক হিসাবে ৮ হাজার ৪০৭ কোটি ৯১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৮২.২২ টাকা জমা করা হয়েছে।  একই সময়ে ৮ হাজার ২৪৭ কোটি, ৫৬ লাখ ৯২ হাজার ৭৬০.৩১ টাকা  উত্তোলন করা হয়েছে। উক্ত সময়ে স্থিতির পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৭৩ কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার ১৫৮.১৬ টাকা। উল্লিখিত হিসাবসমূহের কেওয়াইসি, হিসাব বিবরণী এবং অন্যান্য দলিল বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

বিএফআইইউ’র প্রাথমিক অনুসন্ধানে, শওকত আলী চৌধুরীর পরিচালিত নানাবিধ ব্যবসায়িক কার্যক্রমের মধ্যে স্ক্র্যাপ ভেসেল আমদানির উদ্দেশ্যে ২০১২ সাল থেকে তাদের মালিকানাধীন এসএন করপোরেশনের পক্ষে ১৪১টি এলসি সংশ্লিষ্ট দলিল পর্যালোচনাধীন রয়েছে। তার মধ্যে ১১টি এলসি’র দলিল বিশ্লেষণে উক্ত এলসি সংশ্লিষ্ট স্ক্র্যাপ ভেসেলগুলো আদৌ শেষ গন্তব্য হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর কি-না তার সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। বরং কিছু ক্ষেত্রে লয়েড লিস্ট ইন্টেলিজেন্স অনুযায়ী একই জাহাজের দুই রকম তথ্য পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানে বৃটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডের একই ঠিকানায় রেজিস্ট্রেশনকৃত ০৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে স্ক্র্যাপ ভেসেল কেনার তথ্যও পাওয়া গেছে যা যথেষ্ট সন্দেহ তৈরি করে। পরবর্তীতে শওকত ও তার পরিবারের সদস্যরা এবং তাদের অন্যান্য ব্যবসার তথ্যও অনুসন্ধানের আওতায় আনা হয়।

বিএফআইইউ’র অনুসন্ধানে বলা হয়, শওকত আলী চৌধুরীর ঢাকা ব্যাংকের জুবিলী রোড শাখায় পরিচালিত ঢাকা ব্যাংক প্লাটিনাম হিসাবটি পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, তিনি হিসাবটি ২০০৪ সালের ১লা জানুয়ারি খোলেন এবং ২০১৭ সালের ৩১শে ডিসেম্বর বন্ধ করেন। এই ব্যাংক হিসাবে মোট জমার পরিমাণ ৩ হাজার ৯৮৭ কোটি ৯৬ লাখ ৩ হাজার ২৭৪.৩১ টাকা। এ ছাড়া মোট উত্তোলনের পরিমাণ মোট ৩ হাজার ৯৮৬ কোটি ২৩ লাখ ২ হাজার ৮৩৫.২৪ এবং বন্ধকালীন স্থিতি (ক্লোজিং ব্যালান্স) ছিল ১৭ লাখ ৩০ হাজার ৪৩৯.০৭ টাকা। এ হিসাব ব্যবহার করে তিনি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এসএন করপোরেশনের লেনদেন করেছেন যা পরোক্ষভাবে ট্যাক্স ফাঁকির উদ্দেশ্যে করা হয়ে থাকতে পারে বলে বিএফআইইউ’র অনুসন্ধানে সন্দেহ করা হয়েছে।
এ ছাড়া শওকত আলী চৌধুরীর ব্যক্তিগত ইবিএল প্রিমিয়াম সেভিংস ধরনের সঞ্চয়ী হিসাব থেকে ১২৫ বার ইস্টার্ন ব্যাংকের কোম্পানি সেক্রেটারি মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন নগদ অর্থ উত্তোলন করেন। ব্যক্তিগত হিসাব থেকে ব্যাংকের কোম্পানি সেক্রেটারির এ অর্থ উত্তোলন ক্ষমতার অপব্যবহার নির্দেশ করে বলেও সংস্থাটির অনুসন্ধান সূত্র জানিয়েছে। 

অবশ্য আব্দুল্লাহ আল মামুন মানবজমিনকে বলেছেন, আমি এসব জানি না। এগুলোর সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততাও নেই। বিএফআইইউ একটি তার ব্যাংক একাউন্ট ফ্রিজ করার বিষয়টি নিউজে দেখতে পেয়েছি। 

