শিরোনাম
◈ মাজারে হামলা,  মব সন্ত্রাস নিয়ে আবারো প্রশ্নের মুখে সরকার ◈ শ্রীলঙ্কা ৮০ রানে অলআউট,  জিম্বাবুয়ের কাছে হারলো ৫ উই‌কে‌টে  ◈ বাসাইলে কাদের সিদ্দিকীর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশস্থলে ১৪৪ ধারা জারি ◈ বাংলা‌দেশ যে রেকর্ডে উগান্ডার চেয়েও পিছিয়ে! ◈ বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর বাসায় হামলা-ভাঙচুর ◈ লেভেল-থ্রি কোচিং কোর্সে তিন বিদেশি প্রশিক্ষ‌কের সঙ্গে থাকছেন বি‌সি‌বি সভাপ‌তিও ◈ জাতীয় পা‌র্টি নি‌ষি‌দ্ধের দা‌বি জোরা‌লো হ‌চ্ছে, কোন প‌থে হাট‌বে সরকার? ◈ প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবী বদরুদ্দীন উমর আর নেই ◈ আর্থিক অন্তর্ভুক্তির নতুন জানালা খুলছে উপশাখা ব্যাংকিং ◈ ঘরে ঢুকে মসজিদের খতিবকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশিত : ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:৩৮ রাত
আপডেট : ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৮:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কুড়িগ্রামে বিধবস্ত ২টি ব্রিজে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অসংখ্য মানুষের চলাচল!

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার একটি সড়কের আধা কিলোমিটারের মধ্যে দুটি সেতুর আরসিসি গার্ডার ও পলেস্তারা খসে পরায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে  সেতু দুটি। এছাড়াও দেবে গেছে একটি সেতুর অর্ধেক অংশ। তার পরেও জানমালের ঝুঁকি নিয়ে নিরুপায় হয়ে চলাচল করছে  হালকা যানবাহনসহ হাজার হাজার মানুষ। 

স্থানীয়রা বলছেন, ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দুটি দ্রুত সংস্কার করা না হলে যে কোন সময় ঘটতে পারে প্রাণহানিসহ বড় ধরনের দূর্ঘটনা।

সেতু দুটি উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের ধলডাঙ্গা বাজারগামী সড়কে অবস্থিত। উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশল সূত্রে জানা গেছে, শিলখুড়ি ইউনিয়নের ১৫ মিটার ও ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু দুটি কয়েক বছর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে, বরাদ্দ না থাকার কারনে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দুটি সংস্কার করা যাচ্ছে না।

স্থানীয় বাসিন্দা রফিক বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দুটি দিয়ে হালকা যান চলাচল করলেই কাঁপতে থাকে। যে কোন মুহূর্তে ভেঙে পরে জানমালের ক্ষতি সহ বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই অতি দ্রুত সেতু দুটি সংস্কার করা দরকার। নইলে এই ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।

স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতু দুটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ সহ স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা চলাচল করছে। এই সেতু দিয়েই অনেক অসুস্থ ও গর্ভবতী নারী চিকিৎসা নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায়। সেতু দুটি ঝুঁকি পূর্ণ হওয়ায় এ ইউনিয়নের ব্যবসায়ীদের পন্য আমদানী রপ্তানীর ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দ্রুত সংস্কার করা না হলে ইউনিয়নটি সামগ্রিক ভাবে আরও পিছিয়ে পরবে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য শামসুল হক বলেন, ৩০-৩৫ বছর আগে সেতু দুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সেতু দুটির পলেস্তারা খসে পরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। এর ফলে পুরো ইউনিয়নের মানুষ আতঙ্ক নিয়ে চলাচল করছে সেতুর উপর দিয়ে। এতে করে ভারী যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে দুধকুমার নদের ভাঙন রোধের ৬টি প্যাকেজের কাজ বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাই কর্তৃপক্ষের নিকট দ্রুত সেতু দুটি সংস্কারের জোর দাবী জানাচ্ছি।

এবিষয়ে ভুরুঙ্গামারী উপজেলা প্রকৌশলী ইনছাফুল হক সরকার বলেন, ঝূকিপূর্ণ ব্রীজ দুটি নির্মাণের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া মাত্রই নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়