সনত চক্রবর্তী, ফরিদপুর থেকে: ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন উপজেলার পদ্মাপাড়ে নদী ভাঙনের আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বাড়িঘর, ফসলি জমি হারিয়ে ক্ষোভ ও উদ্বেগে আছেন হাজারো পরিবার। তারা অভিযোগ করছেন, অবৈধভাবে পদ্মা নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর তলদেশ খুলে যাওয়ায় ভাঙন বেড়েছে এবং তীরবর্তী এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বালু দস্যুরা লুটপাট করে লাভবান হলেও সাধারণ কৃষক ও ছোটখাটো চাষিরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন।
বর্ষাকালে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন শুরু হয়, যা প্রতিবছর চরভদ্রাসনের হাজার হাজার পরিবারকে আতঙ্কিত করে রাখে।
এবারও পদ্মার পানি বেড়ে ভাঙন বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। মাত্র ২০ দিনের মধ্যে চরঝাউকান্দা ইউনিয়নের পাঁচটি পরিবারের ভিটেমাটি পদ্মায় বিলীন হয়েছে। এই উপজেলার পদ্মাতীরবর্তী গ্রামগুলোতে আতঙ্ক ও উদ্বেগ ব্যাপক।
স্থানীয়রা জানায়, ইতোমধ্যে চরভদ্রাসন উপজেলার অন্তত ১০টি পরিবারকে তাদের ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিতে হয়েছে। অনেকে বৃষ্টির দিনে খোলা স্থানে আশ্রয় নিচ্ছেন, আবার অনেকে ঝুঁকি নিয়ে নদীর পাড়ে বসবাস করছেন।
চরভদ্রাসনের চরহরিরামপুর ইউনিয়নের সবুল্যা শিকদারের ডাঙ্গী, সদর ইউনিয়নের টিলারচর, চরঝাউকান্দা ইউনিয়নের চরকালকিনিপুর, চরমির্জাপুর, চরতাহেরপুর, চরকল্যাণপুর ও দিয়ারা গোপালপুর গ্রামেও পদ্মার ভাঙন প্রবলভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
চরঝাউকান্দা ইউপির চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান মৃধা বলেন, "গত ২০ দিনের মধ্যে আমাদের ইউনিয়নের পাঁচটি পরিবারের ঘরবাড়ি পদ্মায় বিলীন হয়েছে।"
চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনিরা খাতুন জানান, "পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।"