বিএফআইইউ সূত্র জানায়, অনুসন্ধানে শওকত আলী চৌধুরী কন্যা জারা নামরীনের অনিয়মও খুঁজে পাওয়া গেছে। ইস্টার্ন ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখায় তার ব্যক্তিগত হিসাবে ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে ৩১ কোটি টাকার জমা হয়েছে যা তার আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এবং মাসের শেষের দিকে একটি ক্লিয়ারিং চেকের মাধ্যমে অন্য হিসাবে ৩০ কোটি টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে যা সন্দেহজনক। এসব লেনদেনের প্রাথমিক উৎস হিসেবে কয়েকটি লেনদেনের ক্ষেত্রে শেয়ার লেনদেনের উল্লেখ রয়েছে এবং এ হিসাব থেকে এসএন করপোরেশনের উল্লেখ রয়েছে যা কর ফাঁকির দিকে ইঙ্গিত প্রদান করে। অনুসন্ধানে জারা নামরীন এসএন কর্পোরেশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন বলে কোনো দলিলও পাওয়া যায়নি বলে বিএফআইইউ’র ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

সংস্থাটির অনুসন্ধানে জানা যায়, শওকত আলীর ছেলে জারান আলী চৌধুরীর মিডল্যান্ড ব্যাংকের সঞ্চয়ী হিসাবে ট্রানজেকশন প্রোফাইলের অতিরিক্ত অর্থ জমা ও উত্তোলন করা হয়েছে। এ সঞ্চয়ী হিসাবে এস. এন করপোরেশন থেকে অর্থ জমা হয়েছে এবং সে অর্থ রয়েল ক্যাপিটালের মাধ্যমে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করা হয়েছে। অর্থাৎ সঞ্চয়ী হিসাব হলেও এর মাধ্যমে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড সম্পাদন করা হয়েছে যা কর ফাঁকির উদ্দেশ্যে করা হয়েছে বলে মনে করা হয়। তাছাড়া, অ্যাকাউন্ট ওপেনিং ফরমে জারান আলী চৌধুরী এর পেশা দেখানো হয়েছে  বেকার এবং আয়ের উৎস হিসেবে মায়ের ব্যবসা থেকে অর্জিত অর্থ দেখানো হয়েছে। একজন ছাত্রের সঞ্চয়ী হিসাবে বিপুল পরিমাণ ব্যবসায়িক অর্থ জমা করা এবং সে অর্থ শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করা অত্যন্ত সন্দেহজনক কর্মকাণ্ড বিধায় এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত করা প্রয়োজন বলেও জানানো হয় বিএফআইইউ’র প্রতিবেদনে।
এস. এন করপোরেশনের নামে পরিচালিত মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সিসি (হাইপো) ধরনের হিসাব থেকে শওকত আলী চৌধুরী ও তার স্ত্রী তাসমিয়া আম্বারীনের মালিকানাধীন আরেকটি প্রতিষ্ঠান নামরীন এন্টারপ্রাইজে অর্থ জমা করা হয়েছে এবং শিপ ব্রেকিং খাতের আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে অর্থ জমা করা হয়েছে। তাছাড়া, নিড ড্রেসেস প্রা. লি. নামক একটি গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানে ৫০ কোটি ৪০ লাখ টাকা জমা করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। 

এ ছাড়া সিটি ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখায় ২০১০ সালের ২৫শে জুলাই শওকত আলী চৌধুরীর ব্যক্তিগত হিসাবে এস. এন করপোরেশন থেকে ৩ কোটি টাকা জমা হয়েছে এবং সে অর্থ ওই দিনই মিডওয়ে সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ হয়েছে। তাছাড়া, এই হিসাবে ২০১৩ সালের ২৯শে জুন ১০৬ কোটি ৮০ কোটি টাকা জমা হয়েছে এবং পরবর্তীতে এ অর্থ এস. এন করপোরেশনে প্রেরণ করা হয়। অর্থাৎ ব্যক্তিগত হিসাব ব্যবহার করে ব্যবসায়িক লেনদেন সম্পন্ন করা হয়েছে যা কর ফাঁকির উদ্দেশ্যে করা হয়ে থাকতে পারে বলে অনুসন্ধানে বলা হয়।

বিএফআইইউ’র বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৫ সালের ৫ই অক্টোবর প্রিমিয়ার ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখা কর্তৃক গ্রাহক এস. এন করপোরেশনের একটি ঋণপত্রের  বিপরীতে গ্রাহকের আমদানি দায় পরিশোধের জন্য গ্রাহককে একই বছরের ১৫ই অক্টোবর ২৬৯ কোটি ৪৬ লাখ ৭ হাজার ৬৪৬.৯০ টাকার এলটিআর সুবিধা প্রধান করে। বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন ছাড়াই শওকত আলীর ওই প্রতিষ্ঠানকে উক্ত সময়ে গ্রাহককে বর্ণিত এলটিআর সুবিধা প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে ১০ই অক্টোবর ২০১৫ প্রধান কার্যালয় থেকে শাখা বরাবর উক্ত এলটিআর পোস্ট-ফ্যাক্টো অনুমোদন প্রেরণ করা হয় যা শাখা কর্তৃক ১৪ই অক্টোবর গৃহীত হয়। অর্থাৎ, ঋণ সুবিধা প্রদানের কোনো অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও গ্রাহককে সুবিধা প্রদানের উদ্দেশ্যে ব্যাংকিং রীতি নীতির ব্যত্যয় ঘটিয়ে উক্ত এলটিআর দেয়া হয়।

