তপু সরকার হারুন, জেলা প্রতিনিধি শেরপুর: শেরপুর পৌর এলাকায় বটতলাস্থ বেসরকারী ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে ৭২ ঘন্টা বয়সী কন্যা শিশু চুরির ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
ভূক্তভোগী শিশুর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পৌর এলাকার চাপাতলী মহল্লার গোশত ব্যবসায়ী মো: ফিরোজ মিয়ার স্ত্রী কে সিজারিয়ান অপারেশন করার জন্য ২৬ জুন বুধবার বিকেলে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এবং যথারীতি ওই রাতেই ফিরোজ মিয়ার স্ত্রী আবেদা সিজারের মাধ্যমে একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন ৷
তখন থেকেই ফিরোজের মাসহ তার দুজন আত্মীয় তাদের সাথে অবস্থান করছিলো। ঘটনাক্রমে একজন অজ্ঞাত মহিলা তাদের সাথে সখ্যতা তৈরী করে। সে বলে তার এক আত্মীয় এই হাসপাতালে ভর্তি আছে। একথা তাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে।
পরে আজ ২৮ জুন শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় শিশুটির মা বাথরুমে গেলে এবং একই সময় অন্য স্বজনরা বাইরে থাকার সুযোগে ওই মহিলা বোরখা পরে নবজাতক শিশুটিকে নিয়ে পলায়ন করে।
ঘটনার পর ওই কক্ষের সামনের সিসিটিভি ক্যামেরা নষ্ট ছিলো বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।এঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। তারা অভিযোগ করেন এ ঘটনার সাথে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যোগসাজস রয়েছে। পরে বাইরের একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায় বোরখা পরিহিত ওই মহিলা শিশুটিকে নিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করছে।
এ ঘটনার পর শিশুটির মা-বাবাকে হাসপাতালে তীব্র আর্তনাদ করতে দেখা যায়। পরে শিশুটির পিতা ফিরোজ মিয়া জানান,হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমার মেয়েকে উদ্ধারের ব্যবস্থা না করলে আমি আইনি পদক্ষেপ নিব।
এব্যাপারে ইউনাইটেড হাসপাতালে প্রা: এর পরিচালক মো: দিদারুল ইসলামের সাথে কথা বললে, তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হাসপাতালে অসংখ্য লোকজন যাতায়াত করছে আসলে আমরা ওইভাবে কাউকে যদি সন্দেহ করি বা জিজ্ঞেস করি তাহলে আমাদের উপর রোগীদের স্বজনরা বিরক্ত হন।
ওই মহিলা আত্মীয় পরিচয় দিয়ে তাদের সাথে সখ্যতা তৈরি করেছিল। এরপরও শিশুটিকেও উদ্ধারে আমরা সার্বিক আইনগত সহযোগিতা করব। এ ঘটনায় শেরপুর সদর থানার ওসি জোবায়দুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।