শিরোনাম
◈ ৬০০ টাকা মজুরিতে দিনমজুর ভাড়া করে কুষ্টিয়া শহর যুবলীগের মিছিল, কোদাল-ঝুড়িসহ আটক ১০ ◈ নির্বাচন নিয়ে  আমরা মতামত ব্যক্ত করতে পারি, সময় বেঁধে দেওয়ার কোনো অধিকার রাখি না : ডা. শফিকুর রহমান ◈ মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদে হারামে ঈদের নামাজে ইমামতি করবেন শায়খ মাহের আল-মুয়াইকিলি ◈ ক্লাব চেলসির বি‌ক্রির অর্থ ইউ‌ক্রেনে মান‌বিক সহায়তা ক‌রায় সাবেক মালিকের বিরুদ্ধে সরকারের মামলার হুমকি ◈ ইসরায়েল যে গাজায় যুদ্ধাপরাধ করেছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই: ম্যাথু মিলার ◈ জুলাই যোদ্ধাদের জন্য যেসব বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন ◈ পাকিস্তানের ১৭ বছর বয়সি টিকটকার সানাকে গুলি করে হত্যা ◈ ভারত–পাকিস্তান উত্তেজনার মাঝে রাফাল প্রস্তুতকারী ফ্রান্সের সঙ্গে ভারতের দ্বন্দ্ব ◈ মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যে ঝড় ও বজ্রসহ বৃষ্টির আশঙ্কা ◈ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে শুভযাত্রা বাসে হেনস্তা, হেলপার শনাক্তে বাস জব্দ

প্রকাশিত : ০১ জুন, ২০২৫, ১১:১৩ রাত
আপডেট : ০৩ জুন, ২০২৫, ০২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কুড়িগ্রামের কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কোরবানির গরু-ছাগল 

অনিরুদ্ধ রেজা, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : পবিত্র  ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কুড়িগ্রামে কেজিতে বিক্রি হচ্ছে গরু-ছাগল। ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার ও দেশীয় পদ্ধতিতে গরু লালন-পালন এবং মোটাতাজা করছেন জেলার খামারিরা। শেষ মুহূর্তেও পশুর পরিচর্যায় ব্যস্ত তারা। গরু-মহিষ ছাগলসহ বিভিন্ন প্রজাতির কোরবানির পশু মোটাতাজা বা হৃষ্টপুষ্ট করা হয়েছে। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্নস্থানে সরবরাহ করছেন খামারিরা।

ঈদুল আজহার কোরবানির জন্য এবারে কুড়িগ্রাম জেলার ৯ উপজেলায় প্রাণিসম্পদ বিভাগের পরামর্শ ও তত্ত্বাবধানে ৫ শতাধিক ছোট-বড় খামারে ১ লাখ ৩০ হাজার ৭৪২টি গরু আর ১ লাখ ৫৫ হাজার ছাগল ও ভেড়া কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলায় এ বছর কোরবানির জন্য চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার পশুর। উদ্বৃত্ত থাকবে ৫৭ হাজার পশু। বর্তমান বাজারে পশু খাদ্যের দাম বেড়েছে, তাই বাড়তি দামে পশু বিক্রয় করছেন খামারিরা। যদি কম দামে বিক্রয় করে তাহলে লোকসান গুণতে হবে, হারাতে হবে পুঁজিও।

জেলা ব্যাপী বিভিন্ন  খামারে কাজ করে অনেকের কর্মসংস্থান  সৃষ্টি হচ্ছে। দিন-রাত পরিচর্যা করে কোরবানির হাটে পশুগুলো তুলতে শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারাও। কোনো ক্ষতিকর ও ভেজাল খাদ্য ছাড়া দেশীয় পদ্ধতিতে খাবার খাইয়ে গরু মোটাতাজা বা হৃষ্টপুষ্ট করা হচ্ছে। এছাড়া কোরবানির পশু বেচা-কেনার জন্য এ বছর স্থানীয় প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে জেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ীভাবে ২৯টি পশুর হাটের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। 

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ত্রিমোহনী এলাকার অ্যাপোলো ইন্টিগ্রেটেড এগ্রো ফার্মের শ্রমিক নুর হোসেন (৫০), আজাদ মিয়া (৪০), হানিফ মিয়াসহ (৬০) অনেকেই বলেন, আমাদের খামারে গরু-ছাগল রোগমুক্ত। মানুষের শরীরে যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সেই সব খাবার গরু-ছাগলকে আমরা দেই। প্রতিনিয়ত ঘাস, ভুট্টা, খড়সহ ন্যাচারাল খাবার দেই। এভাবেই আমরা অতীতের ন্যায় প্রতি কোরবানি ঈদের জন্য গরু ছাগল মোটা তাজা করণের মাধ্যমে কোরবানি উপযোগী পশু প্রস্তুত করে থাকি। 


অ্যাপোলো ইন্টিগ্রেটেড এগ্রো ফার্মের পরিচালক  লতিফুর রহমান আনন্দ বলেন, আমাদের ফার্মে একশ গরু আছে। এছাড়া ছাগল আছে এখানে  লাইভ ওয়েটে গরু ও ছাগল বিক্রি করা হয়। প্রতি কেজি গরু ৪৫০ টাকা। আর ছাগল ৫৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি। লাইফ ওয়েটে কিনলে ক্রেতা অনেক লাভবান হবেন। 

খামারে আসা আনিছুর রহমান (৬০) বলেন, গরু কেজিতে  কিনতে এসেছি এখানে। বাজারে গেলে দালালের খপ্পরে পড়তে হয়। এখানে দেখে শুনে কমদামে ভালো গরু পাওয়া যায়।

চিলমারী উপজেলার  রমনা মডেল ইউনিয়নের জোড়গাছ এলাকার আমজাদ হোসেন (৫৫) বলেন, এক বছর আগে ৭০ হাজার টাকা দিয়ে ছোট গরুর বাছুরে কিনে লালন-পালন করছি এখন বড় গেছে। প্রায় দুই লাখ টাকায় বাজারে বিক্রি করতে পারবো ইনসো আল্লাহ। 

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, এ বছর কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার ৭৪২টি গরু আর ছাগল ১ লাখ ৫৫ হাজার। এবার জেলার চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার।  যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি তাই স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে বাকিটা অন্য জেলায় চলে যাবে। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়