প্রয়াত পর্তুগিজ ফুটবলার দিয়োগো জোতাকে উৎসর্গ করে গোলের এক উৎসব সাজাল পর্তুগাল। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম ম্যাচে আর্মেনিয়ার মাঠে ম্যাচটা যেন ভিডিও গেমের মতো লাগছিল। শুরু থেকেই গোলের পর গোল করে প্রতিপক্ষকে চূর্ণ করলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও জোয়াও ফেলিক্স। দুজনের জোড়া গোলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে স্কোরশিটে নাম তুলেছেন জোয়াও ক্যানসেলোও।
ম্যাচের শুরুতেই পর্তুগাল বুঝিয়ে দিয়েছিল, আর্মেনিয়ার রক্ষণ ভাঙা তাদের জন্য কঠিন হবে না। ১০ মিনিটে এগিয়ে দেয় ফেলিক্স—ক্যানসেলোর ডান দিক থেকে নিখুঁত ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে গোল। এরপর মাত্র ১০ মিনিট পরই গোল পান রোনালদো। পেদ্রো নেতোর বাড়ানো বল কাছ থেকে ঠেলে দেন বিশ্বের সর্বোচ্চ গোলদাতা।
বিরতির পর আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন তিনি। মাঠে ফিরেই এক মিনিট না যেতেই দুর্দান্ত ভলিতে জালের দেখা পান রোনালদো। আর্মেনিয়ার গোলরক্ষক কিছুই করতে পারেননি। এরপর আবারও গোলের সুবাস, ফেলিক্স এবার হিল করে জালে পাঠান নেতোর ক্রস।
শেষ পর্যন্ত ৫-০ ব্যবধানের দাপুটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রবার্তো মার্টিনেজের দল। ৪০ বছর বয়সেও গোলক্ষুধা কমেনি রোনালদোর। এই ম্যাচে জোড়া গোল করার পর তার ক্যারিয়ার গোলসংখ্যা দাঁড়াল অবিশ্বাস্য ৯৪৩-এ, যার মধ্যে ১৪০ গোল এসেছে জাতীয় দলের হয়ে।
ক্যাপ্টেনের আর্মব্যান্ড পরে শুরু করলেও ম্যাচের শেষ ভাগে সেটি তুলে দেন সতীর্থ ব্রুনো ফার্নান্দেজের হাতে। তবে মাঠ ছাড়ার আগেই রোনালদো আবারও প্রমাণ করে দেন—পর্তুগালের গোলমেশিন এখনো থামেনি।