বিএফআইইউ’র প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, স্ট্যান্ডার্ড চার্টাড ব্যাংকের চট্টগ্রাম শাখা কর্তৃক এসএন করপোরেশনের পক্ষে খোলা তিনটি ঋণপত্রের বেনিফিসারি ছিল তিনটি বৃটিশ আইল্যান্ড নিবন্ধিত কোম্পানি। বেনিফিসিয়ারি প্রতিষ্ঠান তিনটি বৃটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে নিবন্ধিত যা গাইডলাইন্স ফর প্রিভেনশন অব ট্রেড বেজড মানি লন্ডারিংয়ে একটি এলার্ট হিসেবে উলেখ রয়েছে এবং এক্ষেত্রে ব্যাংক কর্তৃক এনহেন্স ডিউ ডিলিজেন্স করার জন্য নির্দেশনা রয়েছে। বিশ্লেষণে দেখা যায়, ব্যাংক কর্তৃক সঠিকভাবে ইডিডি না করে উক্ত ঋণপত্রগুলো স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়াও, গাইডলাইন্স ফর ফরেন এক্সচেঞ্জ ট্রানজেকশন্স-২০১৮, ভলিউম-১ এর ০৭ অধ্যায়ের সেকশন-(রর) এর ২৩ (বি) নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত নিদের্শনা লংঘনপূর্বক বিদেশি সরবরাহকারীর আর্থিক সচ্ছলতাসহ গোপনীয় তথ্য সংগ্রহ না করেই শাখা কর্তৃক বর্ণিত এলসি স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়াও, বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠান তিনটি একই ঠিকানায় নিবন্ধিত। এ ছাড়াও, উন্মুক্ত অনুসন্ধানে প্রতিষ্ঠান তিনটির কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। 

বিদেশে সম্পদের তথ্য: বিএফআইইউ’র একটি সূত্র জানিয়েছে, শওকত আলী চৌধুরী ও তার পরিবারের সদস্যের নামে সিঙ্গাপুর, দুবাই ও যুক্তরাজ্যে সম্পদ রয়েছে। এর মধ্যে সিঙ্গাপুরে দু’টি বাড়ির তথ্য পাওয়া যায়। আর অন্য দুই দেশের সম্পদের তথ্যগুলো নিয়ে তদন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানিয়েছে সূত্রটি। 

ব্যাংক হিসাব স্থগিত: গত ১লা জুলাই শওকত আলী চৌধুরী ও তার পরিবারের সদস্যদের সব ব্যাংক হিসাব স্থগিত করে বিএফআইইউ। পরে ৩০শে জুলাই সেই স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. তানভীর হাসান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত এক আদেশে ওই সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘মো. শওকত আলী চৌধুরী, তাসমিয়া আম্বারীন, যারা নামরীন ও মো. জারান আলী চৌধুরী এবং তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত হিসাবের লেনদেনের ওপর আরোপিত স্থগিতাদেশ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ২৩(১) (গ) ধারার আওতায় ৩১ জুলাই  থেকে ২৯শে আগস্ট পর্যন্ত ত্রিশ দিন বর্ধিত করার জন্য আপনাদের নির্দেশ প্রদান করা হলো। স্থগিতাদেশের ক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা, ২০১৯ এর ২৬(২) বিধি প্রযোজ্য হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।’

অনুসন্ধানের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএফআইইউ’র উপপ্রধান আমির উদ্দিন মানবজমিনকে বলেন, এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত তেমন তথ্য নেই। অনুসন্ধান কার্যক্রম চলছে। পুরো প্রতিবেদন পেতে সময় লাগবে। 

বিএফআইইউ’র অনুসন্ধানের বিষয়ে জানতে শওকত আলী চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তার দুইটি মুঠোফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে। 

অন্যদিকে কোম্পানির সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, স্যারের সঙ্গে আমার কথা হয়নি। মঙ্গলবার ঢাকায় এসেছেন। এখন তিনি ঢাকায় নেই। আসলে আমার সঙ্গে তার কথা হয় না। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়