এম আর আমিন, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায় স্থানীয় সাংবাদিক এম মিলাদ উদ্দীন মুন্নার ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ রয়েছে, দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়ায় তাকে অপহরণ করে নির্মমভাবে মারধর করা হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। একইসঙ্গে তার মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
হামলার ঘটনা ঘটে শুক্রবার (২৭ জুন) রাতে উপজেলার এনাম নাহাড় মোড় এলাকায়। গুরুতর আহত অবস্থায় মুন্নাকে প্রথমে সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় শনিবার (২৮ জুন) তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মানস বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “আহত সাংবাদিক মিলাদ উদ্দীন মুন্নাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।”
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি বলে জানিয়েছেন সন্দ্বীপ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরীফুল ইসলাম। তিনি বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে, সাংবাদিক মুন্নার ওপর হামলার ঘটনায় চট্টগ্রামের সাংবাদিক মহলে চরম ক্ষোভ ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। অনেক সাংবাদিক ও সহকর্মীরা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
এক সিনিয়র সাংবাদিক লিখেছেন, “যারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত, তাদের অনেকেই সে (মুন্না) অতীতে ব্যক্তিগতভাবে সহায়তা করেছেন। তার বাসা ছিল নিপীড়িত নেতা-কর্মীদের আশ্রয়স্থল। সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুতির সময় তিনি অনেককে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন।”
উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যে রয়েছে:
মনিরুল ইসলাম পারভেজ (ATN News): “নিন্দা জানাই। সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
মজুমদার নাজিম (বাংলাদেশ প্রতিদিন): “হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। চাঁদাবাজ দুর্বৃত্তদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা হোক।”
সাইফুল ইসলাম শিল্পী (৭১ টিভি): “দুঃখজনক ঘটনা। জড়িতদের শাস্তি চাই।”
কামাল পারভেজ: “এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ও লজ্জাজনক। প্রশাসনের কাছে জোর দাবি, দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হোক।”
মুকুল মহি: “সবাইকে ‘চামচা’ বানানোর সংস্কৃতি থেকে নেতাদের বেরিয়ে আসতে হবে। নইলে স্বৈরাচার জন্ম নেবেই।”
এস এম পিন্টু: “দলমত নির্বিশেষে সন্ত্রাসীদের বিচার চাই।”
জাহাঙ্গীর আলম (আজকের বিজনেজ বাংলাদেশ): “হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। দোষীদের আইনের আওতায় আনা হোক।”
সামসুদ্দিন চৌধুরী: “এই সরকারের আমলে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। মুন্না ভাইয়ের সুস্থতা কামনা করি।”
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মী সংগঠন এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে।